ফখরুলের প্রশ্ন
খালেদা জিয়ার মতো ত্যাগী নেতা ক’জন আছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
খালেদা জিয়ার মতো এত ত্যাগ ক’জন নেতা স্বীকার করেছেন বলে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুখ ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে আজও দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকারসহ জনগণের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য সংগ্রাম করছেন।’
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ তিনি এই প্রশ্ন করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু হয়েছে তার সংগ্রাম। এরপর দীর্ঘ নয় বছর স্বৈরাচার এরশাদ সরকারবিরোধী আন্দোলন করেছেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় কারাভোগ করেছেন। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকার তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নেয়। এখনো
তিনি কারাবন্দি। লিভার সিরোসিসে ভুগছেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি আছেন বলেই এখনো গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলছে, আমাদের শত্রুরা সীমান্তে ভয় পায়। এখনো আওয়ামী লীগ আছে খালেদা জিয়া দেশে আছেন, বেঁচে আছেন বলেই। তা না হলে আওয়ামী লীগ থাকবে না।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে যদি গণতন্ত্রকে চালু রাখতে চান, সুশাসন রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের ছাত্ররা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। অনেকে গুম হয়ে গেছে। অনেকে নির্যাতন ভোগ করে কারাগারে আছে। এদের মুক্ত করতে হলে ছাত্রদলকেই জেগে উঠতে হবে।’
ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল ইসলাম মিন্টু প্রমুখ।
সুনামগঞ্জে ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশের বাধা : এদিকে সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
গতকাল দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে শহরের পুরাতন বাসস্টেশন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করতে চাইলে খামারখালী ব্রিজের পাশে পুলিশ বাধা দেয়। পরে সেখানেই প্রতিবাদ সমাবেশ করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্ব প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ এলাহী রনি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব তারেক মিয়া প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ও তার সুচিকিৎসার জন্য রাজপথে থেকে লড়াই করা হবে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

খালেদা জিয়ার মতো এত ত্যাগ ক’জন নেতা স্বীকার করেছেন বলে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুখ ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে আজও দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকারসহ জনগণের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য সংগ্রাম করছেন।’
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ তিনি এই প্রশ্ন করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু হয়েছে তার সংগ্রাম। এরপর দীর্ঘ নয় বছর স্বৈরাচার এরশাদ সরকারবিরোধী আন্দোলন করেছেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় কারাভোগ করেছেন। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকার তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নেয়। এখনো
তিনি কারাবন্দি। লিভার সিরোসিসে ভুগছেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি আছেন বলেই এখনো গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলছে, আমাদের শত্রুরা সীমান্তে ভয় পায়। এখনো আওয়ামী লীগ আছে খালেদা জিয়া দেশে আছেন, বেঁচে আছেন বলেই। তা না হলে আওয়ামী লীগ থাকবে না।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে যদি গণতন্ত্রকে চালু রাখতে চান, সুশাসন রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের ছাত্ররা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। অনেকে গুম হয়ে গেছে। অনেকে নির্যাতন ভোগ করে কারাগারে আছে। এদের মুক্ত করতে হলে ছাত্রদলকেই জেগে উঠতে হবে।’
ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল ইসলাম মিন্টু প্রমুখ।
সুনামগঞ্জে ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশের বাধা : এদিকে সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
গতকাল দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে শহরের পুরাতন বাসস্টেশন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করতে চাইলে খামারখালী ব্রিজের পাশে পুলিশ বাধা দেয়। পরে সেখানেই প্রতিবাদ সমাবেশ করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্ব প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ এলাহী রনি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব তারেক মিয়া প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ও তার সুচিকিৎসার জন্য রাজপথে থেকে লড়াই করা হবে।