নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস পরীক্ষার্থী গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ মে, ২০২২ ০০:০০
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সুমন জোয়াদ্দার নামে এক পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি কক্ষ থেকে তাকে উত্তরপত্রসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি প্রবেশপত্র, একটি উত্তরপত্র, একটি প্রশ্নপত্র ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) হারুন অর রশিদ (সদ্য ডিআইজি পদে পদোন্নতি পাওয়া) জানিয়েছেন, ‘মাউশির অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক গ্রেড-১৬’ পদের পরীক্ষা দেওয়ার সময় ওই পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি প্রবেশপত্রের পেছনে ছোট ছোট করে সব প্রশ্নের উত্তর লিখে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরীক্ষা দেওয়ার সময় ওই কক্ষে ডিউটিরত শিক্ষক দেখতে পান, প্রবেশপত্রের পেছনে লেখা উত্তর দেখে উত্তরপত্র পূরণ করা হচ্ছে। তখন ওই শিক্ষক ওই পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র যাচাই করলে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরীক্ষার্থী সুমন জোয়াদ্দার জানিয়েছেন, পটুয়াখালীর সাইফুল, টাঙ্গাইলের খোকনসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের সহায়তায় হোয়াটসআপের মাধ্যমে তার কাছে উত্তর পাঠানো হয়। পরীক্ষার পৌনে ১ ঘণ্টা আগে উত্তরপত্র পেয়ে প্রবেশপত্রের পেছনে লিখে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
ডিবির তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. শাহাদত হোসেন সুমা দেশ রূপান্তরকে বলেন, সুমন জোয়াদ্দারের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া উত্তরপত্রের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের উত্তরের হুবহু মিল রয়েছে। ৭০টি প্রশ্নের উত্তরই মিলে গেছে। তার বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষায় অপরাধ আইনে একটি মামলা হয়েছে। চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যাদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ মে, ২০২২ ০০:০০

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সুমন জোয়াদ্দার নামে এক পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি কক্ষ থেকে তাকে উত্তরপত্রসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি প্রবেশপত্র, একটি উত্তরপত্র, একটি প্রশ্নপত্র ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) হারুন অর রশিদ (সদ্য ডিআইজি পদে পদোন্নতি পাওয়া) জানিয়েছেন, ‘মাউশির অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক গ্রেড-১৬’ পদের পরীক্ষা দেওয়ার সময় ওই পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি প্রবেশপত্রের পেছনে ছোট ছোট করে সব প্রশ্নের উত্তর লিখে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরীক্ষা দেওয়ার সময় ওই কক্ষে ডিউটিরত শিক্ষক দেখতে পান, প্রবেশপত্রের পেছনে লেখা উত্তর দেখে উত্তরপত্র পূরণ করা হচ্ছে। তখন ওই শিক্ষক ওই পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র যাচাই করলে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরীক্ষার্থী সুমন জোয়াদ্দার জানিয়েছেন, পটুয়াখালীর সাইফুল, টাঙ্গাইলের খোকনসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের সহায়তায় হোয়াটসআপের মাধ্যমে তার কাছে উত্তর পাঠানো হয়। পরীক্ষার পৌনে ১ ঘণ্টা আগে উত্তরপত্র পেয়ে প্রবেশপত্রের পেছনে লিখে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
ডিবির তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. শাহাদত হোসেন সুমা দেশ রূপান্তরকে বলেন, সুমন জোয়াদ্দারের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া উত্তরপত্রের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের উত্তরের হুবহু মিল রয়েছে। ৭০টি প্রশ্নের উত্তরই মিলে গেছে। তার বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষায় অপরাধ আইনে একটি মামলা হয়েছে। চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যাদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে।