তথ্যমন্ত্রী বললেন
খালেদাকে পুনরায় কারাগারে ফেরত পাঠানো প্রয়োজন
কক্সবাজার প্রতিনিধি | ২৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনিক আদেশে ও আইনি ক্ষমতা বলে কারাগারের বাইরে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেটি পুনর্বিবেচনা করা হবে নাকি আবারও কারাগারে ফেরত পাঠানো প্রয়োজন কি না, আমাদের ভাবতে হবে।’ তিনি বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) যে ভাষায় কথা বলেছেন, তাতে মনে হয়েছে বেগম জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন তা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।’
গতকাল শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে একটি অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাকে বিদেশ পাঠিয়ে দিতে চায়। সেখানে গিয়ে বেগম জিয়া রাজনীতি করতে পারেন। যেটি এখন করছেন তারেক রহমান। বেগম খালেদা জিয়া একজন সাজাপ্রাপ্ত এবং তার সাজা মওকুফ করা হয়নি।’
খালেদা জিয়া প্রতিহিংসাপরায়ণ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিহিংসার বশেই তিনি তার জন্মের তারিখ বদলে দিয়ে ১৫ আগস্ট কেক কাটেন, তার আমলে তার পুত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়। প্রতিহিংসার বশেই তার পুত্রের মৃত্যুতে শোক জানাতে তার বাড়িতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও তিনি সৌজন্য করেও দরজা খোলেননি। এমন এক প্রতিহিংসাপরায়ণ মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে সহমর্মিতা দেখিয়েছেন, তা বিএনপি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমাদের ভাবতে হবে বেগম জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানো হবে কি না।’
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়ায় চলাচলের সুযোগের দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে এ দাবির সমর্থন করে বলেন, ‘তিনিও ছাত্রজীবনে গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়ায় চলাচলের সুযোগ পেয়েছিলেন।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুরে একটি ফ্লাইটে কক্সবাজারের ইনানীতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কক্সবাজারে পৌঁছান তথ্যমন্ত্রী।
শেয়ার করুন
কক্সবাজার প্রতিনিধি | ২৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনিক আদেশে ও আইনি ক্ষমতা বলে কারাগারের বাইরে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেটি পুনর্বিবেচনা করা হবে নাকি আবারও কারাগারে ফেরত পাঠানো প্রয়োজন কি না, আমাদের ভাবতে হবে।’ তিনি বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) যে ভাষায় কথা বলেছেন, তাতে মনে হয়েছে বেগম জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন তা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।’
গতকাল শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে একটি অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাকে বিদেশ পাঠিয়ে দিতে চায়। সেখানে গিয়ে বেগম জিয়া রাজনীতি করতে পারেন। যেটি এখন করছেন তারেক রহমান। বেগম খালেদা জিয়া একজন সাজাপ্রাপ্ত এবং তার সাজা মওকুফ করা হয়নি।’
খালেদা জিয়া প্রতিহিংসাপরায়ণ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিহিংসার বশেই তিনি তার জন্মের তারিখ বদলে দিয়ে ১৫ আগস্ট কেক কাটেন, তার আমলে তার পুত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়। প্রতিহিংসার বশেই তার পুত্রের মৃত্যুতে শোক জানাতে তার বাড়িতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও তিনি সৌজন্য করেও দরজা খোলেননি। এমন এক প্রতিহিংসাপরায়ণ মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে সহমর্মিতা দেখিয়েছেন, তা বিএনপি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমাদের ভাবতে হবে বেগম জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানো হবে কি না।’
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়ায় চলাচলের সুযোগের দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে এ দাবির সমর্থন করে বলেন, ‘তিনিও ছাত্রজীবনে গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়ায় চলাচলের সুযোগ পেয়েছিলেন।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুরে একটি ফ্লাইটে কক্সবাজারের ইনানীতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কক্সবাজারে পৌঁছান তথ্যমন্ত্রী।