ইউপি নির্বাচন
মাদারীপুরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৫
মাদারীপুর প্রতিনিধি | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
মাদারীপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রচারকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের দুই সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের মন্টারপোল এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
এ ঘটনায় ঘটমাঝি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল আক্তার হাওলাদার ও খলিলুর রহমান দর্জিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে আরও চারজনকে আটক করা হয়।
আহতদের মধ্যে ১১ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেনÑ মনির দর্জি (৩৫), মোহাম্মদ ব্যাপারী (২৪), হায়দার খান (৪৫), সরোয়ার শেখ (৩০), রুবেল মাতুব্বর (২৫), আবু সালে (২৫), মো. ইসমাইল (১৩), সোবাহান মোল্লা (৫৫), আবদুর রহমান (২৫) এবং পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) এএইচএম সালাউদ্দিন ও সদস্য অভিজিৎ দে (২২)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ষষ্ঠ ধাপে ৩১ জানুয়ারি ঘটমাঝি ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল হাওলাদার ও ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খলিলুর রহমান। এ দুই প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা গতকাল বিকেলে মন্টারপোল বাজারে প্রচার-প্রচারণা চালান। একপর্যায়ে দুপক্ষ মুখোমুখি হওয়ার পর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এছাড়া বাবুল হাওলাদারের নির্বাচনী ক্যাম্প, ১০টি মোটরসাইকেল, বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংঘর্ষে পুলিশের দুই সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গতকাল রাত সাড়ে ৭টার দিকে সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান পাভেল বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে পুলিশের দুই সদস্যসহ ১১ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে সাতজনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
বাবুল হাওলাদার ও খলিলুর রহমান থানায় থাকায় এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, প্রচারণায় নেমে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপক্ষের ছোড়া ইটপাটকেলে পুলিশের তিন-চার সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শেয়ার করুন
মাদারীপুর প্রতিনিধি | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

মাদারীপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রচারকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের দুই সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের মন্টারপোল এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
এ ঘটনায় ঘটমাঝি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল আক্তার হাওলাদার ও খলিলুর রহমান দর্জিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে আরও চারজনকে আটক করা হয়।
আহতদের মধ্যে ১১ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেনÑ মনির দর্জি (৩৫), মোহাম্মদ ব্যাপারী (২৪), হায়দার খান (৪৫), সরোয়ার শেখ (৩০), রুবেল মাতুব্বর (২৫), আবু সালে (২৫), মো. ইসমাইল (১৩), সোবাহান মোল্লা (৫৫), আবদুর রহমান (২৫) এবং পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) এএইচএম সালাউদ্দিন ও সদস্য অভিজিৎ দে (২২)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ষষ্ঠ ধাপে ৩১ জানুয়ারি ঘটমাঝি ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল হাওলাদার ও ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খলিলুর রহমান। এ দুই প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা গতকাল বিকেলে মন্টারপোল বাজারে প্রচার-প্রচারণা চালান। একপর্যায়ে দুপক্ষ মুখোমুখি হওয়ার পর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এছাড়া বাবুল হাওলাদারের নির্বাচনী ক্যাম্প, ১০টি মোটরসাইকেল, বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংঘর্ষে পুলিশের দুই সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গতকাল রাত সাড়ে ৭টার দিকে সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান পাভেল বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে পুলিশের দুই সদস্যসহ ১১ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে সাতজনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
বাবুল হাওলাদার ও খলিলুর রহমান থানায় থাকায় এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, প্রচারণায় নেমে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপক্ষের ছোড়া ইটপাটকেলে পুলিশের তিন-চার সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।