ছাত্রলীগ-যুবলীগের রোষানলে বিএনপি নেতা মোশাররফ
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি | ৮ মে, ২০২২ ০০:০০
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাসায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের সামনের বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তার বাসভবনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
ওই ঘটনার পর পুলিশ পাহারায় দাউদকান্দি ছেড়ে পাশের তিতাস উপজেলায় চলে যান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গতকাল দাউদকান্দি আসেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠান শেষ করে বের হওয়ার পথে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। তাৎক্ষণিক পুলিশ গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা দিয়ে সেখান থেকে নিয়ে যায়।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি জাহাঙ্গীর আলম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান শেষ করে তিতাসের একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য স্যারের (খন্দকার মোশাররফ) বাসভবন থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই আমাদের ওপর হামলা শুরু করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। এতে আমাদের লোকজন আহত হয়েছে। দাউদকান্দির শান্ত রাজনীতিতে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি করার পেছনে যারা জড়িত তাদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি (সদ্য বিলুপ্ত কমিটি) তারিকুল ইসলাম নয়নের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ ইকবাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আগে থেকেই পুলিশ ছিল। তবে সংখ্যায় কম থাকায় তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। আমি যাওয়ার পর উভয়পক্ষকে মুখোমুখি অবস্থানে দেখতে পাই। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর জানতে পারি মোশাররফ সাহেব নেতকর্মীদের নিয়ে তিতাস উপজেলায় যাবেন। তখন পুলিশি নিরাপত্তায় তাদের দাউদকান্দি পার করে দেওয়া হয়।’
শেয়ার করুন
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি | ৮ মে, ২০২২ ০০:০০

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাসায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের সামনের বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তার বাসভবনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
ওই ঘটনার পর পুলিশ পাহারায় দাউদকান্দি ছেড়ে পাশের তিতাস উপজেলায় চলে যান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গতকাল দাউদকান্দি আসেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠান শেষ করে বের হওয়ার পথে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। তাৎক্ষণিক পুলিশ গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা দিয়ে সেখান থেকে নিয়ে যায়।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি জাহাঙ্গীর আলম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান শেষ করে তিতাসের একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য স্যারের (খন্দকার মোশাররফ) বাসভবন থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই আমাদের ওপর হামলা শুরু করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। এতে আমাদের লোকজন আহত হয়েছে। দাউদকান্দির শান্ত রাজনীতিতে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি করার পেছনে যারা জড়িত তাদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি (সদ্য বিলুপ্ত কমিটি) তারিকুল ইসলাম নয়নের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ ইকবাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আগে থেকেই পুলিশ ছিল। তবে সংখ্যায় কম থাকায় তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। আমি যাওয়ার পর উভয়পক্ষকে মুখোমুখি অবস্থানে দেখতে পাই। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর জানতে পারি মোশাররফ সাহেব নেতকর্মীদের নিয়ে তিতাস উপজেলায় যাবেন। তখন পুলিশি নিরাপত্তায় তাদের দাউদকান্দি পার করে দেওয়া হয়।’