ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশ দ্রুত শ্রীলঙ্কায় পরিণত হতে যাচ্ছে
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | ১৪ মে, ২০২২ ০০:০০
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের অবস্থা দ্রুতই শ্রীলঙ্কার মতো হতে যাচ্ছে। কারণ এখানকার অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এদেশে ঋণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সাধারণ জনগণের ঘাড়েই চাপানো হচ্ছে। এসব কারণে দেশে সমস্যা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষ পথে নামতে বাধ্য হবে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের খাগড়াবাড়ি এলাকায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গুলিতে নিহত দুই যুবদল কর্মীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী নিজে একজন বড় ব্যবসায়ী। উনার ব্যবসায়ীদের চরিত্র সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত ছিল। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের বিশ^াস করা মানে তাদের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া। গোটা যে অবস্থাটা সে অবস্থায় আমরা দেখতে পাই সরকারের পরিচ্ছন্ন মদদে এই দ্রব্যমূল্য বাড়ানো হচ্ছে। তাদের সিন্ডিকেট দায়ী এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে। এই ব্যর্থতার জন্য সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।’
‘বিএনপির টপ টু বটম সব নেতার পদত্যাগ করা উচিত’Ñআওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘তারা সম্পূর্ণভাবে এই রাষ্ট্রকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। তাদের পদত্যাগ করা উচিত কারণ গোটা দেশের মানুষ জানে তাদের সব ক্ষেত্রে ব্যর্থতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, টাকা পাচার, অর্থনীতি ধ্বংস করে দেওয়া, সব মিলিয়ে তাদের পদত্যাগ করা উচিত।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, ইউনিয়ন সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ও জেলার অন্য সংগঠনের নেতারা।
পরে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে নিহত ও আহত ১০ নেতাকর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং নগদ সহায়তা দেন মির্জা ফখরুল।
শেয়ার করুন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | ১৪ মে, ২০২২ ০০:০০

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের অবস্থা দ্রুতই শ্রীলঙ্কার মতো হতে যাচ্ছে। কারণ এখানকার অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এদেশে ঋণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সাধারণ জনগণের ঘাড়েই চাপানো হচ্ছে। এসব কারণে দেশে সমস্যা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষ পথে নামতে বাধ্য হবে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের খাগড়াবাড়ি এলাকায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গুলিতে নিহত দুই যুবদল কর্মীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী নিজে একজন বড় ব্যবসায়ী। উনার ব্যবসায়ীদের চরিত্র সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত ছিল। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের বিশ^াস করা মানে তাদের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া। গোটা যে অবস্থাটা সে অবস্থায় আমরা দেখতে পাই সরকারের পরিচ্ছন্ন মদদে এই দ্রব্যমূল্য বাড়ানো হচ্ছে। তাদের সিন্ডিকেট দায়ী এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে। এই ব্যর্থতার জন্য সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।’
‘বিএনপির টপ টু বটম সব নেতার পদত্যাগ করা উচিত’Ñআওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘তারা সম্পূর্ণভাবে এই রাষ্ট্রকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। তাদের পদত্যাগ করা উচিত কারণ গোটা দেশের মানুষ জানে তাদের সব ক্ষেত্রে ব্যর্থতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, টাকা পাচার, অর্থনীতি ধ্বংস করে দেওয়া, সব মিলিয়ে তাদের পদত্যাগ করা উচিত।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, ইউনিয়ন সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ও জেলার অন্য সংগঠনের নেতারা।
পরে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে নিহত ও আহত ১০ নেতাকর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং নগদ সহায়তা দেন মির্জা ফখরুল।