জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে এবার নওগাঁর আদালতে মামলা
নওগাঁ প্রতিনিধি | ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে নওগাঁর আদালতে মামলা হয়েছে।মুক্তিযুদ্ধে এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন নাহিদ রনি (৩৬) নামে এক যুবক।
নাহিদ রনি নওগাঁর বদলগাছীর লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং ‘মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর রাজবাড়ীর আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ ছাড়া গাজীপুরের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা এবং ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে পাওয়া তথ্যমতে, নওগাঁর আমলি আদালত-৫-এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহান মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে করা মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করতে বলেছেন। ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাদীপক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম স্বপন দেশ রূপান্তরকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও ধর্ষণের শিকার মা-বোনদের সংখ্যা নিয়ে বিবাদী (বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম) বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়েও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ইতিহাস বিকৃত করেছেন। তার এ বক্তব্যের কারণে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাদী একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এ মামলাটি করেছেন। দণ্ডবিধির ৫০৪, ৫০৫ ও ৫০৫ (ক) ধারায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মামলার আরজি করা হয়। আদালতের বিচারক আরজি দেখে সন্তুষ্ট হয়ে মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত অডিও ও ভিডিও ক্লিপ গত সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। অভিযোগ ওঠার প্রায় দুই মাস পর গত ১৯ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয় আওয়ামী লীগ। দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে দলে তার প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল করা হয়। এরপর ২৫ নভেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
শেয়ার করুন
নওগাঁ প্রতিনিধি | ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে নওগাঁর আদালতে মামলা হয়েছে।মুক্তিযুদ্ধে এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন নাহিদ রনি (৩৬) নামে এক যুবক।
নাহিদ রনি নওগাঁর বদলগাছীর লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং ‘মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর রাজবাড়ীর আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ ছাড়া গাজীপুরের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা এবং ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে পাওয়া তথ্যমতে, নওগাঁর আমলি আদালত-৫-এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহান মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে করা মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করতে বলেছেন। ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাদীপক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম স্বপন দেশ রূপান্তরকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও ধর্ষণের শিকার মা-বোনদের সংখ্যা নিয়ে বিবাদী (বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম) বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়েও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ইতিহাস বিকৃত করেছেন। তার এ বক্তব্যের কারণে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাদী একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এ মামলাটি করেছেন। দণ্ডবিধির ৫০৪, ৫০৫ ও ৫০৫ (ক) ধারায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মামলার আরজি করা হয়। আদালতের বিচারক আরজি দেখে সন্তুষ্ট হয়ে মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত অডিও ও ভিডিও ক্লিপ গত সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। অভিযোগ ওঠার প্রায় দুই মাস পর গত ১৯ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয় আওয়ামী লীগ। দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে দলে তার প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল করা হয়। এরপর ২৫ নভেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।