বন্যার্তদের পাশে শিক্ষার্থী চিকিৎসক, স্বেচ্ছাসেবীরা
রূপান্তর ডেস্ক | ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০
সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়াচ্ছেন শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, স্বেচ্ছাসেবক তরুণরা। সাড়ে ৪ লাখ টাকার ত্রাণসামগ্রী নিয়ে সিলেটে গেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। সুনামগঞ্জের ছাতকে আড়াইশ পরিবারকে জরুরি খাদ্য সহায়তা ও চিকিৎসাসেবা দিয়েছে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে যাওয়া চিকিৎসকসহ ২০ সদস্যের একটি দল।
গতকাল বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে সিলেটের বন্যার্তদের ত্রাণ দিতে রওনা হয় মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল। শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, এলাকাবাসী ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করা প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার ত্রাণসামগ্রী ৬০০ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে।
তাদের ত্রাণের ব্যাগের প্রতিটিতে থাকছে চাল ৩ কেজি, চিড়া ১.৫ কেজি, ডাল ৫০০ গ্রাম, খেজুর ৫০০ গ্রাম, বিস্কুট ৫০০ গ্রাম, চিনি ৫০০ গ্রাম, পানি ২ লিটার, স্যালাইন ৫টি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ২টি, না.পা ট্যাবলেট ১০টি, সাবান ১টি, ডিটারজেন্ট পাউডার ১ প্যাকেট, মোমবাতি ৫টি ও লাইটার ১টি। এ ছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মানিক শীল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের সংবলিত প্রচেষ্টায় আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। জনগণের টাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছি, তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে।’
এর আগে গত সোমবার কেরানীগঞ্জের ডাক্তার হাবিবুর রহমান ও তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের দলটি সিলেট-সুনামগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় বন্যার্তদের ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা দিতে যায়। প্রথম দিনে ৪ ভাগে ভাগ হয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের সহায়তায় কাজ করেছে দলটি। তাদের ত্রাণ বিতরণ কাজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে।
দলটির সদস্য কেরানীগঞ্জ পিয়ারলেস ইয়ুথ ক্লাবের সভাপতি সায়মন চৌধুরী বলেন, এখানে এমন অনেক পরিবার আছে যারা গত ২ দিন ধরে কিছু খায়নি। বন্যার্ত পরিবারগুলোকে স্যানিটারি ন্যাপকিন, জরুরি ওষুধ , চিড়া, গুড়, বিস্কুট, পাউরুটি, মোমবাতি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার পানি দিয়ে সহায়তা করছি। এখন পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। আর সেই সঙ্গে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। অনেকে ত্রাণ সহায়তা পেলেও প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না। প্রথম দিনে আমরা ছাতকে আড়াইশ পরিবারকে ত্রাণ ও জরুরি চিকিৎসাসেবা দিয়েছি। দ্বিতীয় দিন তিনশর বেশি পরিবারকে সহায়তা দেব। ত্রাণ ও চিকিৎসা দেওয়া আগামী কালকেও চলবে।’
কেরানীগঞ্জের ত্রাণকর্মী দলের নেতা ডাক্তার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে সবারই সাধ্য অনুযায়ী বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। বিপদে মানুষের পাশে মানুষ দাঁড়াবেএটাই আমাদের ধর্ম হওয়া উচিত।’
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০

সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়াচ্ছেন শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, স্বেচ্ছাসেবক তরুণরা। সাড়ে ৪ লাখ টাকার ত্রাণসামগ্রী নিয়ে সিলেটে গেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। সুনামগঞ্জের ছাতকে আড়াইশ পরিবারকে জরুরি খাদ্য সহায়তা ও চিকিৎসাসেবা দিয়েছে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে যাওয়া চিকিৎসকসহ ২০ সদস্যের একটি দল।
গতকাল বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে সিলেটের বন্যার্তদের ত্রাণ দিতে রওনা হয় মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল। শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, এলাকাবাসী ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করা প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার ত্রাণসামগ্রী ৬০০ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে।
তাদের ত্রাণের ব্যাগের প্রতিটিতে থাকছে চাল ৩ কেজি, চিড়া ১.৫ কেজি, ডাল ৫০০ গ্রাম, খেজুর ৫০০ গ্রাম, বিস্কুট ৫০০ গ্রাম, চিনি ৫০০ গ্রাম, পানি ২ লিটার, স্যালাইন ৫টি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ২টি, না.পা ট্যাবলেট ১০টি, সাবান ১টি, ডিটারজেন্ট পাউডার ১ প্যাকেট, মোমবাতি ৫টি ও লাইটার ১টি। এ ছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মানিক শীল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের সংবলিত প্রচেষ্টায় আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। জনগণের টাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছি, তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে।’
এর আগে গত সোমবার কেরানীগঞ্জের ডাক্তার হাবিবুর রহমান ও তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের দলটি সিলেট-সুনামগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় বন্যার্তদের ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা দিতে যায়। প্রথম দিনে ৪ ভাগে ভাগ হয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের সহায়তায় কাজ করেছে দলটি। তাদের ত্রাণ বিতরণ কাজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে।
দলটির সদস্য কেরানীগঞ্জ পিয়ারলেস ইয়ুথ ক্লাবের সভাপতি সায়মন চৌধুরী বলেন, এখানে এমন অনেক পরিবার আছে যারা গত ২ দিন ধরে কিছু খায়নি। বন্যার্ত পরিবারগুলোকে স্যানিটারি ন্যাপকিন, জরুরি ওষুধ , চিড়া, গুড়, বিস্কুট, পাউরুটি, মোমবাতি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার পানি দিয়ে সহায়তা করছি। এখন পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। আর সেই সঙ্গে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। অনেকে ত্রাণ সহায়তা পেলেও প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না। প্রথম দিনে আমরা ছাতকে আড়াইশ পরিবারকে ত্রাণ ও জরুরি চিকিৎসাসেবা দিয়েছি। দ্বিতীয় দিন তিনশর বেশি পরিবারকে সহায়তা দেব। ত্রাণ ও চিকিৎসা দেওয়া আগামী কালকেও চলবে।’
কেরানীগঞ্জের ত্রাণকর্মী দলের নেতা ডাক্তার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে সবারই সাধ্য অনুযায়ী বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। বিপদে মানুষের পাশে মানুষ দাঁড়াবেএটাই আমাদের ধর্ম হওয়া উচিত।’