নদী দখল ও প্যারাবন ধ্বংস
সাতজনের নামে মামলা পরিবেশ অধিদপ্তরের
কক্সবাজার প্রতিনিধি | ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাটের বাঁকখালী নদী দখল এবং প্যারাবন কেটে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গত বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক মাহবুবুল ইসলাম।
মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে মামলায় প্রভাবশালী অনেকের নাম বাদ পড়েছে বলে দাবি করেছে পরিবেশবিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’।
সংগঠনের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালীদের আইনের আওতায় আনা না গেলে বাঁকখালী নদী ও প্যারাবন রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
এজাহারে উল্লেখ করা সাত আসামি হলেন মহেশখালীর রুকন উদ্দিন (৪০), কক্সবাজার সদরের আমীর আলী (৪৫), বদরমোকাম কস্তুরাঘাট এলাকার মো. কামাল ওরফে কামাল মাঝি (৪৮), দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এবিসি ঘোনা এলাকার মো. ইসলাম ওরফে খোল বাহাদুর (৫২), আলিরজাহান সাহিত্যিকা পল্লীর আবদুল মালেক ইমন (৪৩), মহেশখালীর মো. ইউসুফ (৪২) ও কস্তুরাঘাট বদরমোকাম এলাকার মো. ইব্রাহীম (৩০)।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কস্তুরাঘাটের বাঁকখালী নদীর তীরে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ‘কোস্টাল অ্যান্ড ওয়েটল্যান্ড বায়োডাইভারসিটি প্রকল্পের’ জন্য কয়েকশ একর প্যারাবনের প্রায় ১৫ হাজার গাছ কেটে প্রাকৃতিক জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে এবং কিছু ভরাট করা স্থানে ঘর তৈরি করা হয়েছে। রুকন উদ্দিনসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে গত তিন থেকে চার মাস প্যারাবন কেটে খালের জায়গা ভরাট করে দখলের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কিছু ভরাট করা স্থানে টিনের বেড়া দিয়ে দখলও করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার কক্সবাজার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কস্তুরাঘাট এলাকায় প্যারাবন কেটে বাঁকখালী নদী সংযোগকারী খাল ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর।
শেয়ার করুন
কক্সবাজার প্রতিনিধি | ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাটের বাঁকখালী নদী দখল এবং প্যারাবন কেটে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গত বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক মাহবুবুল ইসলাম।
মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে মামলায় প্রভাবশালী অনেকের নাম বাদ পড়েছে বলে দাবি করেছে পরিবেশবিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’।
সংগঠনের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালীদের আইনের আওতায় আনা না গেলে বাঁকখালী নদী ও প্যারাবন রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
এজাহারে উল্লেখ করা সাত আসামি হলেন মহেশখালীর রুকন উদ্দিন (৪০), কক্সবাজার সদরের আমীর আলী (৪৫), বদরমোকাম কস্তুরাঘাট এলাকার মো. কামাল ওরফে কামাল মাঝি (৪৮), দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এবিসি ঘোনা এলাকার মো. ইসলাম ওরফে খোল বাহাদুর (৫২), আলিরজাহান সাহিত্যিকা পল্লীর আবদুল মালেক ইমন (৪৩), মহেশখালীর মো. ইউসুফ (৪২) ও কস্তুরাঘাট বদরমোকাম এলাকার মো. ইব্রাহীম (৩০)।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কস্তুরাঘাটের বাঁকখালী নদীর তীরে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ‘কোস্টাল অ্যান্ড ওয়েটল্যান্ড বায়োডাইভারসিটি প্রকল্পের’ জন্য কয়েকশ একর প্যারাবনের প্রায় ১৫ হাজার গাছ কেটে প্রাকৃতিক জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে এবং কিছু ভরাট করা স্থানে ঘর তৈরি করা হয়েছে। রুকন উদ্দিনসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে গত তিন থেকে চার মাস প্যারাবন কেটে খালের জায়গা ভরাট করে দখলের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কিছু ভরাট করা স্থানে টিনের বেড়া দিয়ে দখলও করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার কক্সবাজার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কস্তুরাঘাট এলাকায় প্যারাবন কেটে বাঁকখালী নদী সংযোগকারী খাল ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর।