প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির অভিযোগ
কুষ্টিয়ায় ডিজিটাল আইনের মামলায় সাংবাদিক গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি | ২০ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ফেইসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি ও বিকৃত করা ছবি শেয়ার করার অভিযোগে যুবলীগ নেতার করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার খন্দকার ফরহাদ আমীর টিপু (৪৫) দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার কুমারখালী উপজেলা প্রতিনিধি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার।
গ্রেপ্তারের পর সাংবাদিক ফরহাদ আমীর টিপুকে গতকালই আদালতে হাজির করা হলে আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার আরও জানান, সাংবাদিক টিপু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে একটি ‘আপত্তিকর’ পোস্ট তার ফেইসবুক আইডিতে শেয়ার করেন। এরপর থেকেই তার ফেইসবুক ওয়ালে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ওই পোস্টে সংক্ষুব্ধ হয়ে কুমারখালী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ ইমরান বাদী হয়ে গতকাল বেলা ১১টার দিকে কুমারখালী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। মামলার পরপরই পুলিশ ফরহাদ আমীর টিপুকে তার বাটিকামারা এলাকার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। সাংবাদিক টিপু একই গ্রামের প্রয়াত আমির উদ্দিনের ছেলে।
সাংবাদিক টিপুর বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৪ অক্টোবর বিকেলে সাংবাদিক ফরহাদ আমীর টিপু তার খোলা ‘ফরহাদ আসিফ টিপু’ নামের ফেইসবুক আইডিতে প্রধানমন্ত্রীর কপালে তিলক পরানো হচ্ছে এমন বিকৃত ছবিসংবলিত একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাস শেয়ার করেন। একই সঙ্গে তিনি একটি মন্তব্য করেন। সাংবাদিক টিপু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে প্রধানন্ত্রীকে কটূক্তি করেছেন; যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উসকানি সৃষ্টির ভূমিকা পালন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টার শামিল।
সাংবাদিক ফরহাদ আমীর টিপুর স্ত্রী রুমা খাতুন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘গত ১৪ অক্টোরব বিকেলে টিপু তার মোবাইল ফোনটি বাসায় রেখে বাজার করতে বের হন। এ সময় আমার পাঁচ বছর বয়সী শিশুসন্তান মোবাইলটি নিয়ে কার্টুন দেখছিল। হঠাৎ এমপি সাহেব ফোন করে টিপুকে বকাবকি করেন এবং ফেইসবুক থেকে ওই সব মুছে ফেলতে বলেন। তখনই টিপু এমপি সাহেবকে বিষয়টির বাস্তবতাটা বলার চেষ্টা করেন এবং নিজের ফোন বাসায় রেখে যাওয়ার মতো ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। কিন্তু আজ (গতকাল মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৯টার সময় নাশতা সেরে টিপু বাড়ি থেকে বের হয়ে থানা মোড়ে যান। সেখান থেকেই টিপুকে পুলিশ থানায় ডেকে ডিজিটাল আইনের মামলায় নিয়ে গ্রেপ্তার করে।’
শেয়ার করুন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি | ২০ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ফেইসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি ও বিকৃত করা ছবি শেয়ার করার অভিযোগে যুবলীগ নেতার করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার খন্দকার ফরহাদ আমীর টিপু (৪৫) দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার কুমারখালী উপজেলা প্রতিনিধি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার।
গ্রেপ্তারের পর সাংবাদিক ফরহাদ আমীর টিপুকে গতকালই আদালতে হাজির করা হলে আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার আরও জানান, সাংবাদিক টিপু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে একটি ‘আপত্তিকর’ পোস্ট তার ফেইসবুক আইডিতে শেয়ার করেন। এরপর থেকেই তার ফেইসবুক ওয়ালে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ওই পোস্টে সংক্ষুব্ধ হয়ে কুমারখালী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ ইমরান বাদী হয়ে গতকাল বেলা ১১টার দিকে কুমারখালী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। মামলার পরপরই পুলিশ ফরহাদ আমীর টিপুকে তার বাটিকামারা এলাকার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। সাংবাদিক টিপু একই গ্রামের প্রয়াত আমির উদ্দিনের ছেলে।
সাংবাদিক টিপুর বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৪ অক্টোবর বিকেলে সাংবাদিক ফরহাদ আমীর টিপু তার খোলা ‘ফরহাদ আসিফ টিপু’ নামের ফেইসবুক আইডিতে প্রধানমন্ত্রীর কপালে তিলক পরানো হচ্ছে এমন বিকৃত ছবিসংবলিত একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাস শেয়ার করেন। একই সঙ্গে তিনি একটি মন্তব্য করেন। সাংবাদিক টিপু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে প্রধানন্ত্রীকে কটূক্তি করেছেন; যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উসকানি সৃষ্টির ভূমিকা পালন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টার শামিল।
সাংবাদিক ফরহাদ আমীর টিপুর স্ত্রী রুমা খাতুন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘গত ১৪ অক্টোরব বিকেলে টিপু তার মোবাইল ফোনটি বাসায় রেখে বাজার করতে বের হন। এ সময় আমার পাঁচ বছর বয়সী শিশুসন্তান মোবাইলটি নিয়ে কার্টুন দেখছিল। হঠাৎ এমপি সাহেব ফোন করে টিপুকে বকাবকি করেন এবং ফেইসবুক থেকে ওই সব মুছে ফেলতে বলেন। তখনই টিপু এমপি সাহেবকে বিষয়টির বাস্তবতাটা বলার চেষ্টা করেন এবং নিজের ফোন বাসায় রেখে যাওয়ার মতো ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। কিন্তু আজ (গতকাল মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৯টার সময় নাশতা সেরে টিপু বাড়ি থেকে বের হয়ে থানা মোড়ে যান। সেখান থেকেই টিপুকে পুলিশ থানায় ডেকে ডিজিটাল আইনের মামলায় নিয়ে গ্রেপ্তার করে।’