বন্যার্তদের পাশে সেনা, পুলিশ ও র্যাবপ্রধান
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৪ জুন, ২০২২ ০০:০০
সুনামগঞ্জে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবপ্রধান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আলাদা আলাদাভাবে বন্যাকবলিত তিনটি এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেন তারা।
গতকাল দুপুরে সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘যতদিন সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গত মানুষের প্রয়োজন হবে, ততদিন সেনাবাহিনী সেখানে থাকবে। সবাইকে সহযোগিতায় কাজ করবে। জাতীয় দুর্যোগ জাতীয়ভাবে মোকাবিলা করতে হবে। দুর্যোগে সাহস নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এখনো অনেক পানিবন্দি আছে।’
সেনাবাহিনী প্রধান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন সক্ষমতার জায়গায় পৌঁছাচ্ছে যে এর চেয়ে বড় দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারব। দুর্যোগ এসেছে সেটা মোকাবিলায় সাহস, ধৈর্য এবং আন্তরিকতার সঙ্গে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য হলো মানুষের জীবন বাঁচানো। দ্বিতীয়ত তাদের স্বাস্থ্য এবং অন্য বিষয়গুলোর খেয়াল রাখা। এ লক্ষ্যে যা যা করণীয় আমরা করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছেন।’
অন্যদিকে তাহিরপুরের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) ড. বেনজীর আহমেদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘হঠাৎ বন্যায় লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধি, গ্রামবাসী, প্রশাসন ও পুলিশ একসঙ্গে কাজ করছে।’
অন্যদিকে সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রামে বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এ সময় তিনি বলেন, ‘দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে র্যাব। আমরা মানুষকে সেবা করার যে অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছি সেটি আগামীতেও বজায় রাখব।’
শেয়ার করুন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৪ জুন, ২০২২ ০০:০০

সুনামগঞ্জে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবপ্রধান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আলাদা আলাদাভাবে বন্যাকবলিত তিনটি এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেন তারা।
গতকাল দুপুরে সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘যতদিন সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গত মানুষের প্রয়োজন হবে, ততদিন সেনাবাহিনী সেখানে থাকবে। সবাইকে সহযোগিতায় কাজ করবে। জাতীয় দুর্যোগ জাতীয়ভাবে মোকাবিলা করতে হবে। দুর্যোগে সাহস নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এখনো অনেক পানিবন্দি আছে।’
সেনাবাহিনী প্রধান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন সক্ষমতার জায়গায় পৌঁছাচ্ছে যে এর চেয়ে বড় দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারব। দুর্যোগ এসেছে সেটা মোকাবিলায় সাহস, ধৈর্য এবং আন্তরিকতার সঙ্গে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য হলো মানুষের জীবন বাঁচানো। দ্বিতীয়ত তাদের স্বাস্থ্য এবং অন্য বিষয়গুলোর খেয়াল রাখা। এ লক্ষ্যে যা যা করণীয় আমরা করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছেন।’
অন্যদিকে তাহিরপুরের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) ড. বেনজীর আহমেদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘হঠাৎ বন্যায় লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধি, গ্রামবাসী, প্রশাসন ও পুলিশ একসঙ্গে কাজ করছে।’
অন্যদিকে সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রামে বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এ সময় তিনি বলেন, ‘দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে র্যাব। আমরা মানুষকে সেবা করার যে অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছি সেটি আগামীতেও বজায় রাখব।’