প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পাচ্ছে হন্ডুরাস
রূপান্তর ডেস্ক | ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেতে যাচ্ছে মধ্য আমেরিকার দেশ হন্ডুরাস। সদ্য শেষ হওয়া ভোটের আনুষ্ঠানিক ফলাফল না পাওয়া গেলেও বামপন্থি নেত্রী শিওমারা কাস্ত্রোই যে দেশটির প্রেসিডেন্টের পদে বসতে যাচ্ছেন সেটি নিশ্চিত। ক্ষমতাসীন দক্ষিণপন্থি ন্যাশনাল পার্টি অব হন্ডুরাসও হার মেনে নিয়ে লিবার্টি অ্যান্ড রেভলিউশনারি পার্টির (এলআইবিআরএফ) প্রার্থী শিওমারাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্ধেকের বেশি ভোট গণনা হয়েছে। তাতে বামপন্থি কাস্ত্রো পেয়েছেন ৫৩ শতাংশ ভোট। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণপন্থি নার্সি অ্যাসফুরা পেয়েছেন ৩৪ শতাংশ ভোট। তবে বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, প্রাথমিকভাবে গণনা করা ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে কাস্ত্রো তার প্রতিদ্বন্দ্বীর চাইতে অন্তত ২০ শতাংশ ভোট বেশি পাবেন।
আসন্ন ফলের এই হিসাব মেনে নিয়েছে পরাজিত প্রার্থী। হার মেনে নিয়ে নার্সি বলেন, ‘আমি তাকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করি, ঈশ্বর তাকে পথ দেখাবেন। তার প্রশাসন হন্ডুরাসের ভালো করবে, গণতন্ত্রের চাহিদা মেটাবে এবং উন্নয়নের পথে চলবে।’
কাস্ত্রোর জয়ের ফলে হন্ডুরাসে দক্ষিণপন্থি ন্যাশনাল পার্টি সরকারের অবসান হলো। এখন বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান ওরলান্ডো হার্নান্দেজের স্থলাভিষিক্ত হবেন কাস্ত্রো। বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। কাস্ত্রোর স্বামী এবং এলআইবিআরইর কোঅর্ডিনেটর ম্যানুয়েল জেলায়া ২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কিন্তু অভ্যুত্থানের ফলে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।
বিবিসি লিখেছে, কাস্ত্রো এমন এক সময়ে দেশের শাসনভার হাতে নিতে যাচ্ছেন যখন মধ্য আমেরিকার এ দেশটি সহিংস অপরাধ, মাদক পাচারসহ নানান সমস্যায় বিপর্যস্ত। যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে নিয়মিতই মধ্য আমেরিকা থেকে যে বিপুল পরিমাণ অভিবাসনপ্রত্যাশী গিয়ে হাজির হয়, তারও বড় অংশ থাকে হন্ডুরাসের।
কাস্ত্রোর জয় বহুদূরের দেশ চীনের ক্ষমতাসীনদের মুখেও হাসি ফোটাবে। নির্বাচনে জয়ী হলে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে চীনের সঙ্গে হন্ডুরাসের সম্পর্ক স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কাস্ত্রো। তেমনটা হলে তাইওয়ানকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া দেশের সংখ্যা কমে ১৪-তে দাঁড়াবে।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেতে যাচ্ছে মধ্য আমেরিকার দেশ হন্ডুরাস। সদ্য শেষ হওয়া ভোটের আনুষ্ঠানিক ফলাফল না পাওয়া গেলেও বামপন্থি নেত্রী শিওমারা কাস্ত্রোই যে দেশটির প্রেসিডেন্টের পদে বসতে যাচ্ছেন সেটি নিশ্চিত। ক্ষমতাসীন দক্ষিণপন্থি ন্যাশনাল পার্টি অব হন্ডুরাসও হার মেনে নিয়ে লিবার্টি অ্যান্ড রেভলিউশনারি পার্টির (এলআইবিআরএফ) প্রার্থী শিওমারাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্ধেকের বেশি ভোট গণনা হয়েছে। তাতে বামপন্থি কাস্ত্রো পেয়েছেন ৫৩ শতাংশ ভোট। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণপন্থি নার্সি অ্যাসফুরা পেয়েছেন ৩৪ শতাংশ ভোট। তবে বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, প্রাথমিকভাবে গণনা করা ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে কাস্ত্রো তার প্রতিদ্বন্দ্বীর চাইতে অন্তত ২০ শতাংশ ভোট বেশি পাবেন।
আসন্ন ফলের এই হিসাব মেনে নিয়েছে পরাজিত প্রার্থী। হার মেনে নিয়ে নার্সি বলেন, ‘আমি তাকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করি, ঈশ্বর তাকে পথ দেখাবেন। তার প্রশাসন হন্ডুরাসের ভালো করবে, গণতন্ত্রের চাহিদা মেটাবে এবং উন্নয়নের পথে চলবে।’
কাস্ত্রোর জয়ের ফলে হন্ডুরাসে দক্ষিণপন্থি ন্যাশনাল পার্টি সরকারের অবসান হলো। এখন বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান ওরলান্ডো হার্নান্দেজের স্থলাভিষিক্ত হবেন কাস্ত্রো। বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। কাস্ত্রোর স্বামী এবং এলআইবিআরইর কোঅর্ডিনেটর ম্যানুয়েল জেলায়া ২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কিন্তু অভ্যুত্থানের ফলে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।
বিবিসি লিখেছে, কাস্ত্রো এমন এক সময়ে দেশের শাসনভার হাতে নিতে যাচ্ছেন যখন মধ্য আমেরিকার এ দেশটি সহিংস অপরাধ, মাদক পাচারসহ নানান সমস্যায় বিপর্যস্ত। যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে নিয়মিতই মধ্য আমেরিকা থেকে যে বিপুল পরিমাণ অভিবাসনপ্রত্যাশী গিয়ে হাজির হয়, তারও বড় অংশ থাকে হন্ডুরাসের।
কাস্ত্রোর জয় বহুদূরের দেশ চীনের ক্ষমতাসীনদের মুখেও হাসি ফোটাবে। নির্বাচনে জয়ী হলে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে চীনের সঙ্গে হন্ডুরাসের সম্পর্ক স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কাস্ত্রো। তেমনটা হলে তাইওয়ানকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া দেশের সংখ্যা কমে ১৪-তে দাঁড়াবে।