ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমারের পদত্যাগ
রূপান্তর ডেস্ক | ১৫ মে, ২০২২ ০০:০০
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার। গভর্নর এসএন আরিয়ার কাছে গতকাল শনিবার নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কথা জানান তিনি। আগামী বছর ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। এ সময়ে বিপ্লবের পদত্যাগের কারণ নিয়ে খানিকটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার আগে বিপ্লব রাজ্য ভবনে গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে জানায় এনডিটিভি।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিপ্লব কুমারের জায়গায় দলের রাজ্য সভাপতিকেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে বিজেপি। পেশায় চিকিৎসক মানিক এখন রাজ্যসভার সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে ছয় মাসের মধ্যে তাকে কোনো বিধানসভা আসন থেকে জিতিয়ে আনতে হবে। তবে সেটা খুব একটা কঠিন হবে না বিজেপির পক্ষে। ৬০ আসনের ত্রিপুরায় বিজেপি গত বিধানসভা নির্বাচনে ৪৪টিতে জয় পেয়েছিল। তারই কোনো একটি থেকে মানিকের জয় নিশ্চিত করতে হবে বিজেপিকে।
গত বৃহস্পতিবার বিপ্লব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি গিয়েছিলেন। পিটিআইর খবরে বলা হয়, ভারতের উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে নির্বাচনের আগে দিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের মধ্যে দলীয় কিছু বিষয় নিয়ে মতভেদের সৃষ্টি হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশেই বিপ্লব পদত্যাগ করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছে আনন্দবাজার। গভর্নরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর বিপ্লব আনন্দবাজারকে বলেন, ‘দল আমাকে যেখানে যে কাজের জন্য ভাববে আমি তাতেই রাজি আছি।’
২০১৮ সালে বিজেপি ত্রিপুরা দখলের পরে বিপ্লবকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হন জিষ্ণুদেব বর্মা। জিষ্ণুদেব ত্রিপুরার রাজপরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে মানিকের সঙ্গে ছিলেন জিষ্ণুদেব বর্মা। তবে চারিলাম আসনের বিধায়ককে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন মানিক। গত এপ্রিল মাসেই রাজ্যসভায় গিয়েছেন মানিক। শপথ নেন ৩ এপ্রিল। সাংসদ জীবনের দু’মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন তিনি।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ১৫ মে, ২০২২ ০০:০০

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার। গভর্নর এসএন আরিয়ার কাছে গতকাল শনিবার নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কথা জানান তিনি। আগামী বছর ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। এ সময়ে বিপ্লবের পদত্যাগের কারণ নিয়ে খানিকটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার আগে বিপ্লব রাজ্য ভবনে গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে জানায় এনডিটিভি।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিপ্লব কুমারের জায়গায় দলের রাজ্য সভাপতিকেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে বিজেপি। পেশায় চিকিৎসক মানিক এখন রাজ্যসভার সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে ছয় মাসের মধ্যে তাকে কোনো বিধানসভা আসন থেকে জিতিয়ে আনতে হবে। তবে সেটা খুব একটা কঠিন হবে না বিজেপির পক্ষে। ৬০ আসনের ত্রিপুরায় বিজেপি গত বিধানসভা নির্বাচনে ৪৪টিতে জয় পেয়েছিল। তারই কোনো একটি থেকে মানিকের জয় নিশ্চিত করতে হবে বিজেপিকে।
গত বৃহস্পতিবার বিপ্লব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি গিয়েছিলেন। পিটিআইর খবরে বলা হয়, ভারতের উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে নির্বাচনের আগে দিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের মধ্যে দলীয় কিছু বিষয় নিয়ে মতভেদের সৃষ্টি হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশেই বিপ্লব পদত্যাগ করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছে আনন্দবাজার। গভর্নরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর বিপ্লব আনন্দবাজারকে বলেন, ‘দল আমাকে যেখানে যে কাজের জন্য ভাববে আমি তাতেই রাজি আছি।’
২০১৮ সালে বিজেপি ত্রিপুরা দখলের পরে বিপ্লবকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হন জিষ্ণুদেব বর্মা। জিষ্ণুদেব ত্রিপুরার রাজপরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে মানিকের সঙ্গে ছিলেন জিষ্ণুদেব বর্মা। তবে চারিলাম আসনের বিধায়ককে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন মানিক। গত এপ্রিল মাসেই রাজ্যসভায় গিয়েছেন মানিক। শপথ নেন ৩ এপ্রিল। সাংসদ জীবনের দু’মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন তিনি।