অমর্ত্য সেনের সমালোচনায় বাবুল সুপ্রিয়
রূপান্তর ডেস্ক | ৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সমালোচনায় মুখর হলেন। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই এমন সমালোচনা করলেন বাবুল সুপ্রিয়। গতকাল শুক্রবার তিনি বলেন, অমর্ত্য সেন রাজনৈতিক রঙের বাইরে বেরোতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, ‘ওনার (অমর্ত্য সেনের) স্বাধীনতা আছে। উনি যা করেছেন তা ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। বাংলায় রাজনৈতিক তরজা থাকবেই। উনি কিন্তু বারেবারে প্রমাণ করেছেন যে উনি একজন কিংবদন্তি অর্থনীতিবিদ হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক রঙের বাইরে বেরোতে পারছেন না। এটা উনি সারাক্ষণ করছেন। তবে এটা ওনার অধিকার।’
গত ২৫ জুলাই অমর্ত্য সেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুরস্কার ‘বঙ্গবিভূষণ’ নেওয়ার ব্যাপারে তার অপারগতার কথা জানান। তার মেয়ে অন্তরা দেব সেন প্রচারমাধ্যমকে বলেছিলেন, অধ্যাপক সেন রাজ্য সরকারকে আগেই জানিয়েছিলেন যে তিনি জুলাই মাসে ভারতে থাকছেন না এবং অনুরোধ করেন অল্প বয়স্ক কাউকে এই পুরস্কার দেওয়ার জন্য।
রাজ্য সরকার ২০২২ সালে ১৬ জনকে এই পুরস্কার দিয়েছে, যাদের মধ্যে দুই অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কৌশিক বসু ছাড়াও রয়েছেন গায়ক কুমার শানু, পরমাণুবিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ, সাহিত্যিক আবুল বাশার, শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া প্রমুখ।
বিষয়টি নিয়ে জুলাই মাসের শেষে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শিল্পী সুভা প্রসন্ন প্রচার মাধ্যমকে বলেন, ‘অধ্যাপক সেনের সঙ্গে আমাদের (তৃণমূল কংগ্রেসের) সম্পর্ক খুব ভালো। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টি নই, উনি বিজেপিকে ঘৃণা করেন। তৃণমূলের সঙ্গে ওনার কোনো মতপার্থক্য নেই।’ অতীতে রাজ্য সরকারের একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পকে তুলে ধরেছে অমর্ত্য সেনের সংগঠন প্রতীচি ট্রাস্ট। তারা বলেছে, এই সব প্রকল্পের অনেকগুলো সফল হয়েছে এবং কেন হয়েছে, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সমালোচনায় মুখর হলেন। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই এমন সমালোচনা করলেন বাবুল সুপ্রিয়। গতকাল শুক্রবার তিনি বলেন, অমর্ত্য সেন রাজনৈতিক রঙের বাইরে বেরোতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, ‘ওনার (অমর্ত্য সেনের) স্বাধীনতা আছে। উনি যা করেছেন তা ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। বাংলায় রাজনৈতিক তরজা থাকবেই। উনি কিন্তু বারেবারে প্রমাণ করেছেন যে উনি একজন কিংবদন্তি অর্থনীতিবিদ হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক রঙের বাইরে বেরোতে পারছেন না। এটা উনি সারাক্ষণ করছেন। তবে এটা ওনার অধিকার।’
গত ২৫ জুলাই অমর্ত্য সেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুরস্কার ‘বঙ্গবিভূষণ’ নেওয়ার ব্যাপারে তার অপারগতার কথা জানান। তার মেয়ে অন্তরা দেব সেন প্রচারমাধ্যমকে বলেছিলেন, অধ্যাপক সেন রাজ্য সরকারকে আগেই জানিয়েছিলেন যে তিনি জুলাই মাসে ভারতে থাকছেন না এবং অনুরোধ করেন অল্প বয়স্ক কাউকে এই পুরস্কার দেওয়ার জন্য।
রাজ্য সরকার ২০২২ সালে ১৬ জনকে এই পুরস্কার দিয়েছে, যাদের মধ্যে দুই অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কৌশিক বসু ছাড়াও রয়েছেন গায়ক কুমার শানু, পরমাণুবিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ, সাহিত্যিক আবুল বাশার, শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া প্রমুখ।
বিষয়টি নিয়ে জুলাই মাসের শেষে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শিল্পী সুভা প্রসন্ন প্রচার মাধ্যমকে বলেন, ‘অধ্যাপক সেনের সঙ্গে আমাদের (তৃণমূল কংগ্রেসের) সম্পর্ক খুব ভালো। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টি নই, উনি বিজেপিকে ঘৃণা করেন। তৃণমূলের সঙ্গে ওনার কোনো মতপার্থক্য নেই।’ অতীতে রাজ্য সরকারের একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পকে তুলে ধরেছে অমর্ত্য সেনের সংগঠন প্রতীচি ট্রাস্ট। তারা বলেছে, এই সব প্রকল্পের অনেকগুলো সফল হয়েছে এবং কেন হয়েছে, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার