কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা
মামলার প্রধান আসামির সহযোগী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা | ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মো. সোহেলসহ জোড়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমের সহযোগী মো. শাখাওয়াত হোসেন জুয়েল (৪৮) অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের গান্দাচি গ্রাম থেকে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার, দুটি ম্যাগাজিন ও তিনটি গুলি জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া শাখাওয়াত হোসেন জুয়েল গান্দাচি এলাকার হোসেন মজুমদারের ছেলে। তার কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় নাঙ্গলকোট থানায় মামলা হয়েছে।
জুয়েলকে গ্রেপ্তার অভিযানের বিস্তারিত তথ্য গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়। সেখানে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহম্মেদ বলেন, ‘উদ্ধার করা দুটি অত্যাধুনিক পিস্তল কাউন্সিলর সোহেল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছিল বলে স্বীকার করেছে আটক জুয়েল। ২০১৪ সালে তার সঙ্গে কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমের জেলখানায় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ২২ নভেম্বর কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে হত্যার পরদিন (২৩ নভেম্বর) রাতে শাহ আলম নাঙ্গলকোটের গান্দাচি গ্রামে জুয়েলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ওইদিন রাতেই সে জুয়েলকে অস্ত্রগুলো নিরাপদে রাখতে বলে। জুয়েলের বাড়িতে এক দিন থাকার পর ২৪ নভেম্বর অস্ত্রগুলো রেখে পালিয়ে যায় শাহ আলম।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর আরও বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল স্বীকার করেছে উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো কাউন্সিলর সোহেল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র। আমরা অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই করব। এছাড়া কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, শাহ আলম জুয়েলের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কুমিল্লা ডিবি পুলিশের এসআই পরিমল দাস বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা | ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মো. সোহেলসহ জোড়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমের সহযোগী মো. শাখাওয়াত হোসেন জুয়েল (৪৮) অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের গান্দাচি গ্রাম থেকে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার, দুটি ম্যাগাজিন ও তিনটি গুলি জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া শাখাওয়াত হোসেন জুয়েল গান্দাচি এলাকার হোসেন মজুমদারের ছেলে। তার কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় নাঙ্গলকোট থানায় মামলা হয়েছে।
জুয়েলকে গ্রেপ্তার অভিযানের বিস্তারিত তথ্য গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়। সেখানে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহম্মেদ বলেন, ‘উদ্ধার করা দুটি অত্যাধুনিক পিস্তল কাউন্সিলর সোহেল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছিল বলে স্বীকার করেছে আটক জুয়েল। ২০১৪ সালে তার সঙ্গে কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমের জেলখানায় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ২২ নভেম্বর কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে হত্যার পরদিন (২৩ নভেম্বর) রাতে শাহ আলম নাঙ্গলকোটের গান্দাচি গ্রামে জুয়েলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ওইদিন রাতেই সে জুয়েলকে অস্ত্রগুলো নিরাপদে রাখতে বলে। জুয়েলের বাড়িতে এক দিন থাকার পর ২৪ নভেম্বর অস্ত্রগুলো রেখে পালিয়ে যায় শাহ আলম।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর আরও বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল স্বীকার করেছে উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো কাউন্সিলর সোহেল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র। আমরা অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই করব। এছাড়া কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, শাহ আলম জুয়েলের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কুমিল্লা ডিবি পুলিশের এসআই পরিমল দাস বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন।