৩০ বছর ফেরারি থেকে ২৮ সিনেমায় অভিনয়!
রূপান্তর ডেস্ক | ৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০
একসময় ছিলেন সেনাসদস্য। তবে কর্র্তৃপক্ষকে না জানিয়ে চার বছর নিরুদ্দেশ থাকায় চলে যায় সেনাবাহিনীর ট্রাকচালকের চাকরিটি। ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ওম প্রকাশ এর মধ্যে জড়িয়ে পড়েন হত্যা ও ডাকাতির মামলায়। সেই মামলায় ১৯৯২ সালে তার বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি চলে যান উত্তর প্রদেশে। গজিয়াবাদ জেলায় এক নারীকে বিয়ে করে পাতেন নতুন সংসার। এরপর শুরু করেন নতুন জীবন। স্থানীয় স্বল্প বাজেটের সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন। ফেরারি অবস্থায়ই গত ৩০ বছরের ট্রাক চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে চালাতেন একটি গানের দল। আর এর মধ্যে ২৮টি সিনেমায় অভিনয় করেছেনও ওম প্রকাশ। তার কয়েকটিতে তাকে দেখা গেছে পুলিশের ভূমিকায়ও। তবে শেষরক্ষা হয়নি। সম্প্রতি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন ৬৫ বছর বয়সী ওম প্রকাশ।
গতকাল শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের গজিয়াবাদ শহরের বস্তি থেকে ওম প্রকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পাশা নামেও পরিচিত। ডাকাতি ও হত্যা মামলার এ আসামিকে বহু বছর ধরে খুঁজছিল পুলিশ।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারের আগপর্যন্ত ওম প্রকাশ বেশ কয়েকটি টুপি পরে ঘুরে বেড়াতেন, কখনো ট্রাক চালাতেন, গ্রামে ঘুরে ঘুরে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভক্তিমূলক গান গাইতেন। এমনকি স্বল্প বাজেটের স্থানীয় ২৮ সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে পুলিশের পোশাকেও তাকে পর্দায় হাজির হতে দেখা গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে ওম প্রকাশের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তাকে গ্রেপ্তারে অংশ নেওয়া হরিয়ানার স্পেশাল টাস্কফোর্সের উপপরিদর্শক বিবেক কুমারা বলেছেন, ১৯৯২ সালের হত্যাকাণ্ডের জন্য আরেকজনকে দায়ী করেছেন এই আসামি।
ওম প্রকাশের বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতির অভিযোগ অনেক পুরনো। ১৯৮৬ সালে একটি গাড়ি, তার চার বছর পর স্কুটারসহ আরও কিছু চুরির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ১৯৯২ সালের জানুয়ারিতে বাইকে থাকা এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করে তিনি ও তার সহযোগীরা বাইক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। ওই সময় তার সহযোগী গ্রেপ্তার হলেও পালিয়ে নিরুদ্দেশ হন ওম।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০

একসময় ছিলেন সেনাসদস্য। তবে কর্র্তৃপক্ষকে না জানিয়ে চার বছর নিরুদ্দেশ থাকায় চলে যায় সেনাবাহিনীর ট্রাকচালকের চাকরিটি। ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ওম প্রকাশ এর মধ্যে জড়িয়ে পড়েন হত্যা ও ডাকাতির মামলায়। সেই মামলায় ১৯৯২ সালে তার বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি চলে যান উত্তর প্রদেশে। গজিয়াবাদ জেলায় এক নারীকে বিয়ে করে পাতেন নতুন সংসার। এরপর শুরু করেন নতুন জীবন। স্থানীয় স্বল্প বাজেটের সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন। ফেরারি অবস্থায়ই গত ৩০ বছরের ট্রাক চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে চালাতেন একটি গানের দল। আর এর মধ্যে ২৮টি সিনেমায় অভিনয় করেছেনও ওম প্রকাশ। তার কয়েকটিতে তাকে দেখা গেছে পুলিশের ভূমিকায়ও। তবে শেষরক্ষা হয়নি। সম্প্রতি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন ৬৫ বছর বয়সী ওম প্রকাশ।
গতকাল শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের গজিয়াবাদ শহরের বস্তি থেকে ওম প্রকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পাশা নামেও পরিচিত। ডাকাতি ও হত্যা মামলার এ আসামিকে বহু বছর ধরে খুঁজছিল পুলিশ।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারের আগপর্যন্ত ওম প্রকাশ বেশ কয়েকটি টুপি পরে ঘুরে বেড়াতেন, কখনো ট্রাক চালাতেন, গ্রামে ঘুরে ঘুরে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভক্তিমূলক গান গাইতেন। এমনকি স্বল্প বাজেটের স্থানীয় ২৮ সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে পুলিশের পোশাকেও তাকে পর্দায় হাজির হতে দেখা গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে ওম প্রকাশের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তাকে গ্রেপ্তারে অংশ নেওয়া হরিয়ানার স্পেশাল টাস্কফোর্সের উপপরিদর্শক বিবেক কুমারা বলেছেন, ১৯৯২ সালের হত্যাকাণ্ডের জন্য আরেকজনকে দায়ী করেছেন এই আসামি।
ওম প্রকাশের বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতির অভিযোগ অনেক পুরনো। ১৯৮৬ সালে একটি গাড়ি, তার চার বছর পর স্কুটারসহ আরও কিছু চুরির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ১৯৯২ সালের জানুয়ারিতে বাইকে থাকা এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করে তিনি ও তার সহযোগীরা বাইক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। ওই সময় তার সহযোগী গ্রেপ্তার হলেও পালিয়ে নিরুদ্দেশ হন ওম।