পটুয়া কামরুল হাসানের জন্মশতবর্ষ
রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন চায় পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পটুয়া কামরুল হাসানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপিত হয়নি বলে দুঃখ পেয়েছেন শিল্পীর পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে পটুয়া কামরুল হাসান জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে এ কথা জানান শিল্পীর মেয়ে সুমনা হাসান। ঢাবি গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগ ও গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজন করে দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান।
সুমনা হাসান বলেন, শিল্পী কামরুল হাসানের জন্মশতবর্ষ রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করা হলে আমাদের পরিবারের ভালো লাগত। আমরা আশা করেছিলাম সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কিংবা সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয়ভাবে আয়োজন করবে। কামরুল হাসান এই দেশের জন্য কাজ করেছেন। তাকে নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীলদের এমন অবহেলা দেখে আমরা দুঃখ পেয়েছি।
জন্মশতবার্ষিকীতে বছরব্যাপী কর্মসূচি নেওয়ারও সুযোগ আছে জানিয়ে সুমনা হাসান বলেন, ‘আমরা আশা করব, হয়তো সরকার কিছু উদ্যোগ নেবে। জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠান তো বছরের যেকোনো সময়ই করা যায়।’ এ ছাড়া ঢাবি চারুকলা অনুষদের তত্ত্বাবধানে কামরুল হাসান স্বর্ণপদক প্রবর্তনেরও আহ্বান জানান সুমনা হাসান।
সকালে কামরুল হাসানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে আয়োজনের সূচনা হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক উসীম কুমার উকিল, ঢাবি চারুকলা অনুষদসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে জন্মশতবর্ষের দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য দেন ঢাবি চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, চারু শিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা চৌধুরী, রুমানা রশীদ ইশিতা, শিল্পীর মেয়ে সুমনা হাসানসহ অনেকে। সভাপতিত্ব করেন শিল্পী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস।
বক্তারা বলেন, জনসম্পৃক্ত শিল্পী ছিলেন কামরুল হাসান। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পূর্বে এবং পরে তিনি নানাভাবে প্রগতিশীল আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। গণমানুষের শিল্পী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় জাতীয় কবিতা পরিষদের অনুষ্ঠানে বসে কামরুল হাসান এঁকেছিলেন ‘দেশ আজ বিশ্ব বেহায়ার খপ্পরে’ পোস্টারটি। আর মুক্তিযুদ্ধের সময় এঁকেছিলেন ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ পোস্টারটি, যেটি কোটি বাঙালির মুক্তির লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
আয়োজকরা জানায়, দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজনে আজ শুক্রবার দিনব্যাপী থাকবে আলোচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পটুয়া কামরুল হাসানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপিত হয়নি বলে দুঃখ পেয়েছেন শিল্পীর পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে পটুয়া কামরুল হাসান জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে এ কথা জানান শিল্পীর মেয়ে সুমনা হাসান। ঢাবি গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগ ও গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজন করে দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান।
সুমনা হাসান বলেন, শিল্পী কামরুল হাসানের জন্মশতবর্ষ রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করা হলে আমাদের পরিবারের ভালো লাগত। আমরা আশা করেছিলাম সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কিংবা সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয়ভাবে আয়োজন করবে। কামরুল হাসান এই দেশের জন্য কাজ করেছেন। তাকে নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীলদের এমন অবহেলা দেখে আমরা দুঃখ পেয়েছি।
জন্মশতবার্ষিকীতে বছরব্যাপী কর্মসূচি নেওয়ারও সুযোগ আছে জানিয়ে সুমনা হাসান বলেন, ‘আমরা আশা করব, হয়তো সরকার কিছু উদ্যোগ নেবে। জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠান তো বছরের যেকোনো সময়ই করা যায়।’ এ ছাড়া ঢাবি চারুকলা অনুষদের তত্ত্বাবধানে কামরুল হাসান স্বর্ণপদক প্রবর্তনেরও আহ্বান জানান সুমনা হাসান।
সকালে কামরুল হাসানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে আয়োজনের সূচনা হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক উসীম কুমার উকিল, ঢাবি চারুকলা অনুষদসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে জন্মশতবর্ষের দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য দেন ঢাবি চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, চারু শিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা চৌধুরী, রুমানা রশীদ ইশিতা, শিল্পীর মেয়ে সুমনা হাসানসহ অনেকে। সভাপতিত্ব করেন শিল্পী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস।
বক্তারা বলেন, জনসম্পৃক্ত শিল্পী ছিলেন কামরুল হাসান। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পূর্বে এবং পরে তিনি নানাভাবে প্রগতিশীল আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। গণমানুষের শিল্পী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় জাতীয় কবিতা পরিষদের অনুষ্ঠানে বসে কামরুল হাসান এঁকেছিলেন ‘দেশ আজ বিশ্ব বেহায়ার খপ্পরে’ পোস্টারটি। আর মুক্তিযুদ্ধের সময় এঁকেছিলেন ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ পোস্টারটি, যেটি কোটি বাঙালির মুক্তির লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
আয়োজকরা জানায়, দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজনে আজ শুক্রবার দিনব্যাপী থাকবে আলোচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।