রাঙ্গামাটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কেন এই রক্তপাত পাহাড়ের মানুষ শান্তিপ্রিয়
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি | ২৭ মে, ২০২২ ০০:০০
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আমরা জঙ্গি দমন করেছি, সন্ত্রাসীকে আমরা ঘরে ফিরিয়ে দিয়েছি। পার্বত্য তিন জেলায় কেন রক্তপাত হবে, পাহাড়ের মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। আমরা ওয়াদা করছি পুলিশ বাহিনী আপনাদের পাশে থাকবে, আপনারা প্রতিবাদ করুন, প্রতিরোধ করুন, যে যেখানে পারুন এই সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আমাদের তথ্য দিন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙ্গামাটির শহরের সুখীনীলগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে ডিআইজি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নস্ (পার্বত্য জেলাসূমহ) ও তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেছেন।
অনুষ্ঠানে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, চাকমা সার্কেল চিফ দেবাশীষ রায়, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি সাইফুল আবেদিন, এপিবিএন অধিনায়ক হাসনুল হায়দার প্রমুখ।
এ সময় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন, তিন পার্বত্য জেলার উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-সদস্য, হেডম্যান-কারবারিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনা করা ক্যাম্পসমূহগুলো রাঙ্গামাটির ১৮মাইল ক্যাম্প (১৮ এপিবিএন), বান্দরবানের রাবার বাগান ক্যাম্প (১৯ এপিবিএন) ও খাগড়াছড়ির পুরাতন পক্ষীমোড়া ক্যাম্প (২০ এপিবিএন)। এ ছাড়া রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িএই তিন জেলায় ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার্স এবং রাঙ্গামাটিস্থ পার্বত্য জেলাসমূহের কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
এর আগে বুধবার রাতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে তিন পার্বত্য জেলায় সেনাবাহিনীর প্রত্যাহারকৃত ক্যাম্পে চুক্তির শর্ত অনুসারেই এপিবিএনের ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় এপিবিএন ও পুলিশই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজন হলে র্যাবও আসবে, পুলিশও থাকবে। আমাদের পুলিশ এখন আগের চেয়েও অনেক সক্ষম।’
শেয়ার করুন
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি | ২৭ মে, ২০২২ ০০:০০

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আমরা জঙ্গি দমন করেছি, সন্ত্রাসীকে আমরা ঘরে ফিরিয়ে দিয়েছি। পার্বত্য তিন জেলায় কেন রক্তপাত হবে, পাহাড়ের মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। আমরা ওয়াদা করছি পুলিশ বাহিনী আপনাদের পাশে থাকবে, আপনারা প্রতিবাদ করুন, প্রতিরোধ করুন, যে যেখানে পারুন এই সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আমাদের তথ্য দিন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙ্গামাটির শহরের সুখীনীলগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে ডিআইজি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নস্ (পার্বত্য জেলাসূমহ) ও তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেছেন।
অনুষ্ঠানে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, চাকমা সার্কেল চিফ দেবাশীষ রায়, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি সাইফুল আবেদিন, এপিবিএন অধিনায়ক হাসনুল হায়দার প্রমুখ।
এ সময় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন, তিন পার্বত্য জেলার উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-সদস্য, হেডম্যান-কারবারিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনা করা ক্যাম্পসমূহগুলো রাঙ্গামাটির ১৮মাইল ক্যাম্প (১৮ এপিবিএন), বান্দরবানের রাবার বাগান ক্যাম্প (১৯ এপিবিএন) ও খাগড়াছড়ির পুরাতন পক্ষীমোড়া ক্যাম্প (২০ এপিবিএন)। এ ছাড়া রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িএই তিন জেলায় ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার্স এবং রাঙ্গামাটিস্থ পার্বত্য জেলাসমূহের কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
এর আগে বুধবার রাতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে তিন পার্বত্য জেলায় সেনাবাহিনীর প্রত্যাহারকৃত ক্যাম্পে চুক্তির শর্ত অনুসারেই এপিবিএনের ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় এপিবিএন ও পুলিশই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজন হলে র্যাবও আসবে, পুলিশও থাকবে। আমাদের পুলিশ এখন আগের চেয়েও অনেক সক্ষম।’