চাঁদা না দেওয়ায় খুন হন নবনির্বাচিত মেম্বার উত্তম
যশোর প্রতিনিধি | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ‘নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি’ নামে একটি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ সংগঠনের হাতে খুন হন যশোরের অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য (মেম্বার) উত্তম সরকার। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের দাবি করে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গতকাল রবিবার এ তথ্য জানায়।
ডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, মেম্বার উত্তম হত্যায় জড়িত পাঁচজনকে ডিবি ও অভয়নগর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে আটক করা হয়েছে। গত শনিবার রাত দেড়টা থেকে গতকাল ভোর পাঁচটা পর্যন্ত যশোরের অভয়নগর, মণিরামপুর ও কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া থানা এলাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় উত্তম হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি, মোবাইল ফোন সেট ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন- ডুমুরিয়ার রুদাঘরা গ্রামের ইকরামুল গোলদার ওরফে জুয়েল (১৯), অভয়নগরের সুন্দলী পূর্বপাড়ার যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা প্রজিৎ বিশ্বাস ওরফে বুলেট (৪৬), মণিরামপুরের সুজাতপুরের পল্লব বিশ্বাস ওরফে সুদীপ্ত (২৪), ডুমুরিয়ার চুকনগরের বাসিন্দা সাতক্ষীরার শ্যামনগরের দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের প্রশান্ত ম-ল (৩৮) এবং ডুমুরিয়ার দিঘলিয়া গ্রামের বিজন কুমার ম-ল ওরফে বিনোদ (৪২)।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে যশোর ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকার বলেন, আটক পাঁচজনই ‘নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট’ পার্টির সক্রিয় সদস্য। তারা তাদের দলীয় ছদ্মনাম ব্যবহার করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর বিভিন্ন এলাকায় হত্যা ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধ করে আসছিল। এর আগে আত্মসমর্পণ করে মুক্ত হয়ে নতুন করে সদস্য সংগ্রহ করে তারা সন্ত্রাসী সংগঠন চালু করেছে। গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি ওয়ান শুটারগান, ৩ রাউন্ড গুলি, ২টি গুলির খোসা, ৬ রাউন্ড ১২ বোরের কার্তুজ, ১টি লোহার রড, ১টি ককটেল, ১০ গ্রাম গান পাউডার, বোমা তৈরির ৫০ গ্রাম তারকাঁটা, একটি এয়ারগান এবং মেম্বার উত্তম হত্যার মিশনে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোন ও ২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছে।
ওসি রুপন আরও বলেন, ধার্যকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে গত ১০ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য উত্তম সরকারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্তে নেমে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় এসআই শামীম হোসেন বাদী হয়ে অভয়নগর ও মনিরামপুর থানায় ২টি মামলা করেছেন।
শেয়ার করুন
যশোর প্রতিনিধি | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ‘নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি’ নামে একটি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ সংগঠনের হাতে খুন হন যশোরের অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য (মেম্বার) উত্তম সরকার। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের দাবি করে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গতকাল রবিবার এ তথ্য জানায়।
ডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, মেম্বার উত্তম হত্যায় জড়িত পাঁচজনকে ডিবি ও অভয়নগর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে আটক করা হয়েছে। গত শনিবার রাত দেড়টা থেকে গতকাল ভোর পাঁচটা পর্যন্ত যশোরের অভয়নগর, মণিরামপুর ও কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া থানা এলাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় উত্তম হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি, মোবাইল ফোন সেট ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন- ডুমুরিয়ার রুদাঘরা গ্রামের ইকরামুল গোলদার ওরফে জুয়েল (১৯), অভয়নগরের সুন্দলী পূর্বপাড়ার যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা প্রজিৎ বিশ্বাস ওরফে বুলেট (৪৬), মণিরামপুরের সুজাতপুরের পল্লব বিশ্বাস ওরফে সুদীপ্ত (২৪), ডুমুরিয়ার চুকনগরের বাসিন্দা সাতক্ষীরার শ্যামনগরের দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের প্রশান্ত ম-ল (৩৮) এবং ডুমুরিয়ার দিঘলিয়া গ্রামের বিজন কুমার ম-ল ওরফে বিনোদ (৪২)।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে যশোর ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকার বলেন, আটক পাঁচজনই ‘নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট’ পার্টির সক্রিয় সদস্য। তারা তাদের দলীয় ছদ্মনাম ব্যবহার করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর বিভিন্ন এলাকায় হত্যা ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধ করে আসছিল। এর আগে আত্মসমর্পণ করে মুক্ত হয়ে নতুন করে সদস্য সংগ্রহ করে তারা সন্ত্রাসী সংগঠন চালু করেছে। গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি ওয়ান শুটারগান, ৩ রাউন্ড গুলি, ২টি গুলির খোসা, ৬ রাউন্ড ১২ বোরের কার্তুজ, ১টি লোহার রড, ১টি ককটেল, ১০ গ্রাম গান পাউডার, বোমা তৈরির ৫০ গ্রাম তারকাঁটা, একটি এয়ারগান এবং মেম্বার উত্তম হত্যার মিশনে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোন ও ২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছে।
ওসি রুপন আরও বলেন, ধার্যকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে গত ১০ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য উত্তম সরকারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্তে নেমে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় এসআই শামীম হোসেন বাদী হয়ে অভয়নগর ও মনিরামপুর থানায় ২টি মামলা করেছেন।