বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী
১৬ ডিসেম্বর শপথ পড়াবেন প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর দিন আগামী ১৬ ডিসেম্বর সারা দেশের মানুষকে শপথপাঠ করাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করবেন, যাতে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেবে। তবে প্রধানমন্ত্রী কী ধরনের শপথপাঠ করাবেন তা জানা যায়নি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন এবং আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তারা জানান, ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠান হবে। এতে তুলে ধরা হবে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, প্রকৃতি, পরিবেশ ইত্যাদি। এ ছাড়া বিজয় দিবসে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বড় আকারে কুচকাওয়াজ হবে। সেখানে ছয়টি দেশ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক একটি প্যারেড হবে। সারা দেশের পাশাপাশি সমগ্র পৃথিবীতে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হবে। ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান রামনাথ কোবিন্দ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘চলতি মাসে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবসের ৫০ বছরের পূর্তি হতে যাচ্ছে। সেজন্য মানুষের মধ্যেও বেশ আগ্রহ রয়েছে। দেশবাসী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে উন্মুখ হয়ে আছে। বাংলাদেশের মানুষ যে যেখানেই থাকবে তারা অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নেবেন। যাতে নিরাপত্তার অভাব অনুভব না করেন সেজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ এখনো রয়েছে। সেহেতু স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে, তাই অনুষ্ঠানে আগতদের কভিড পরীক্ষার সনদ বাধ্যতামূলক।
তিনি আরও বলেন, আলাদা দুটি অনুষ্ঠান ঘিরে ট্রাফিক ব্যবস্থা কী হবে, নিরাপত্তার জন্য কী কী চ্যালেঞ্জ হতে পারে সবকিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যার যা করণীয় সেগুলো ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান রামনাথ কোবিন্দ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। আরও কিছু বিদেশি মেহমান আসার কথা রয়েছে। বিদেশি মেহমান যারাই আসবেন, তাদের নিরাপত্তা, আসা-যাওয়া, তাদের অবস্থান ও বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ার ও জাতীয় সংসদের সামনে মুজিব জন্মশতবর্ষের শেষ অনুষ্ঠান এবং বিজয় দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ অন্য বিষয়ে কঠোর নিরাপত্তা দেওয়া হবে। সবকিছু সুন্দরভাবে যাতে হয় সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ মিলিয়ে দেশবাসী ইতিহাসের অসাধারণ সময় অতিক্রম করছে। অনুষ্ঠানটি জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় হবে। ১৬ ডিসেম্বর প্যারেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজ বড় আকারে হবে। বিকেলে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি থেকে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠান হবে। সব মিলিয়ে প্রতিদিন তিন হাজার মানুষ অনুষ্ঠানে অংশ নেবে।
তিনি আরও বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে একটি শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। সেখানে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেবেন। কী বিষয়ে শপথ পড়াবেন তা পরে জানানো হবে। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে আলোচনা সভা শুরু হবে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি অংশ নেবেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীও এতে অংশ নেবেন।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর দিন আগামী ১৬ ডিসেম্বর সারা দেশের মানুষকে শপথপাঠ করাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করবেন, যাতে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেবে। তবে প্রধানমন্ত্রী কী ধরনের শপথপাঠ করাবেন তা জানা যায়নি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন এবং আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তারা জানান, ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠান হবে। এতে তুলে ধরা হবে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, প্রকৃতি, পরিবেশ ইত্যাদি। এ ছাড়া বিজয় দিবসে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বড় আকারে কুচকাওয়াজ হবে। সেখানে ছয়টি দেশ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক একটি প্যারেড হবে। সারা দেশের পাশাপাশি সমগ্র পৃথিবীতে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হবে। ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান রামনাথ কোবিন্দ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘চলতি মাসে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবসের ৫০ বছরের পূর্তি হতে যাচ্ছে। সেজন্য মানুষের মধ্যেও বেশ আগ্রহ রয়েছে। দেশবাসী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে উন্মুখ হয়ে আছে। বাংলাদেশের মানুষ যে যেখানেই থাকবে তারা অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নেবেন। যাতে নিরাপত্তার অভাব অনুভব না করেন সেজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ এখনো রয়েছে। সেহেতু স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে, তাই অনুষ্ঠানে আগতদের কভিড পরীক্ষার সনদ বাধ্যতামূলক।
তিনি আরও বলেন, আলাদা দুটি অনুষ্ঠান ঘিরে ট্রাফিক ব্যবস্থা কী হবে, নিরাপত্তার জন্য কী কী চ্যালেঞ্জ হতে পারে সবকিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যার যা করণীয় সেগুলো ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান রামনাথ কোবিন্দ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। আরও কিছু বিদেশি মেহমান আসার কথা রয়েছে। বিদেশি মেহমান যারাই আসবেন, তাদের নিরাপত্তা, আসা-যাওয়া, তাদের অবস্থান ও বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ার ও জাতীয় সংসদের সামনে মুজিব জন্মশতবর্ষের শেষ অনুষ্ঠান এবং বিজয় দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ অন্য বিষয়ে কঠোর নিরাপত্তা দেওয়া হবে। সবকিছু সুন্দরভাবে যাতে হয় সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ মিলিয়ে দেশবাসী ইতিহাসের অসাধারণ সময় অতিক্রম করছে। অনুষ্ঠানটি জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় হবে। ১৬ ডিসেম্বর প্যারেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজ বড় আকারে হবে। বিকেলে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি থেকে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠান হবে। সব মিলিয়ে প্রতিদিন তিন হাজার মানুষ অনুষ্ঠানে অংশ নেবে।
তিনি আরও বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে একটি শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। সেখানে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেবেন। কী বিষয়ে শপথ পড়াবেন তা পরে জানানো হবে। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে আলোচনা সভা শুরু হবে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি অংশ নেবেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীও এতে অংশ নেবেন।