এশিয়া-ইউরোপ করোনার নতুন ঢেউয়ের মুখে
রূপান্তর ডেস্ক | ২৪ জুন, ২০২২ ০০:০০
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে এবং ইউরোপের দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাড়ছে। করোনার অতি সংক্রামক ওমিক্রনের দুটি উপধরনের কারণে এ সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত এক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে ৪৫ শতাংশ এবং ইউরোপে ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে কমলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মৃত্যু ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিরোধক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি গ্রীষ্মের ভ্রমণ মৌসুম শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপটে করোনার আরেকটি বৈশ্বিক ঢেউয়ের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, গত এক সপ্তাহে ৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন (৩৩ লাখ) মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং সাড়ে সাত হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) গত সপ্তাহে সতর্ক করে বলেছিল, ইউরোপে ওমিক্রনের বিএ.৪ ও বিএ.৫ উপধরন ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে। এই প্রবণতা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, এই উপধরনগুলো ইউরোপে আধিপত্যশীল হয়ে উঠবে। এর ফলে ইউরোপে করোনার সংক্রমণ হার বাড়তে পারে।
ইউরোপের বেশ কিছু দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। তার মধ্যে রয়েছে পর্তুগাল, জার্মানি, ফ্রান্স, গ্রিস, অস্ট্রিয়া, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, স্পেন।
ফ্রান্সের রেমন্ড-পয়েনকার হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ বেঞ্জামিন দাভিও বলেন, মহামারী আবার ত্বরান্বিত হচ্ছে। এই মৌসুমে এমন প্রবণতা একেবারেই অপ্রত্যাশিত।
ওমিক্রনের বিএ.৪ ও বিএ.৫ উপধরন দুটি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি সংক্রামক বলে জানান বেঞ্জামিন দাভিও। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার আগের ধরনগুলোর তুলনায় ওমিক্রনের বিএ.৪ ও বিএ.৫ উপধরনের অধিক সংক্রমণ সক্ষমতা রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার অবধি বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ৫৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৩ লাখ ৪৬ হাজার জনের। আর সেরে উঠেছে ৫২ কোটি ২৩ লাখ ৮১ হাজার ৬৫১ জন।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৪ জুন, ২০২২ ০০:০০

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে এবং ইউরোপের দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাড়ছে। করোনার অতি সংক্রামক ওমিক্রনের দুটি উপধরনের কারণে এ সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত এক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে ৪৫ শতাংশ এবং ইউরোপে ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে কমলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মৃত্যু ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিরোধক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি গ্রীষ্মের ভ্রমণ মৌসুম শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপটে করোনার আরেকটি বৈশ্বিক ঢেউয়ের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, গত এক সপ্তাহে ৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন (৩৩ লাখ) মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং সাড়ে সাত হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) গত সপ্তাহে সতর্ক করে বলেছিল, ইউরোপে ওমিক্রনের বিএ.৪ ও বিএ.৫ উপধরন ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে। এই প্রবণতা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, এই উপধরনগুলো ইউরোপে আধিপত্যশীল হয়ে উঠবে। এর ফলে ইউরোপে করোনার সংক্রমণ হার বাড়তে পারে।
ইউরোপের বেশ কিছু দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। তার মধ্যে রয়েছে পর্তুগাল, জার্মানি, ফ্রান্স, গ্রিস, অস্ট্রিয়া, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, স্পেন।
ফ্রান্সের রেমন্ড-পয়েনকার হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ বেঞ্জামিন দাভিও বলেন, মহামারী আবার ত্বরান্বিত হচ্ছে। এই মৌসুমে এমন প্রবণতা একেবারেই অপ্রত্যাশিত।
ওমিক্রনের বিএ.৪ ও বিএ.৫ উপধরন দুটি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি সংক্রামক বলে জানান বেঞ্জামিন দাভিও। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার আগের ধরনগুলোর তুলনায় ওমিক্রনের বিএ.৪ ও বিএ.৫ উপধরনের অধিক সংক্রমণ সক্ষমতা রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার অবধি বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ৫৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৩ লাখ ৪৬ হাজার জনের। আর সেরে উঠেছে ৫২ কোটি ২৩ লাখ ৮১ হাজার ৬৫১ জন।