ট্যুরিস্ট পুলিশকে আরও কঠোর হতে হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কক্সবাজার প্রতিনিধি | ৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০
পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশকে আরও কঠোর হতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, ‘একসময় কক্সবাজার সম্দ্রুসৈকতে রাত কাটানো যেত না। পর্যটকরা ভয়ে থাকতেন। সব সময় চুরি, ছিনতাইয়ের আখড়া ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে সেই সমুদ্রসৈকতে রাত-দিন নিঃসন্দেহ বসে থাকা যায়। সবকিছু সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। পর্যটনকে ঢেলে সাজাতে গঠন করা হয় বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। আজ পর্যটন তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে।’
গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশের ৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ) মোস্তফা কামাল উদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলম, ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোর্শেদুর আনোয়ার খান, বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজার সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ কানিজ ফাতেমা মোস্তাক।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে তিন দিনব্যাপী ট্যুরিস্ট পুলিশের ৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করা হয়। পরে সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা বিচ থেকে লাবণী বিচ পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান অংশ নেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোর্শেদুর আনোয়ার খান। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার বিশে^র দীর্ঘতম নিরবচ্ছিন্ন বালুকাময় সমুদ্রসৈকত। আমরা কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকে ব্র্যান্ডিং করতে চাই। কক্সবাজারকে বিশে^র কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে পর্যটন আকর্ষণ বাড়াতে আমরা আইজিপি মহোদয়ের সুযোগ্য নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় নিরলস কাজ করছি।’ ইতিমধ্যে পর্যটকদের বিশ^মানের সেবা ও নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের আস্থা অর্জনে ট্যুরিস্ট পুলিশ সক্ষম হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ১১ নভেম্বর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনের পর্দা নামবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।
উল্লেখ্য, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের বিশ^মানের পর্যটন সেবা ও নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে দেশের পর্যটনশিল্প বিকাশের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটন নিরাপত্তা ও সেবায় আট বছর পূর্তি উপলক্ষে অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
শেয়ার করুন
কক্সবাজার প্রতিনিধি | ৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০

পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশকে আরও কঠোর হতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, ‘একসময় কক্সবাজার সম্দ্রুসৈকতে রাত কাটানো যেত না। পর্যটকরা ভয়ে থাকতেন। সব সময় চুরি, ছিনতাইয়ের আখড়া ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে সেই সমুদ্রসৈকতে রাত-দিন নিঃসন্দেহ বসে থাকা যায়। সবকিছু সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। পর্যটনকে ঢেলে সাজাতে গঠন করা হয় বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। আজ পর্যটন তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে।’
গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশের ৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ) মোস্তফা কামাল উদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলম, ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোর্শেদুর আনোয়ার খান, বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজার সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ কানিজ ফাতেমা মোস্তাক।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে তিন দিনব্যাপী ট্যুরিস্ট পুলিশের ৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করা হয়। পরে সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা বিচ থেকে লাবণী বিচ পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান অংশ নেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোর্শেদুর আনোয়ার খান। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার বিশে^র দীর্ঘতম নিরবচ্ছিন্ন বালুকাময় সমুদ্রসৈকত। আমরা কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকে ব্র্যান্ডিং করতে চাই। কক্সবাজারকে বিশে^র কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে পর্যটন আকর্ষণ বাড়াতে আমরা আইজিপি মহোদয়ের সুযোগ্য নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় নিরলস কাজ করছি।’ ইতিমধ্যে পর্যটকদের বিশ^মানের সেবা ও নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের আস্থা অর্জনে ট্যুরিস্ট পুলিশ সক্ষম হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ১১ নভেম্বর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনের পর্দা নামবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।
উল্লেখ্য, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের বিশ^মানের পর্যটন সেবা ও নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে দেশের পর্যটনশিল্প বিকাশের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটন নিরাপত্তা ও সেবায় আট বছর পূর্তি উপলক্ষে অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।