সাগর-রুনি মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন ৮৮ বার পেছাল
আদালত প্রতিবেদক | ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ৮৮ বার পিছিয়ে আগামী ৭ জুন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আগামী ৭ জুন প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৮৮ বার পেছাল।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম সাহারা খাতুন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেন। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন এসেছে দুইবার, পাল্টেছে তদন্ত কর্মকর্তাও।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা।
পরে ২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত ভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর। এর দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্ত দেওয়া হয় র্যপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব)।
এখন পর্যন্ত ৮৮ বার সময় নিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। হত্যাকাণ্ডের দশ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো তদন্তেই আটকে আছে বিচার।
এদিকে মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার ৮ জনের কেউই এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি। মামলার আসামিদের মধ্যে দুজন বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পাল ও কথিত বন্ধু তানভীর রহমান জামিনে আছেন।
অন্য ছয় আসামি মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুন, রফিকুল ইসলাম, এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবিল ও আবু সাঈদ কারাগারে আটক আছেন। এ পর্যন্ত ১৫৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাব।
শেয়ার করুন
আদালত প্রতিবেদক | ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ৮৮ বার পিছিয়ে আগামী ৭ জুন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আগামী ৭ জুন প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৮৮ বার পেছাল।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম সাহারা খাতুন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেন। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন এসেছে দুইবার, পাল্টেছে তদন্ত কর্মকর্তাও।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা।
পরে ২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত ভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর। এর দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্ত দেওয়া হয় র্যপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব)।
এখন পর্যন্ত ৮৮ বার সময় নিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। হত্যাকাণ্ডের দশ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো তদন্তেই আটকে আছে বিচার।
এদিকে মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার ৮ জনের কেউই এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি। মামলার আসামিদের মধ্যে দুজন বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পাল ও কথিত বন্ধু তানভীর রহমান জামিনে আছেন।
অন্য ছয় আসামি মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুন, রফিকুল ইসলাম, এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবিল ও আবু সাঈদ কারাগারে আটক আছেন। এ পর্যন্ত ১৫৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাব।