আইসের বিস্তার ছড়াচ্ছে উদ্বেগ
ইমন রহমান | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
দেশে বিত্তশালীদের বখে যাওয়া সন্তানরা ইয়াবার পরিবর্তে ক্রিস্টাল মেথ বা আইস সেবনে ঝুঁকছে। তাদের কারণে ভয়ংকর এ মাদকের বড় বাজার গড়ে উঠছে। সহজে বহন ও লাভ বেশি হওয়ায় মাদক কারবারিরাও মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার, টেকনাফ এবং বান্দরবানের সীমান্ত দিয়ে আইস আনছে। পরে নানা কৌশলে সারা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে তারা। অন্যান্য মাদকের তুলনায় আইসের আসক্তি বেশি হওয়ায় সেবনকারীদের মধ্যে এর চাহিদা বেড়েই চলেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশে প্রথম ৫ গ্রাম আইস পাওয়া যায়। কয়েক বছরের ব্যবধানে এখন আইসের বড় বড় চালান ধরা পড়ছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালীর পাকা ব্রিজ এলাকা থেকে ৫ কেজি আইস জব্দ করে বিজিবি। চলতি বছরে গত শুক্রবার পর্যন্ত শুধু বিজিবির অভিযানে ১৬ কেজির বেশি আইস জব্দ হয়েছে। অন্যদিকে গত বছর মাদকবিরোধী অভিযানে প্রায় ৩৫ কেজি আইস জব্দ হয়েছিল। এর মধ্যে র্যাব ১৩ দশমিক ৭, বিজিবি ১২ দশমিক ৯, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ৩ দশমিক ২ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ৪ দশমিক ৮ কেজি আইন জব্দ করেছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে যারা ধরা পড়ছে, তারা বাহক পর্যায়ের। কিন্তু মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা জানান, মিয়ানমার থেকে নাফ নদী ও টেকনাফের সমুদ্রসীমা দিয়ে গভীর রাতে মাছ ধরার ট্রলারে আইস আনা হয়। এরপর রোহিঙ্গা শিবিরে মজুদ করা হয়। পরে সেখান থেকে কৌশলে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অন্য মাদকের চেয়ে আইসের ভয়াবহতা অনেক বেশি। কেউ একবার এ মাদকে জড়ালে মৃত্যু ছাড়া বের হওয়ার পথ থাকে না। ইয়াবায় মিথাইল এমফিটামিন যেখানে ১০-১৫, আইসে এর পরিমাণ ৯৬ শতাংশ। ফলে আইস সেবনকারীর শরীরে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। এই মাদক সেবনে নিদ্রাহীনতা, স্মৃতিবিভ্রম, মস্তিষ্কবিকৃতিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন সেবনে কিডনি, হৃদযন্ত্রে সমস্যা, ওজন কমে যাওয়া, বিষণœতা, স্ট্রোকের মতো শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। সেবনকারীর মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও বেশি দেখা দেয়। আইস সেবনের নয় মাসের মধ্যে নার্ভ সিস্টেম নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সম্প্রতি অভিযান বেড়ে যাওয়ায় প্রচুর আইস ধরা পড়ছে। মাদকসেবীরা বিভিন্ন সময় ভিন্ন স্বাদ নিতে মাদকের ধরন পরিবর্তন করে। ফলে আগে যারা ইয়াবা সেবন করত, তাদের মধ্যে এখন আইস সেবনের প্রবণতা বেড়েছে। অল্প পরিমাণ আইস সেবনেই অনেক বেশি আসক্তি তৈরি হয়। আইস তুলনামূলক ব্যয়বহুল। ফলে মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পরিবারের অনেকেই এতে আসক্ত হচ্ছে। আগে ঢাকার শুধু অভিজাত এলাকায় আইস পাওয়া গেলেও এখন মিরপুর, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, বনানীসহ অন্তত ৬টি এলাকায় আইস পাওয়া যাচ্ছে। আইস সহজে বহনযোগ্য এবং লাভ অনেক বেশি।’
তিনি বলেন, ‘দেশে প্রথম আইসের চালান ধরা পড়লে সে সময় দেখা যায় থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে এসেছিল। এখন অধিক হারে মিয়ানমার থেকেই আসছে। ফলে আমাদের ধারণা, মিয়ানমারেই আইস উৎপাদন হচ্ছে। আমরা এখন পর্যন্ত ১৫-১৬টি আইস কারবারি চক্রের তথ্য পেয়েছি।’
বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক মো. মেহেদি হোসাইন কবির দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আইসের চালান মিয়ানমার থেকে আসার পর নানা কৌশলে বহন করা হচ্ছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার যে চালান ধরেছি, সেটি চায়ের প্যাকেটে ছিল। এ সময় যাদের আটক করা হয়, তারা সবাই বাহক।’ তিনি বলেন, ‘১ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫৫০ ইয়াবা ও ৫ কেজি ক্রিস্টাল মেথসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।’
রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল ইব্রাহীম ফারুক জানান, মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্ট থেকে আনুমানিক দেড় কিলোমিটার দূরে পশ্চিম গোয়ালিয়া নামক স্থানে কুতুপালং থেকে কক্সবাজারগামী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গত শুক্রবার তল্লাশি চালিয়ে সৈয়দুল আমিন ও ফরহাদ নামে দুই মাদক কারবারির কাছ থেকে ১ কেজি আইস জব্দ করা হয়।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এখন বিক্রি হচ্ছে আইস। গত বছরের ১৮ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রায় ৫০০ গ্রাম আইসসহ একজনকে আটক করে। পরে ১৬ অক্টোবর একই এলাকা থেকে ৫ কেজি আইসসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই বছরের ৪ নভেম্বর গেণ্ডারিয়া থেকে ৬০০ গ্রাম আইসসহ এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘উচ্চবিত্ত পরিবারের বখে যাওয়া সন্তানরা এখন ইয়াবা ছেড়ে আইসে ঝুঁকেছে। তারা ঢাকার অভিজাত এলাকায় বসে আইস সেবন করছে। আমরা ভয়ংকর এ মাদক বন্ধে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক ড. দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, ‘আইস সবই মিয়ানমার থেকে আসছে। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী আমাদের টেকনাফ ও বান্দরবান দিয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এসব আইসের বড় বাহক রোহিঙ্গারা।’
শেয়ার করুন
ইমন রহমান | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

দেশে বিত্তশালীদের বখে যাওয়া সন্তানরা ইয়াবার পরিবর্তে ক্রিস্টাল মেথ বা আইস সেবনে ঝুঁকছে। তাদের কারণে ভয়ংকর এ মাদকের বড় বাজার গড়ে উঠছে। সহজে বহন ও লাভ বেশি হওয়ায় মাদক কারবারিরাও মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার, টেকনাফ এবং বান্দরবানের সীমান্ত দিয়ে আইস আনছে। পরে নানা কৌশলে সারা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে তারা। অন্যান্য মাদকের তুলনায় আইসের আসক্তি বেশি হওয়ায় সেবনকারীদের মধ্যে এর চাহিদা বেড়েই চলেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশে প্রথম ৫ গ্রাম আইস পাওয়া যায়। কয়েক বছরের ব্যবধানে এখন আইসের বড় বড় চালান ধরা পড়ছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালীর পাকা ব্রিজ এলাকা থেকে ৫ কেজি আইস জব্দ করে বিজিবি। চলতি বছরে গত শুক্রবার পর্যন্ত শুধু বিজিবির অভিযানে ১৬ কেজির বেশি আইস জব্দ হয়েছে। অন্যদিকে গত বছর মাদকবিরোধী অভিযানে প্রায় ৩৫ কেজি আইস জব্দ হয়েছিল। এর মধ্যে র্যাব ১৩ দশমিক ৭, বিজিবি ১২ দশমিক ৯, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ৩ দশমিক ২ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ৪ দশমিক ৮ কেজি আইন জব্দ করেছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে যারা ধরা পড়ছে, তারা বাহক পর্যায়ের। কিন্তু মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা জানান, মিয়ানমার থেকে নাফ নদী ও টেকনাফের সমুদ্রসীমা দিয়ে গভীর রাতে মাছ ধরার ট্রলারে আইস আনা হয়। এরপর রোহিঙ্গা শিবিরে মজুদ করা হয়। পরে সেখান থেকে কৌশলে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অন্য মাদকের চেয়ে আইসের ভয়াবহতা অনেক বেশি। কেউ একবার এ মাদকে জড়ালে মৃত্যু ছাড়া বের হওয়ার পথ থাকে না। ইয়াবায় মিথাইল এমফিটামিন যেখানে ১০-১৫, আইসে এর পরিমাণ ৯৬ শতাংশ। ফলে আইস সেবনকারীর শরীরে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। এই মাদক সেবনে নিদ্রাহীনতা, স্মৃতিবিভ্রম, মস্তিষ্কবিকৃতিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন সেবনে কিডনি, হৃদযন্ত্রে সমস্যা, ওজন কমে যাওয়া, বিষণœতা, স্ট্রোকের মতো শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। সেবনকারীর মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও বেশি দেখা দেয়। আইস সেবনের নয় মাসের মধ্যে নার্ভ সিস্টেম নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সম্প্রতি অভিযান বেড়ে যাওয়ায় প্রচুর আইস ধরা পড়ছে। মাদকসেবীরা বিভিন্ন সময় ভিন্ন স্বাদ নিতে মাদকের ধরন পরিবর্তন করে। ফলে আগে যারা ইয়াবা সেবন করত, তাদের মধ্যে এখন আইস সেবনের প্রবণতা বেড়েছে। অল্প পরিমাণ আইস সেবনেই অনেক বেশি আসক্তি তৈরি হয়। আইস তুলনামূলক ব্যয়বহুল। ফলে মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পরিবারের অনেকেই এতে আসক্ত হচ্ছে। আগে ঢাকার শুধু অভিজাত এলাকায় আইস পাওয়া গেলেও এখন মিরপুর, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, বনানীসহ অন্তত ৬টি এলাকায় আইস পাওয়া যাচ্ছে। আইস সহজে বহনযোগ্য এবং লাভ অনেক বেশি।’
তিনি বলেন, ‘দেশে প্রথম আইসের চালান ধরা পড়লে সে সময় দেখা যায় থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে এসেছিল। এখন অধিক হারে মিয়ানমার থেকেই আসছে। ফলে আমাদের ধারণা, মিয়ানমারেই আইস উৎপাদন হচ্ছে। আমরা এখন পর্যন্ত ১৫-১৬টি আইস কারবারি চক্রের তথ্য পেয়েছি।’
বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক মো. মেহেদি হোসাইন কবির দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আইসের চালান মিয়ানমার থেকে আসার পর নানা কৌশলে বহন করা হচ্ছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার যে চালান ধরেছি, সেটি চায়ের প্যাকেটে ছিল। এ সময় যাদের আটক করা হয়, তারা সবাই বাহক।’ তিনি বলেন, ‘১ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫৫০ ইয়াবা ও ৫ কেজি ক্রিস্টাল মেথসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।’
রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল ইব্রাহীম ফারুক জানান, মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্ট থেকে আনুমানিক দেড় কিলোমিটার দূরে পশ্চিম গোয়ালিয়া নামক স্থানে কুতুপালং থেকে কক্সবাজারগামী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গত শুক্রবার তল্লাশি চালিয়ে সৈয়দুল আমিন ও ফরহাদ নামে দুই মাদক কারবারির কাছ থেকে ১ কেজি আইস জব্দ করা হয়।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এখন বিক্রি হচ্ছে আইস। গত বছরের ১৮ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রায় ৫০০ গ্রাম আইসসহ একজনকে আটক করে। পরে ১৬ অক্টোবর একই এলাকা থেকে ৫ কেজি আইসসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই বছরের ৪ নভেম্বর গেণ্ডারিয়া থেকে ৬০০ গ্রাম আইসসহ এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘উচ্চবিত্ত পরিবারের বখে যাওয়া সন্তানরা এখন ইয়াবা ছেড়ে আইসে ঝুঁকেছে। তারা ঢাকার অভিজাত এলাকায় বসে আইস সেবন করছে। আমরা ভয়ংকর এ মাদক বন্ধে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক ড. দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, ‘আইস সবই মিয়ানমার থেকে আসছে। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী আমাদের টেকনাফ ও বান্দরবান দিয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এসব আইসের বড় বাহক রোহিঙ্গারা।’