নাসিক নির্বাচন
খোঁজ রাখেননি বিএনপির নীতিনির্ধারকরা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ দেখাননি বিএনপি নেতারা। ভোটের দিনেও দিনভর তারা কোনো খোঁজখবর নেননি। গতকাল রবিবার রাতে দেশ রূপান্তরকে এসব কথা বলেন দলটির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন রাতে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনের ফল কী হবে তা শুধু আমরা কেন, দেশের জনগণ আগেই বলে দিতে পারে। তাই নাসিক নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো আগ্রহ ছিল না। আমরা খোঁজখবরও রাখিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। এজন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে বিএনপি সেই নির্বাচনে অংশ নেবে না। আমরা নির্বাচনের বিরুদ্ধে ছিলাম। তাই নাসিক নির্বাচনে আমরা প্রার্থী দেইনি। এমনকি দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় আমরা চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছি।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নীতিনির্ধারক বলেন, ‘বিএনপি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিপক্ষে। কারণ এতে ভোটাররা ভোট দেবেন একজনকে আর সরকার বিজয়ী ঘোষণা করবে আরেকজনকে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল তাই হয়েছে।’
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নাসিক নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই। খোঁজখবরও নেইনি। সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে কী ফল হবে আমরা তা জানি। সেজন্য আমরা দলীয়ভাবে কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। ভবিষ্যতে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না।’
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সরকার পরিকল্পিতভাবে কারচুপি করেছে। ভোট শান্তিপূর্ণ দেখিয়েছে সরকার। কিন্তু সমস্যা করেছে ইভিএমে। তা ছাড়া ধীরগতিতে ভোট হওয়ায় অনেকে ভোট দিতে পারেননি। ইভিএম ছিল ক্রটিপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশের কথা বলছে। অথচ বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারও কারও বাসায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নানাভাবে হয়রানি করেছে। অভিযোগ করলেও তার সুরাহা করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ দেখাননি বিএনপি নেতারা। ভোটের দিনেও দিনভর তারা কোনো খোঁজখবর নেননি। গতকাল রবিবার রাতে দেশ রূপান্তরকে এসব কথা বলেন দলটির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন রাতে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনের ফল কী হবে তা শুধু আমরা কেন, দেশের জনগণ আগেই বলে দিতে পারে। তাই নাসিক নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো আগ্রহ ছিল না। আমরা খোঁজখবরও রাখিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। এজন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে বিএনপি সেই নির্বাচনে অংশ নেবে না। আমরা নির্বাচনের বিরুদ্ধে ছিলাম। তাই নাসিক নির্বাচনে আমরা প্রার্থী দেইনি। এমনকি দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় আমরা চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছি।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নীতিনির্ধারক বলেন, ‘বিএনপি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিপক্ষে। কারণ এতে ভোটাররা ভোট দেবেন একজনকে আর সরকার বিজয়ী ঘোষণা করবে আরেকজনকে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল তাই হয়েছে।’
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নাসিক নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই। খোঁজখবরও নেইনি। সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে কী ফল হবে আমরা তা জানি। সেজন্য আমরা দলীয়ভাবে কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। ভবিষ্যতে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না।’
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সরকার পরিকল্পিতভাবে কারচুপি করেছে। ভোট শান্তিপূর্ণ দেখিয়েছে সরকার। কিন্তু সমস্যা করেছে ইভিএমে। তা ছাড়া ধীরগতিতে ভোট হওয়ায় অনেকে ভোট দিতে পারেননি। ইভিএম ছিল ক্রটিপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশের কথা বলছে। অথচ বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারও কারও বাসায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নানাভাবে হয়রানি করেছে। অভিযোগ করলেও তার সুরাহা করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’