আমি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট, মিনি ইউক্রেনের নয়
রূপান্তর ডেস্ক | ৮ মে, ২০২২ ০০:০০
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে মস্কোর সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছাতে রাশিয়াকে একটি রেডলাইন নির্ধারণ করে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো শান্তিচুক্তি নির্ভর করছে রুশ সামরিক বাহিনীর প্রাক-আক্রমণের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার ওপর। অর্থাৎ শান্তিচুক্তিতে পৌঁছাতে হলে রুশ সেনাদের হামলা শুরুর আগের অবস্থানে ফিরতে হবে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
বিবিসির গতকাল শনিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনের একটি থিংকট্যাংকের সঙ্গে কথা বলার সময় ভলোদিমির জেলেনস্কি এই মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, হামলা শুরুর আগের অবস্থানে রুশ সেনাদের ফেরার চেয়ে কম কিছু তার দেশ মেনে নিতে পারে না। জেলেনস্কি জানান, তিনি ‘ইউক্রেনের নেতা, মিনি-ইউক্রেনের নয়’। অবশ্য এসব কথা বলার সময় ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়ার কথা উল্লেখ করেননি ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। রাশিয়া বর্তমানে মারিওপোল শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই করছে।
রাজধানী কিয়েভ থেকে লন্ডনের চ্যাথাম হাউজ থিংকট্যাংকের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে রাশিয়া যেসব ভূখণ্ড দখল করেছে সেসব এলাকায় এখনো তাদের (রাশিয়ার) দখলদারিত্ব ধরে রাখার প্রশ্নই উঠতে পারে না। বিবিসি’র এক প্রশ্নের জবাবে যুদ্ধ শুরুর একদিন আগের কথা টেনে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ থামাতে ২৩ ফেব্রুয়ারির মতো পরিস্থিতিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে ইউক্রেনের জনগণ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছে, কোনো ধরনের মিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট।’
ইউক্রেন ২৩ ফেব্রুয়ারির মতো অবস্থান ফিরে পেতে চাইছে, এর অর্থ ২০১৪ সালে রাশিয়ার কাছে হাতছাড়া হওয়া ক্রিমিয়া পুনরায় ফিরে পাওয়ার বিষয়ে খুব বেশি ভাবছে না কিয়েভ। আট বছর আগে ইউক্রেনের এই অঞ্চলটি রুশ ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে মস্কো। ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মারিওপোল শহরের আজভস্টাল ইস্পাত কারখানার ভেতরে থাকা ইউক্রেনের যোদ্ধারা রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী লড়াই চালিয়ে যাওয়ার খবর দেয় আজভ রেজিমেন্টের কমান্ডার। টেলিগ্রামে এক ভিডিও পোস্টে কমান্ডার ডেনিস প্রকোপেঙ্কো তার সৈন্যদের প্রশংসা করে বলেন, তারা রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে অতিমানবীয় তৎপরতা দেখিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের জন্য আরও ১৫ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন। এছাড়া রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো। এ বিষয়ে আজ রবিবার বৈঠক করবেন তারা। এর আগে ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকাতে একাধিক রেলস্টেশনসহ অন্যান্য সরবরাহ লাইনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। পশ্চিমা দেশগুলো ‘অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন ভর্তি’ করছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ৮ মে, ২০২২ ০০:০০

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে মস্কোর সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছাতে রাশিয়াকে একটি রেডলাইন নির্ধারণ করে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো শান্তিচুক্তি নির্ভর করছে রুশ সামরিক বাহিনীর প্রাক-আক্রমণের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার ওপর। অর্থাৎ শান্তিচুক্তিতে পৌঁছাতে হলে রুশ সেনাদের হামলা শুরুর আগের অবস্থানে ফিরতে হবে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
বিবিসির গতকাল শনিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনের একটি থিংকট্যাংকের সঙ্গে কথা বলার সময় ভলোদিমির জেলেনস্কি এই মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, হামলা শুরুর আগের অবস্থানে রুশ সেনাদের ফেরার চেয়ে কম কিছু তার দেশ মেনে নিতে পারে না। জেলেনস্কি জানান, তিনি ‘ইউক্রেনের নেতা, মিনি-ইউক্রেনের নয়’। অবশ্য এসব কথা বলার সময় ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়ার কথা উল্লেখ করেননি ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। রাশিয়া বর্তমানে মারিওপোল শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই করছে।
রাজধানী কিয়েভ থেকে লন্ডনের চ্যাথাম হাউজ থিংকট্যাংকের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে রাশিয়া যেসব ভূখণ্ড দখল করেছে সেসব এলাকায় এখনো তাদের (রাশিয়ার) দখলদারিত্ব ধরে রাখার প্রশ্নই উঠতে পারে না। বিবিসি’র এক প্রশ্নের জবাবে যুদ্ধ শুরুর একদিন আগের কথা টেনে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ থামাতে ২৩ ফেব্রুয়ারির মতো পরিস্থিতিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে ইউক্রেনের জনগণ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছে, কোনো ধরনের মিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট।’
ইউক্রেন ২৩ ফেব্রুয়ারির মতো অবস্থান ফিরে পেতে চাইছে, এর অর্থ ২০১৪ সালে রাশিয়ার কাছে হাতছাড়া হওয়া ক্রিমিয়া পুনরায় ফিরে পাওয়ার বিষয়ে খুব বেশি ভাবছে না কিয়েভ। আট বছর আগে ইউক্রেনের এই অঞ্চলটি রুশ ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে মস্কো। ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মারিওপোল শহরের আজভস্টাল ইস্পাত কারখানার ভেতরে থাকা ইউক্রেনের যোদ্ধারা রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী লড়াই চালিয়ে যাওয়ার খবর দেয় আজভ রেজিমেন্টের কমান্ডার। টেলিগ্রামে এক ভিডিও পোস্টে কমান্ডার ডেনিস প্রকোপেঙ্কো তার সৈন্যদের প্রশংসা করে বলেন, তারা রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে অতিমানবীয় তৎপরতা দেখিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের জন্য আরও ১৫ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন। এছাড়া রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো। এ বিষয়ে আজ রবিবার বৈঠক করবেন তারা। এর আগে ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকাতে একাধিক রেলস্টেশনসহ অন্যান্য সরবরাহ লাইনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। পশ্চিমা দেশগুলো ‘অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন ভর্তি’ করছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা।