আফগান ইস্যুতে ৫ দেশকে আমন্ত্রণ ভারতের
রূপান্তর ডেস্ক | ১৯ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০
আফগানিস্তানে তালেবানের ওপর পাকিস্তানের প্রভাব, অন্যদিকে আফগানিস্তানে দিল্লির বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ এখন হুমকির মুখে। শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং অর্থনৈতিকভাবেও উদ্বেগ বেড়েছে দিল্লির। এমন বাস্তবতায় আফগানিস্তান ইস্যুতে আলোচনার জন্য পাকিস্তানসহ পাঁচ দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। আগামী মাসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
মূলত আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তান ছাড়া বাকি দেশগুলো হচ্ছে চীন, রাশিয়া, ইরান ও তাজিকিস্তান। আগামী ১০ থেকে ১১ নভেম্বর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই জাতিসংঘসহ নানা ফোরামে এ নিয়ে কথা বলেছে ভারত। রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে ফোন করে ৪৫ মিনিট ধরে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ ইস্যুতে অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। তবে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতের উদ্যোগে বৈঠক আহ্বানের ঘটনা এটিই প্রথম। এমনকি নতুন আফগান সরকারের ওপর যেই পাকিস্তানের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন দিল্লি তাদেরও এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এই বৈঠকে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে আমন্ত্রণ জানানোর কোনো পরিকল্পনা ভারতের নেই।
এদিকে আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে তুরস্ককে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার। আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন আহ্বান জানিয়েছেন তালেবান সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনায় গত বৃহস্পতিবার তুরস্ক সফরে যান আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সফরে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন তিনি। এ সময় তালেবান সরকারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি নিয়ে কথা বলেন দুই নেতা। কথা হয় যুক্তরাষ্ট্রের জব্দ করা আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ফেরত পাওয়ার বিষয়েও।
আনাদোলু এজেন্সির সঙ্গে আলাপকালে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তুরস্ক আফগানিস্তানে বিনিয়োগ, কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন, সংস্কার ও পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ১৯ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০

আফগানিস্তানে তালেবানের ওপর পাকিস্তানের প্রভাব, অন্যদিকে আফগানিস্তানে দিল্লির বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ এখন হুমকির মুখে। শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং অর্থনৈতিকভাবেও উদ্বেগ বেড়েছে দিল্লির। এমন বাস্তবতায় আফগানিস্তান ইস্যুতে আলোচনার জন্য পাকিস্তানসহ পাঁচ দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। আগামী মাসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
মূলত আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তান ছাড়া বাকি দেশগুলো হচ্ছে চীন, রাশিয়া, ইরান ও তাজিকিস্তান। আগামী ১০ থেকে ১১ নভেম্বর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই জাতিসংঘসহ নানা ফোরামে এ নিয়ে কথা বলেছে ভারত। রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে ফোন করে ৪৫ মিনিট ধরে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ ইস্যুতে অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। তবে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতের উদ্যোগে বৈঠক আহ্বানের ঘটনা এটিই প্রথম। এমনকি নতুন আফগান সরকারের ওপর যেই পাকিস্তানের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন দিল্লি তাদেরও এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এই বৈঠকে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে আমন্ত্রণ জানানোর কোনো পরিকল্পনা ভারতের নেই।
এদিকে আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে তুরস্ককে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার। আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন আহ্বান জানিয়েছেন তালেবান সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনায় গত বৃহস্পতিবার তুরস্ক সফরে যান আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সফরে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন তিনি। এ সময় তালেবান সরকারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি নিয়ে কথা বলেন দুই নেতা। কথা হয় যুক্তরাষ্ট্রের জব্দ করা আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ফেরত পাওয়ার বিষয়েও।
আনাদোলু এজেন্সির সঙ্গে আলাপকালে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তুরস্ক আফগানিস্তানে বিনিয়োগ, কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন, সংস্কার ও পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।