মায়ের কবরে শায়িত হলেন কাজীদা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
মায়ের কবরে শায়িত হলেন জনপ্রিয় গুপ্তচর চরিত্র ‘মাসুদ রানা’র স্রষ্টা কাজী আনোয়ার হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মা সাজেদা খাতুনের কবরে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সেগুনবাগিচার কাঁচাবাজার মসজিদে বাদ জোহর প্রথম জানাজা হয়। কাজী আনোয়ার হোসেনের চাচাতো ভাই কাজী রওনাক হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, দেশের যুব সম্প্রদায়ের কাছে কাজী আনোয়ার হোসেন ‘আইকনিক হিরো’ হয়ে উঠেছিলেন। তিনি যুব সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশকে প্রভাবিত করতে পেরেছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে তার তেমন মূল্যায়ন হয়নি। অবশ্য কাজী আনোয়ার হোসেন নিভৃতচারী জীবনযাপন করেছেন। তিনি পদক নিয়ে ভাবেননি। তবে রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার।
গত বুধবার বিকেলে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই পাঠকপ্রিয় লেখক। রাতে মরদেহ রাখা হয় বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে। গতকাল সকালে কাকরাইলের কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে গোসলের পর তার মরদেহ সেগুনবাগিচার বাসভবনে নেওয়া হয়।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ভিড় না করতে আগে থেকেই তার পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল। এ জন্য সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের কোনো আয়োজন ছিল না।
গত বছরের অক্টোবরে কাজী আনোয়ার হোসেনের প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়ে। মাঝে পাঁচবার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তারপর ব্রেইন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক হয়। গত ১০ জানুয়ারি থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় গত বুধবার বিকেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

মায়ের কবরে শায়িত হলেন জনপ্রিয় গুপ্তচর চরিত্র ‘মাসুদ রানা’র স্রষ্টা কাজী আনোয়ার হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মা সাজেদা খাতুনের কবরে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সেগুনবাগিচার কাঁচাবাজার মসজিদে বাদ জোহর প্রথম জানাজা হয়। কাজী আনোয়ার হোসেনের চাচাতো ভাই কাজী রওনাক হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, দেশের যুব সম্প্রদায়ের কাছে কাজী আনোয়ার হোসেন ‘আইকনিক হিরো’ হয়ে উঠেছিলেন। তিনি যুব সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশকে প্রভাবিত করতে পেরেছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে তার তেমন মূল্যায়ন হয়নি। অবশ্য কাজী আনোয়ার হোসেন নিভৃতচারী জীবনযাপন করেছেন। তিনি পদক নিয়ে ভাবেননি। তবে রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার।
গত বুধবার বিকেলে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই পাঠকপ্রিয় লেখক। রাতে মরদেহ রাখা হয় বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে। গতকাল সকালে কাকরাইলের কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে গোসলের পর তার মরদেহ সেগুনবাগিচার বাসভবনে নেওয়া হয়।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ভিড় না করতে আগে থেকেই তার পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল। এ জন্য সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের কোনো আয়োজন ছিল না।
গত বছরের অক্টোবরে কাজী আনোয়ার হোসেনের প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়ে। মাঝে পাঁচবার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তারপর ব্রেইন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক হয়। গত ১০ জানুয়ারি থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় গত বুধবার বিকেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।