রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যাচ্ছে মার্চের শেষে
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি | ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
আগামী মার্চ মাসের শেষের দিকে বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যাবে বলে জানিয়েছেন সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘খুব শিগগির রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্টটি বিদ্যুৎ উৎপাদানে যাবে। আমরা আশা করছি আগামী মার্চ মাসেই এটি সম্ভব হবে।’ প্ল্যান্টের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে গতকাল শনিবার দুপুরে এসব কথা বলেন তিনি। বিদ্যুৎ সচিব বলেন, ‘বৈশি^ক মহামারী করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণকাজ থেমে থাকেনি। দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প হিসেবে রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্টের সার্বিক কর্মকা- এগিয়ে চলছে। আশা করি খুব শিগগির এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।’
এ সময় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কাজী আবসার উদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ মোহসিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোডের্র চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান, পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া ও রামপালের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেনসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রকল্প মূল্যায়ন সভায় অংশ নেন সচিব মো. হাবিবুর রহমান। এ ছাড়া বিকেলে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে স্থানীয় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মধ্যে হুইলচেয়ার বিতরণ করেন তিনি।
রামপালের রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী-কৈগর্দ্দাশকাঠি মৌজায় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির উদ্যোগে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার মৈত্রী সুপার বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছে।
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ডিসেম্বরেই আমাদের উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবে ভারত থেকে নির্মাণশ্রমিক আনা-নেওয়ায় জটিলতাসহ সমসাময়িক নানা প্রতিকূলতায় কারণে উৎপাদনে যাওয়া টার্গেট বিলম্ব হচ্ছে। তবে এখন আশা করছি আগামী মার্চ মাসের শেষের দিকে উৎপাদনে যেতে পারব।’
শেয়ার করুন
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি | ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

আগামী মার্চ মাসের শেষের দিকে বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যাবে বলে জানিয়েছেন সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘খুব শিগগির রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্টটি বিদ্যুৎ উৎপাদানে যাবে। আমরা আশা করছি আগামী মার্চ মাসেই এটি সম্ভব হবে।’ প্ল্যান্টের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে গতকাল শনিবার দুপুরে এসব কথা বলেন তিনি। বিদ্যুৎ সচিব বলেন, ‘বৈশি^ক মহামারী করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণকাজ থেমে থাকেনি। দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প হিসেবে রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্টের সার্বিক কর্মকা- এগিয়ে চলছে। আশা করি খুব শিগগির এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।’
এ সময় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কাজী আবসার উদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ মোহসিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোডের্র চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান, পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া ও রামপালের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেনসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রকল্প মূল্যায়ন সভায় অংশ নেন সচিব মো. হাবিবুর রহমান। এ ছাড়া বিকেলে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে স্থানীয় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মধ্যে হুইলচেয়ার বিতরণ করেন তিনি।
রামপালের রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী-কৈগর্দ্দাশকাঠি মৌজায় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির উদ্যোগে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার মৈত্রী সুপার বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছে।
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ডিসেম্বরেই আমাদের উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবে ভারত থেকে নির্মাণশ্রমিক আনা-নেওয়ায় জটিলতাসহ সমসাময়িক নানা প্রতিকূলতায় কারণে উৎপাদনে যাওয়া টার্গেট বিলম্ব হচ্ছে। তবে এখন আশা করছি আগামী মার্চ মাসের শেষের দিকে উৎপাদনে যেতে পারব।’