নোয়াখালীতে মন্দিরে হামলা
লুটের সামগ্রী রূপান্তর করে বিক্রির পরিকল্পনা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানাধীন চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলা ও পূজার সামগ্রী লুটের ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তারা এসব পূজার সামগ্রী রূপান্তর করে বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি জানান, গত রবিবার রাজধানীর ডেমরা, নারায়ণগঞ্জের বন্দর এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অভিযান চালিয়ে মনির হোসেন ওরফে রুবেল (২৮), জাকের হোসেন ওরফে রাব্বি (২০), রিপন (২১) ও মো. নজরুল ইসলাম ওরফে সোহাগ (৩৬) নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, এসব পূজার সামগ্রী রূপান্তর করে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল তাদের।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার করা ওই চারজনের কাছ থেকে ৭টি পিতলের তৈরি প্রতিমা, ৩টি সিঁদুর কৌটা, ২০টি বাতির কৌটা, ৫টি পঞ্চবাতির দানি, ২টি হাত ঘণ্টা, ১০টি স্ট্যান্ডসহ মুছি বাতি, ১টি কুলা, ৫টি পঞ্চপাতার পল্লব, ১ টাকা মূল্যের ৫৫০টি বাংলাদেশি মুদ্রার কয়েন, ১১টি গ্লাস, ৫টি বাসন, ৭টি ঘটি, বেশ কিছু অলংকারসহ পূজায় ব্যবহৃত নানা ধরনের জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।
র্যাব কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লায় ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য প্রচার করে জনসাধারণের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় নোয়াখালীর চৌমুহনী এলাকায় কিছু দুষ্কৃতকারী শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দিরে হামলা ও লুটতরাজ চালায়। এ ঘটনায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে রুবেল, রাব্বী এবং রিপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে প্রত্যক্ষভাবে হামলায় অংশগ্রহণ করে। হামলা পরবর্তী গ্রেপ্তার হওয়া রুরেল, রাব্বী এবং রিপন ২টি বস্তায় করে মন্দিরের বিভিন্ন পিতলের পূজার সামগ্রীসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। তারা সোহাগের সহযোগিতায় ধাতব আইটেমগুলো রূপান্তর করে বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল।
রুবেল, রাকিব, রিপন এবং সোহাগ বিভিন্ন পেশায় জড়িত। রুবেলের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় চুরি ও ছিনতাইয়ের ১টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানাধীন চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলা ও পূজার সামগ্রী লুটের ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তারা এসব পূজার সামগ্রী রূপান্তর করে বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি জানান, গত রবিবার রাজধানীর ডেমরা, নারায়ণগঞ্জের বন্দর এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অভিযান চালিয়ে মনির হোসেন ওরফে রুবেল (২৮), জাকের হোসেন ওরফে রাব্বি (২০), রিপন (২১) ও মো. নজরুল ইসলাম ওরফে সোহাগ (৩৬) নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, এসব পূজার সামগ্রী রূপান্তর করে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল তাদের।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার করা ওই চারজনের কাছ থেকে ৭টি পিতলের তৈরি প্রতিমা, ৩টি সিঁদুর কৌটা, ২০টি বাতির কৌটা, ৫টি পঞ্চবাতির দানি, ২টি হাত ঘণ্টা, ১০টি স্ট্যান্ডসহ মুছি বাতি, ১টি কুলা, ৫টি পঞ্চপাতার পল্লব, ১ টাকা মূল্যের ৫৫০টি বাংলাদেশি মুদ্রার কয়েন, ১১টি গ্লাস, ৫টি বাসন, ৭টি ঘটি, বেশ কিছু অলংকারসহ পূজায় ব্যবহৃত নানা ধরনের জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।
র্যাব কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লায় ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য প্রচার করে জনসাধারণের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় নোয়াখালীর চৌমুহনী এলাকায় কিছু দুষ্কৃতকারী শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দিরে হামলা ও লুটতরাজ চালায়। এ ঘটনায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে রুবেল, রাব্বী এবং রিপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে প্রত্যক্ষভাবে হামলায় অংশগ্রহণ করে। হামলা পরবর্তী গ্রেপ্তার হওয়া রুরেল, রাব্বী এবং রিপন ২টি বস্তায় করে মন্দিরের বিভিন্ন পিতলের পূজার সামগ্রীসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। তারা সোহাগের সহযোগিতায় ধাতব আইটেমগুলো রূপান্তর করে বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল।
রুবেল, রাকিব, রিপন এবং সোহাগ বিভিন্ন পেশায় জড়িত। রুবেলের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় চুরি ও ছিনতাইয়ের ১টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।