স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যারা বাইরে রয়েছেন, তাদের মধ্যে দু-একজনকে শিগগির দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বিকেলে আন্দরকিল্লা সিটি করপোরেশন চত্বরে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিটের উদ্যোগে ছয় দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশকে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের দেশ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আবার বঙ্গবন্ধুকন্যার ডাকে আজ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সব ধরনের সহযোগিতা করছি। এ দেশে সবাই স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সবকিছুতে সমান অধিকার পাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই ইতিহাস বিকৃত করে অনেক কথা বলছেন। বঙ্গবন্ধুকে খুন করে খুনি, কুলাঙ্গাররা বাংলাদেশকে অন্ধকারের জগতে ডুবিয়ে তুলছিল। বঙ্গবন্ধুর নামটাও মুছে ফেলার প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। আমরা অনেক দৃশ্য দেখেছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দৃশ্য কোনো দিন ভুলতে পারব না। ১৫ আগস্টের কথা কোনো দিন ভুলব না। কী অপরাধ করেছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা। এসব কিছুর আজকে হিসাব-নিকাশের সময় এসেছে। কারা এর সুবিধাভোগী?’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধারা অসীম সাহসিকতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা তাদের সেই ত্যাগের প্রতিদান দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি ভাতাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন।’

আগামী ১০ বছরে ৬০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা হারিয়ে যাবেন উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একজন একজন করে আমরা হারিয়ে যাচ্ছি। আমরা সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে আছি, সেটা প্রমাণ করতে একটি সমাবেশ করব। বুঝিয়ে দেব, বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধারা এখনো বেঁচে আছেন, যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে তারা প্রস্তুত।’

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আক্তার, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান প্রমুখ।