‘মুক্তিযোদ্ধারা লুটতরাজ নারী নিপীড়ন করেছে’
জাবি প্রতিনিধি | ২৬ জুন, ২০২২ ০০:০০
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষকের অবসরের বয়সসংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় সুবিধা বাতিল করা নিয়ে সিনেট অধিবেশনে একাত্তর-পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের লুটতরাজকারী ও নারী নিপীড়নকারী বলে মন্তব্য করেছেন এক শিক্ষক। গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালেয়ের ৩৯তম বার্ষিক সিনেট সভায় এ মন্তব্য করেন ওই শিক্ষক। তার বক্তব্যের সাত মিনিটের একটি রেকর্ড দেশ রূপান্তরের হাতে এসেছে।
বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত ওই শিক্ষক হলেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তার এমন মন্তব্যে তাৎক্ষণিক ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত সিনেট সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষকরা।
মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষকদের অবসরের বয়স এক বছর বাড়ানো হবে কি না এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ওই মন্তব্য করেন অজিত কুমার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অজিত কুমার তার মন্তব্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আমি এমন মন্তব্য করেছি। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের আমি সম্মান করি।’
অডিও রেকর্ডে অজিত কুমারকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার বয়স যখন ১৪-১৫ তখন মুক্তিযুদ্ধ হয়, মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী কালও দেখেছি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছি। অনেক কিছুই দেখেছি। আজ এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যে ইমোশন (আবেগ) তৈরি হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের অবশ্যই আমি সম্মান করি। আবার এই মুক্তিযোদ্ধারাই কীভাবে নিপীড়ন করেছে নারীদের, আমি দুয়েকটা নামও বলতে পারি।’
তাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘আমার মামাও ছিল মুক্তিযোদ্ধা, এই নির্যাতনে তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। সততার জন্য অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধারা লুট করা শুরু করছে। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বললে অনেক ধরনের কথা আসে।’
মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করলেও অজিত কুমার তার বক্তব্য শেষ করেন, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে।
এই শিক্ষকের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যপন্থি শিক্ষক হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগের শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদে’র সভাপতি। এ ছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সাধারণ পরিষদ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মো খালিদ কুদ্দুস দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ঘটনার প্রেক্ষাপটে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। নেতিবাচক অর্থে করেননি।’
উপাচার্য (সাময়িক দায়িত্বে) অধ্যাপক মো. নুরুল আলম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাকে না জিজ্ঞেস করে ওই অজিত কুমার মজুমদারকে জিজ্ঞেস করলে ভালো হয়। কেন বলেছেন, কী প্রেক্ষিতে বলেছেন উনি ভালো বলতে পারবেন।’ উপাচার্য হিসেবে তার কাছে কোনো ব্যাখ্যা চাইবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ব্যাখ্যা চাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
এদিকে সিনেট অধিবেশনে মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষকের অতিরিক্ত এক বছর চাকরির সুবিধা বাতিল করাকে কেন্দ্র করে কয়েক ঘণ্টা তর্ক-বিতর্ক হয়। শুক্রবার রাতের এ সভায় দীর্ঘ আলোচনায় বেশিরভাগ সিনেট সদস্য মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক অধ্যাপক আমির হোসেনের এই রাষ্ট্রীয় সুবিধা রাখার পক্ষে মত দেন। এই সুবিধা বাতিল না করতে জোরালো যুক্তিতর্ক করেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহব্বত হোসেন, মনোয়ার হোসেনসহ বেশ কয়েক জ্যেষ্ঠ সদস্য। তাদের মত আমলে না নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিনেট সভার শেষ পর্যায়ে সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত হয়।
শিক্ষকদের একাংশ বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক সাবেক উপ-উপাচার্য ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আমির হোসেনের অবসরের বয়স এক বছর বাড়িয়ে চিঠি দিয়ে পরে তা বাতিলের চেষ্টা করছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। তারা অভিযোগ করেন, উপাচার্য পদে কে আসবেন এমন হিসাবনিকাশ মেলাতে গিয়ে অধ্যাপক আমিরকে অবসরে পাঠানোর জন্যই এই আয়োজন।
জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা বলছেন, ২০১২ সালে আইন হওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অতিরিক্ত মেয়াদ পেয়েছেন। অথচ অধ্যাপক আমির হোসেনকে এই সুবিধা দিয়ে এখন বাতিলের চেষ্টা চলছে। মূলত সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের ঘনিষ্ঠ শিক্ষকরা অধ্যাপক আমির হোসেনকে অবসরে পাঠানোর পাঁয়তারা করছেন বলে তারা দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিনেট সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মহব্বত হোসেন খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে সিনেট এমন অসম্মানজনক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আমি স্পষ্ট করে বলেছি। সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় অজিত কুমার মজুমদার যখন স্বাধীনতা-পরবর্তী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নানা সমালোচনা করেন তখন আমি তীব্র প্রতিবাদও করেছি। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার জন্য খুবই লজ্জার বিষয় এটি।’
সিনেট সদস্য অধ্যাপক সুফি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘একজন শিক্ষককে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরিতে অতিরিক্ত এক বছর না রাখার বিষয়টি এসেছে। অন্যসব বিশ্ববিদ্যালয় যদি মুক্তিযোদ্ধাদের এই সুবিধা দিতে পারে, তাহলে আমরা কেন পারব না। যিনি জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন তাকে এই সুবিধা দিতে এত তর্ক-বিতর্ক কেন?’
শেয়ার করুন
জাবি প্রতিনিধি | ২৬ জুন, ২০২২ ০০:০০

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষকের অবসরের বয়সসংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় সুবিধা বাতিল করা নিয়ে সিনেট অধিবেশনে একাত্তর-পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের লুটতরাজকারী ও নারী নিপীড়নকারী বলে মন্তব্য করেছেন এক শিক্ষক। গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালেয়ের ৩৯তম বার্ষিক সিনেট সভায় এ মন্তব্য করেন ওই শিক্ষক। তার বক্তব্যের সাত মিনিটের একটি রেকর্ড দেশ রূপান্তরের হাতে এসেছে।
বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত ওই শিক্ষক হলেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তার এমন মন্তব্যে তাৎক্ষণিক ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত সিনেট সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষকরা।
মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষকদের অবসরের বয়স এক বছর বাড়ানো হবে কি না এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ওই মন্তব্য করেন অজিত কুমার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অজিত কুমার তার মন্তব্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আমি এমন মন্তব্য করেছি। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের আমি সম্মান করি।’
অডিও রেকর্ডে অজিত কুমারকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার বয়স যখন ১৪-১৫ তখন মুক্তিযুদ্ধ হয়, মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী কালও দেখেছি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছি। অনেক কিছুই দেখেছি। আজ এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যে ইমোশন (আবেগ) তৈরি হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের অবশ্যই আমি সম্মান করি। আবার এই মুক্তিযোদ্ধারাই কীভাবে নিপীড়ন করেছে নারীদের, আমি দুয়েকটা নামও বলতে পারি।’
তাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘আমার মামাও ছিল মুক্তিযোদ্ধা, এই নির্যাতনে তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। সততার জন্য অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধারা লুট করা শুরু করছে। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বললে অনেক ধরনের কথা আসে।’
মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করলেও অজিত কুমার তার বক্তব্য শেষ করেন, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে।
এই শিক্ষকের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যপন্থি শিক্ষক হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগের শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদে’র সভাপতি। এ ছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সাধারণ পরিষদ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মো খালিদ কুদ্দুস দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ঘটনার প্রেক্ষাপটে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। নেতিবাচক অর্থে করেননি।’
উপাচার্য (সাময়িক দায়িত্বে) অধ্যাপক মো. নুরুল আলম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাকে না জিজ্ঞেস করে ওই অজিত কুমার মজুমদারকে জিজ্ঞেস করলে ভালো হয়। কেন বলেছেন, কী প্রেক্ষিতে বলেছেন উনি ভালো বলতে পারবেন।’ উপাচার্য হিসেবে তার কাছে কোনো ব্যাখ্যা চাইবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ব্যাখ্যা চাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
এদিকে সিনেট অধিবেশনে মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষকের অতিরিক্ত এক বছর চাকরির সুবিধা বাতিল করাকে কেন্দ্র করে কয়েক ঘণ্টা তর্ক-বিতর্ক হয়। শুক্রবার রাতের এ সভায় দীর্ঘ আলোচনায় বেশিরভাগ সিনেট সদস্য মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক অধ্যাপক আমির হোসেনের এই রাষ্ট্রীয় সুবিধা রাখার পক্ষে মত দেন। এই সুবিধা বাতিল না করতে জোরালো যুক্তিতর্ক করেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহব্বত হোসেন, মনোয়ার হোসেনসহ বেশ কয়েক জ্যেষ্ঠ সদস্য। তাদের মত আমলে না নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিনেট সভার শেষ পর্যায়ে সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত হয়।
শিক্ষকদের একাংশ বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক সাবেক উপ-উপাচার্য ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আমির হোসেনের অবসরের বয়স এক বছর বাড়িয়ে চিঠি দিয়ে পরে তা বাতিলের চেষ্টা করছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। তারা অভিযোগ করেন, উপাচার্য পদে কে আসবেন এমন হিসাবনিকাশ মেলাতে গিয়ে অধ্যাপক আমিরকে অবসরে পাঠানোর জন্যই এই আয়োজন।
জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা বলছেন, ২০১২ সালে আইন হওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অতিরিক্ত মেয়াদ পেয়েছেন। অথচ অধ্যাপক আমির হোসেনকে এই সুবিধা দিয়ে এখন বাতিলের চেষ্টা চলছে। মূলত সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের ঘনিষ্ঠ শিক্ষকরা অধ্যাপক আমির হোসেনকে অবসরে পাঠানোর পাঁয়তারা করছেন বলে তারা দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিনেট সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মহব্বত হোসেন খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে সিনেট এমন অসম্মানজনক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আমি স্পষ্ট করে বলেছি। সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় অজিত কুমার মজুমদার যখন স্বাধীনতা-পরবর্তী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নানা সমালোচনা করেন তখন আমি তীব্র প্রতিবাদও করেছি। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার জন্য খুবই লজ্জার বিষয় এটি।’
সিনেট সদস্য অধ্যাপক সুফি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘একজন শিক্ষককে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরিতে অতিরিক্ত এক বছর না রাখার বিষয়টি এসেছে। অন্যসব বিশ্ববিদ্যালয় যদি মুক্তিযোদ্ধাদের এই সুবিধা দিতে পারে, তাহলে আমরা কেন পারব না। যিনি জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন তাকে এই সুবিধা দিতে এত তর্ক-বিতর্ক কেন?’