আলোচনা সভায় জাফরুল্লাহ
শাবিপ্রবির ঘটনায় পদত্যাগ করা উচিত শিক্ষামন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
শাবিপ্রবির ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল শনিবার দুপুরে ধানম-ির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীরউত্তম মেজর হায়দার মিলনায়তনে মওলানা ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ভাসানী অনুসারী পরিষদ কর্র্তৃক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করে তিনি।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক হাবীবুর রহমান রিজুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের নেতা অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ। ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘আজকে শাবিপ্রবির ছাত্ররা আন্দোলন করছে ভার্সিটির ভিসি পুলিশ দিয়ে ছাত্রদের মেরেছে বলে। এটাই যথেষ্ট উনি আজকেই পদত্যাগ করে ছাত্রদের বলবেন আমার ভুল হয়েছিল, এর জন্য তাকে ক্ষমা চাওয়া উচিত। পুলিশ দিয়ে কেন তাদের পেটানো হবে? ভিসির অপরাধ কী আছে সেটা আমি দেখতে চাই না, শুধু পুলিশ দিয়ে ওদের পেটানোর জন্য ছাত্রদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমি মনে করি শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। কারণ শিক্ষামন্ত্রী তাদের ডেকে পাঠাচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রীর উচিত তাদের কাছে গিয়ে মীমাংসা করে দেওয়া।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এ সরকার আমাদের বাঁদর খেলা দেখাচ্ছে, এ সরকার মনে করে আমরা সবাই বোকা। আমলা দিয়ে দেশ কখনো সুশাসন হয় না। আসলে সরকার পুরোপুরি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। আমলা দিয়ে সুশাসন কায়েম করা যায় না, ধান্দাবাজি করানো যায়। আজকে এই আমলারা যারাই আপনার সঙ্গে মিনমিন করছে তারা একটা সময় আপনাকে বেঁধে নিয়ে আসবে।’
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আগামী নির্বাচন পূর্ববর্তী দুই নির্বাচনকেও ছাড়িয়ে যাবে। একটা পরিকল্পনা হলো নির্বাচনে প্রধান শিক্ষকদের ব্যবহার করা হবে এবং জেলা প্রশাসকরা তো অনুগত আছেই। এসব ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। আমি মনে করি না যে তিন মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে। অন্তত দুই বছরের জন্য একটা জাতীয় সরকার বা সর্বদলীয় সরকার দরকার।’
গণসংহতি পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ছাত্রসমাজ আমাদের নতুন পথের দিশা দেখাচ্ছে। বর্তমান সরকার মওলানা ভাসানীকে প্রান্তিক জায়গায় ঠেলে দিচ্ছে। এ রাষ্ট্র তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্মরণ করে না। কারণ রাষ্ট্রে প্রান্তিক জনগণের অংশীদারিত্ব নেই।’
মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে নুরুল হক নুর বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এ সময়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই আমাদের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

শাবিপ্রবির ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল শনিবার দুপুরে ধানম-ির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীরউত্তম মেজর হায়দার মিলনায়তনে মওলানা ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ভাসানী অনুসারী পরিষদ কর্র্তৃক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করে তিনি।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক হাবীবুর রহমান রিজুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের নেতা অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ। ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘আজকে শাবিপ্রবির ছাত্ররা আন্দোলন করছে ভার্সিটির ভিসি পুলিশ দিয়ে ছাত্রদের মেরেছে বলে। এটাই যথেষ্ট উনি আজকেই পদত্যাগ করে ছাত্রদের বলবেন আমার ভুল হয়েছিল, এর জন্য তাকে ক্ষমা চাওয়া উচিত। পুলিশ দিয়ে কেন তাদের পেটানো হবে? ভিসির অপরাধ কী আছে সেটা আমি দেখতে চাই না, শুধু পুলিশ দিয়ে ওদের পেটানোর জন্য ছাত্রদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমি মনে করি শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। কারণ শিক্ষামন্ত্রী তাদের ডেকে পাঠাচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রীর উচিত তাদের কাছে গিয়ে মীমাংসা করে দেওয়া।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এ সরকার আমাদের বাঁদর খেলা দেখাচ্ছে, এ সরকার মনে করে আমরা সবাই বোকা। আমলা দিয়ে দেশ কখনো সুশাসন হয় না। আসলে সরকার পুরোপুরি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। আমলা দিয়ে সুশাসন কায়েম করা যায় না, ধান্দাবাজি করানো যায়। আজকে এই আমলারা যারাই আপনার সঙ্গে মিনমিন করছে তারা একটা সময় আপনাকে বেঁধে নিয়ে আসবে।’
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আগামী নির্বাচন পূর্ববর্তী দুই নির্বাচনকেও ছাড়িয়ে যাবে। একটা পরিকল্পনা হলো নির্বাচনে প্রধান শিক্ষকদের ব্যবহার করা হবে এবং জেলা প্রশাসকরা তো অনুগত আছেই। এসব ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। আমি মনে করি না যে তিন মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে। অন্তত দুই বছরের জন্য একটা জাতীয় সরকার বা সর্বদলীয় সরকার দরকার।’
গণসংহতি পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ছাত্রসমাজ আমাদের নতুন পথের দিশা দেখাচ্ছে। বর্তমান সরকার মওলানা ভাসানীকে প্রান্তিক জায়গায় ঠেলে দিচ্ছে। এ রাষ্ট্র তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্মরণ করে না। কারণ রাষ্ট্রে প্রান্তিক জনগণের অংশীদারিত্ব নেই।’
মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে নুরুল হক নুর বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এ সময়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই আমাদের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।’