দুদকে শিল্পকলার ডিজিকে ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ
‘বিলে আমার স্বাক্ষর নেই’
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
ভুয়া বিল-ভাউচারসহ বিভিন্নভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) লিয়াকত আলী লাকীকে গতকাল রবিবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় ৫ ঘণ্টা তাকে জেরা করেন দুদক কর্মকর্তারা।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে লাকী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো বিলে আমার স্বাক্ষর নেই। অভিযোগ যা এসেছে, তার অধিকাংশই অপপ্রচার।’
দুদক কর্মকর্তারা জানান, গতকাল সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে লিয়াকত আলী লাকী দুদক কার্যালয়ে হাজির হন। অভ্যর্থনা রুমে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয়ে গঠিত টিম তাকে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে।
দুদক সূত্র জানায়, গত ৬ জানুয়ারি শিল্পকলার ডিজিকে তলব করে নোটিস দেয় সংস্থাটি। তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি, ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে লাকি এক প্রশ্নে জবাবে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করার আহ্বান জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা ২৬ কোটি টাকা উত্তোলনের কথা বলছেন, সেটি হবে ২১ কোটি টাকা। তার মধ্যে ৮ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ১৩ কোটি টাকা বেতন-বোনাস, পৌরকর ও বিদ্যুৎ বিলসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয়েছে। তা ছাড়া দেড় কোটির মতো ভ্যাট-ট্যাক্সে জমা হয়েছে।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, প্রায় এক যুগ ধরে শিল্পকলার মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা লাকীর বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে ২৬ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তা ছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সংগীত বিভাগের কক্ষে ব্যবহারের জন্য পর্দা, ক্রোকারিজ ও ফার্নিচার না কিনে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ, ড্যান্স অ্যাগেইনস্ট করোনা কর্মসূচির আওতায় নৃত্যদলের সম্মানী, হার্ডডিস্ক কেনা, ডকুমেন্টেশন, প্রপস-কস্টিউম, প্রচার ও বিবিধ ব্যয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা তোলারও অভিযোগ রয়েছে।
২ জানুয়ারি লাকীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। পরে দুই সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়।
শেয়ার করুন
‘বিলে আমার স্বাক্ষর নেই’
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

ভুয়া বিল-ভাউচারসহ বিভিন্নভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) লিয়াকত আলী লাকীকে গতকাল রবিবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় ৫ ঘণ্টা তাকে জেরা করেন দুদক কর্মকর্তারা।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে লাকী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো বিলে আমার স্বাক্ষর নেই। অভিযোগ যা এসেছে, তার অধিকাংশই অপপ্রচার।’
দুদক কর্মকর্তারা জানান, গতকাল সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে লিয়াকত আলী লাকী দুদক কার্যালয়ে হাজির হন। অভ্যর্থনা রুমে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয়ে গঠিত টিম তাকে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে।
দুদক সূত্র জানায়, গত ৬ জানুয়ারি শিল্পকলার ডিজিকে তলব করে নোটিস দেয় সংস্থাটি। তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি, ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে লাকি এক প্রশ্নে জবাবে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করার আহ্বান জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা ২৬ কোটি টাকা উত্তোলনের কথা বলছেন, সেটি হবে ২১ কোটি টাকা। তার মধ্যে ৮ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ১৩ কোটি টাকা বেতন-বোনাস, পৌরকর ও বিদ্যুৎ বিলসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয়েছে। তা ছাড়া দেড় কোটির মতো ভ্যাট-ট্যাক্সে জমা হয়েছে।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, প্রায় এক যুগ ধরে শিল্পকলার মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা লাকীর বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে ২৬ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তা ছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সংগীত বিভাগের কক্ষে ব্যবহারের জন্য পর্দা, ক্রোকারিজ ও ফার্নিচার না কিনে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ, ড্যান্স অ্যাগেইনস্ট করোনা কর্মসূচির আওতায় নৃত্যদলের সম্মানী, হার্ডডিস্ক কেনা, ডকুমেন্টেশন, প্রপস-কস্টিউম, প্রচার ও বিবিধ ব্যয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা তোলারও অভিযোগ রয়েছে।
২ জানুয়ারি লাকীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। পরে দুই সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়।