রাজউকের সাবেক হিসাবরক্ষকের স্ত্রীর কারাদণ্ড
আদালত প্রতিবেদক | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক হিসাবরক্ষক তাহমিদ ইসলাম মিলনের স্ত্রী নেকলেস ইসলাম পলিকে চার বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
গতকাল রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
রায়ে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারায় নেকলেস ইসলামকে এক বছর, একই আইনের ২৭ (১) ধারায় আরও তিন বছর কারাদণ্ড এবং ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৪৬০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া অসাধু উপায়ে অর্জিত ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৪৬০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেয়। দুটি ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে। ফলে তাকে তিন বছর কারাভোগ করতে হবে বলে জানায় আদালত।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে নেকলেস ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৪ জুলাই তিনি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গৃহিণী নেকলেস ইসলামের দৃশ্যমান আয়ের উৎস নেই। কিন্তু স্বামী মিলনের দুর্নীতির অর্থ দিয়ে তিনি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেনÑ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিস দেয় দুদক। নেকলেস ইসলাম সম্পদ বিবরণীতে ১৪ লাখ ১২ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদ গোপন করেন এবং নিজ নামে অর্জিত ৯৬ লাখ ৯৫ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদের মধ্যে ৩৫ লাখ ৭ হাজার ২৪০ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখেন।
শেয়ার করুন
আদালত প্রতিবেদক | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক হিসাবরক্ষক তাহমিদ ইসলাম মিলনের স্ত্রী নেকলেস ইসলাম পলিকে চার বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
গতকাল রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
রায়ে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারায় নেকলেস ইসলামকে এক বছর, একই আইনের ২৭ (১) ধারায় আরও তিন বছর কারাদণ্ড এবং ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৪৬০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া অসাধু উপায়ে অর্জিত ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৪৬০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেয়। দুটি ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে। ফলে তাকে তিন বছর কারাভোগ করতে হবে বলে জানায় আদালত।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে নেকলেস ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৪ জুলাই তিনি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গৃহিণী নেকলেস ইসলামের দৃশ্যমান আয়ের উৎস নেই। কিন্তু স্বামী মিলনের দুর্নীতির অর্থ দিয়ে তিনি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেনÑ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিস দেয় দুদক। নেকলেস ইসলাম সম্পদ বিবরণীতে ১৪ লাখ ১২ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদ গোপন করেন এবং নিজ নামে অর্জিত ৯৬ লাখ ৯৫ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদের মধ্যে ৩৫ লাখ ৭ হাজার ২৪০ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখেন।