প্লাস্টিকখেকো পোকায় রিসাইক্লিংয়ের আশা
রূপান্তর ডেস্ক | ১১ জুন, ২০২২ ০০:০০
প্লাস্টিকের স্বাদে আকৃষ্ট এক পোকা রিসাইক্লিংয়ে বিপ্লব ঘটাতে সাহায্য করতে পারে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। অস্ট্রেলিয়ার এক দল বিজ্ঞানী জোফোবাস মোরিও নামে এই পোকা খুঁজে পেয়েছেন। সাধারণত সুপারওয়ার্ম হিসেবে পরিচিত এই পোকা পলিস্টাইরিন খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গবেষকরা মনে করছেন, পোকাটি রিসাইক্লিং অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। কারণ এই বিটল লার্ভা অন্ত্রের এনজাইমের মাধ্যমে প্লাস্টিক হজম করে।
গবেষক দলের প্রধান ড. ক্রিস রিংকে বলেন, ‘সুপারওয়ার্মগুলো ক্ষুদ্র রিসাইক্লিং প্ল্যান্টের মতো, এগুলো মুখ দিয়ে পলিস্টাইরিন কাটতে পারে এবং তারপর সেগুলো অন্ত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে খাওয়ায়।’
ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডের গবেষক দলটি তিন সপ্তাহ ধরে সুপারওয়ার্মের তিনটি গ্রুপকে বিভিন্ন খাবার দেয়। যে গ্রুপটি পলিস্টাইরিন খেয়েছিল, সেগুলোর ওজনও বেড়েছে। গবেষক দলটি দেখেছে, সুপারওয়ার্মের অন্ত্রে থাকা বেশ কয়েকটি এনজাইমের পলিস্টাইরিন এবং স্টাইরিন হজমের ক্ষমতা রয়েছে। এই দুটিই ফেলে দেওয়া পাত্র এবং গাড়ির যন্ত্রাংশের মতো অন্যান্য সামগ্রীতে থাকে।
বিবিসি বলছে, গবেষকরা রিসাইক্লিং প্ল্যান্টের মতো করে সুপারওয়ার্মের বড় আকারের খামার গড়তে আগ্রহী নন। এর বদলে তারা সেই এনজাইম শনাক্ত করতে চান, যা দিয়ে এই পোকাগুলো প্লাস্টিক হজম করে। এই এনজাইম বেশি করে উৎপাদন করে রিসাইক্লিং চালানো সম্ভব হবে।
মাইক্রোবিয়াল জিনোমিক্সে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, এনজাইম দিয়ে রিসাইক্লিং করার আগে প্লাস্টিককে যান্ত্রিকভাবে টুকরো টুকরো করা হবে। গবেষক ড. রিংকে বলেন, ‘এই বিক্রিয়া থেকে পাওয়া উপাদানগুলো দিয়ে অন্যান্য জীবাণুর মাধ্যমে বায়োপ্লাস্টিকের মতো উচ্চমূল্যের যৌগ তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।’
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গবেষকরা প্লাস্টিক ভাঙতে ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন। কিন্তু এ ধরনের কৌশল কখনো বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ১১ জুন, ২০২২ ০০:০০

প্লাস্টিকের স্বাদে আকৃষ্ট এক পোকা রিসাইক্লিংয়ে বিপ্লব ঘটাতে সাহায্য করতে পারে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। অস্ট্রেলিয়ার এক দল বিজ্ঞানী জোফোবাস মোরিও নামে এই পোকা খুঁজে পেয়েছেন। সাধারণত সুপারওয়ার্ম হিসেবে পরিচিত এই পোকা পলিস্টাইরিন খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গবেষকরা মনে করছেন, পোকাটি রিসাইক্লিং অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। কারণ এই বিটল লার্ভা অন্ত্রের এনজাইমের মাধ্যমে প্লাস্টিক হজম করে।
গবেষক দলের প্রধান ড. ক্রিস রিংকে বলেন, ‘সুপারওয়ার্মগুলো ক্ষুদ্র রিসাইক্লিং প্ল্যান্টের মতো, এগুলো মুখ দিয়ে পলিস্টাইরিন কাটতে পারে এবং তারপর সেগুলো অন্ত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে খাওয়ায়।’
ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডের গবেষক দলটি তিন সপ্তাহ ধরে সুপারওয়ার্মের তিনটি গ্রুপকে বিভিন্ন খাবার দেয়। যে গ্রুপটি পলিস্টাইরিন খেয়েছিল, সেগুলোর ওজনও বেড়েছে। গবেষক দলটি দেখেছে, সুপারওয়ার্মের অন্ত্রে থাকা বেশ কয়েকটি এনজাইমের পলিস্টাইরিন এবং স্টাইরিন হজমের ক্ষমতা রয়েছে। এই দুটিই ফেলে দেওয়া পাত্র এবং গাড়ির যন্ত্রাংশের মতো অন্যান্য সামগ্রীতে থাকে।
বিবিসি বলছে, গবেষকরা রিসাইক্লিং প্ল্যান্টের মতো করে সুপারওয়ার্মের বড় আকারের খামার গড়তে আগ্রহী নন। এর বদলে তারা সেই এনজাইম শনাক্ত করতে চান, যা দিয়ে এই পোকাগুলো প্লাস্টিক হজম করে। এই এনজাইম বেশি করে উৎপাদন করে রিসাইক্লিং চালানো সম্ভব হবে।
মাইক্রোবিয়াল জিনোমিক্সে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, এনজাইম দিয়ে রিসাইক্লিং করার আগে প্লাস্টিককে যান্ত্রিকভাবে টুকরো টুকরো করা হবে। গবেষক ড. রিংকে বলেন, ‘এই বিক্রিয়া থেকে পাওয়া উপাদানগুলো দিয়ে অন্যান্য জীবাণুর মাধ্যমে বায়োপ্লাস্টিকের মতো উচ্চমূল্যের যৌগ তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।’
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গবেষকরা প্লাস্টিক ভাঙতে ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন। কিন্তু এ ধরনের কৌশল কখনো বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে।