সশস্ত্র ডাইনোসর!
রূপান্তর ডেস্ক | ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
বিজ্ঞানীরা নতুন এক প্রজাতির ডাইনোসরের জীবাশ্মের সন্ধান পেয়েছেন। চিলির প্যাটাগোনিয়ায় ২০১৮ সালে এই জীবাশ্মটির সন্ধান মেলে। তবে এর প্রজাতি ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সম্প্রতি বিস্তারিত জানিয়েছেন গবেষকরা। গত সপ্তাহে বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ন্যাচারে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। তার সূত্রেই জানা গেছে, প্রায় সাড়ে সাত কোটি বছর আগে ক্রিটেসিয়াস যুগের শেষের দিকে পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াত স্টেগোসরাসগনের অ্যাংকিলোসর প্রজাতির এই ডাইনোসর।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাংকিলোসর নামের এই ডাইনোসর প্রজাতির বৈশিষ্ট্য হলো এগুলোর লেজ জুড়ে ধারালো কুঠারের মতো ফলা আছে। আর লেজের শেষভাগে আছে গদার মতো অস্থি পিণ্ড। প্রথম দেখে রূপকথার গল্পের মতোই সশস্ত্র কোনো প্রাণী মনে হয় একে। এজন্যই এর নামকরণও হয়েছে সেভাবে। গ্রিক ভাষায় স্টেগোসরাস অর্থ ‘আচ্ছাদিত লেজ’।
এই প্রজাতিটি মাত্র দুই মিটার আকারের। এ ডাইনোসরের খুলির সঙ্গে অন্য অ্যাংকিলোসরের মিল রয়েছে। তবে পার্থক্য রয়েছে এর অদ্ভুত লেজের ক্ষেত্রে। এই ডাইনোসরের লেজে সাত জোড়া চ্যাপ্টা কাঁটা বা হাড়সদৃশ বস্তু দেখা যায়। এগুলো এমনভাবে সাজানো থাকে যা অনেকটা পাতার মতো দেখায়। চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও গবেষণা নিবন্ধের প্রধান লেখক সার্জিও ছোটো আকু বলেন, ‘এ ডাইনোসরের লেজ অত্যন্ত অদ্ভুত। এই ডাইনোসরের ছোট লেজের অর্ধেকে হাড় থাকায় তা অনন্য অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগত। এ লেজকে অনেকটাই র্যাটলস্নেক বা কাঁটাযুক্ত লেজের গিরগিটির সঙ্গে তুলনা করা যায়। তবে র্যাটলস্নেক বা গিরগিটির সঙ্গে ডাইনোসরের পার্থক্য হচ্ছে লেজের হাড়ে।
গবেষকরা দাবি করেন, যে অঞ্চল থেকে এই জীবাশ্ম পাওয়া গেছে, সেখানে অ্যাংকিলোসর খুব কম পাওয়া গেছে। দক্ষিণ গোলার্ধের ডাইনোসরের তুলনায় চিলিতে পাওয়া ডাইনোসরগুলো আকারে ছোট ছিল। ওই অঞ্চলে খোঁজ পাওয়া অন্য জীবাশ্ম থেকে জানা যায়, যে সময় এসব ডাইনোসরের বিচরণ ছিল, তখন আবহাওয়া ছিল উষ্ণ।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

বিজ্ঞানীরা নতুন এক প্রজাতির ডাইনোসরের জীবাশ্মের সন্ধান পেয়েছেন। চিলির প্যাটাগোনিয়ায় ২০১৮ সালে এই জীবাশ্মটির সন্ধান মেলে। তবে এর প্রজাতি ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সম্প্রতি বিস্তারিত জানিয়েছেন গবেষকরা। গত সপ্তাহে বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ন্যাচারে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। তার সূত্রেই জানা গেছে, প্রায় সাড়ে সাত কোটি বছর আগে ক্রিটেসিয়াস যুগের শেষের দিকে পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াত স্টেগোসরাসগনের অ্যাংকিলোসর প্রজাতির এই ডাইনোসর।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাংকিলোসর নামের এই ডাইনোসর প্রজাতির বৈশিষ্ট্য হলো এগুলোর লেজ জুড়ে ধারালো কুঠারের মতো ফলা আছে। আর লেজের শেষভাগে আছে গদার মতো অস্থি পিণ্ড। প্রথম দেখে রূপকথার গল্পের মতোই সশস্ত্র কোনো প্রাণী মনে হয় একে। এজন্যই এর নামকরণও হয়েছে সেভাবে। গ্রিক ভাষায় স্টেগোসরাস অর্থ ‘আচ্ছাদিত লেজ’।
এই প্রজাতিটি মাত্র দুই মিটার আকারের। এ ডাইনোসরের খুলির সঙ্গে অন্য অ্যাংকিলোসরের মিল রয়েছে। তবে পার্থক্য রয়েছে এর অদ্ভুত লেজের ক্ষেত্রে। এই ডাইনোসরের লেজে সাত জোড়া চ্যাপ্টা কাঁটা বা হাড়সদৃশ বস্তু দেখা যায়। এগুলো এমনভাবে সাজানো থাকে যা অনেকটা পাতার মতো দেখায়। চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও গবেষণা নিবন্ধের প্রধান লেখক সার্জিও ছোটো আকু বলেন, ‘এ ডাইনোসরের লেজ অত্যন্ত অদ্ভুত। এই ডাইনোসরের ছোট লেজের অর্ধেকে হাড় থাকায় তা অনন্য অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগত। এ লেজকে অনেকটাই র্যাটলস্নেক বা কাঁটাযুক্ত লেজের গিরগিটির সঙ্গে তুলনা করা যায়। তবে র্যাটলস্নেক বা গিরগিটির সঙ্গে ডাইনোসরের পার্থক্য হচ্ছে লেজের হাড়ে।
গবেষকরা দাবি করেন, যে অঞ্চল থেকে এই জীবাশ্ম পাওয়া গেছে, সেখানে অ্যাংকিলোসর খুব কম পাওয়া গেছে। দক্ষিণ গোলার্ধের ডাইনোসরের তুলনায় চিলিতে পাওয়া ডাইনোসরগুলো আকারে ছোট ছিল। ওই অঞ্চলে খোঁজ পাওয়া অন্য জীবাশ্ম থেকে জানা যায়, যে সময় এসব ডাইনোসরের বিচরণ ছিল, তখন আবহাওয়া ছিল উষ্ণ।