
১৫৬ বছর আগের চট্টগ্রাম বন্দরের প্রথম কনজারভেটরের (চেয়ারম্যান) কবরের খোঁজ পেয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রামে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রাচীন বিবিরহাট খ্রিস্টান কবরস্থানে এই কবরের সন্ধান পাওয়া যায়। ক্রিস্টোফার মার্শাল নামের এই ব্যক্তি চট্টগ্রাম বন্দরের কনজারভেটর ও কাস্টমসের কালেক্টর (কমিশনার) পদে আট বছর চাকরি করার পর ৫৫ বছর বয়সে ১৮৭৬ সালের ১১ জুন মারা যান। এখন এই কবরটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এত বছর পর কীভাবে এই কবরের সন্ধান পাওয়া গেল এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের এস্টেট ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান জিল্লুর রহমান সম্প্রতি এই কবরের সন্ধান পান। জিল্লুর রহমানের সঙ্গে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কোনো এক সোর্স থেকে আমাকে জানানো হয় ওই কবরস্থানে (বিবিরহাট খ্রিস্টান কবরস্থান) বন্দরের একজন কনজারভেটরের কবর রয়েছে। তা জানার পর একদিন সন্ধ্যায় সেখানে গিয়ে কবরটি দেখতে পাই। কবরের গায়ে কনজারভেটরের নাম, পদবি ও মৃত্যুর তারিখ লেখা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি তা সংরক্ষণের বিষয়ে একমত পোষণ করেন। এখন কিভাবে কোথায় সংরক্ষণ করা হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
জিল্লুর রহমানের বক্তব্যের সত্যতা খুঁজতে গত বুধবার সরেজমিনে ষোলশহর বিবিরহাট পাহাড়ের পাদদেশের খ্রিস্টান কবরস্থানে গিয়ে জানা যায় ১৭০০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কবরস্থানের পাকা গাঁথুনির ৬২৫টি কবরের মধ্যে কোনটি ওই কনজারভেটরের তা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকি এই কবরস্থানের কেয়ারটেকার মোহাম্মদ ফিরোজও বলতে পারছিলেন না। ৩৬০ কাঠা আয়তনের পুরো কবরস্থানটি সেগুন গাছের বাগানে আবৃত। সারি সারি গাছের মাঝে সারিবদ্ধভাবে কবরগুলো দেওয়া হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা খোঁজার পর পাওয়া যায় সেই কবরের সন্ধান। সবগুলো কবরের মাথার অংশে গম্বুজ টাইপের থাকলেও ক্রিস্টোফার মার্শালের কবরটি ছিল প্রায় সমতল। শুধু কবরের ওপরের এপিটাফে নাম খোদাই করা রয়েছে।
এই কবরস্থানে গত ৫৩ বছর ধরে কেয়ারটেকারের কাজ করে সম্প্রতি চাকুরি ছেড়ে চলে যাওয়া আবুল কাশেমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে বিভিন্ন সময়ে আসা বিদেশি খ্রিস্টানদের এখানে সমাধি করা হতো। এটি চট্টগ্রামের সবচেয়ে পুরনো খ্রিস্টান কবরস্থান। এই কবরস্থানের পর পাথরঘাটায় একটি কবরস্থান হয়েছে।’
চট্টগ্রামে খ্রিস্টানদের আগমনের বিষয়ে বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘১৫০০ শতকের শুরুতে চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম পর্তুগিজ খ্রিস্টানদের আগমন হয়। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে তারা আসতে থাকে এবং ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি ধর্ম প্রচারের কাজও করে।’
জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা নৌযানগুলো থেকে শুল্ক আদায় করত কাস্টমস কালেক্টর এবং নৌযান চলাচলের রাস্তা সচল রাখা ও ভেড়ানোর কাজটি করত পোর্ট কনজারভেটর। ১৮৫৩ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে ব্রিটিশরা চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য একজন কালেক্টর ও কনজারভেটর এবং কলকাতা বন্দরের জন্য একজন কালেক্টর ও কনজারভেটরের পদ নির্ধারণ করে। আর সেই হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের ক্ষেত্রে উভয় পদে ছিলেন ক্রিস্টোফার মার্শাল। পরবর্তীতে ১৮৮৭ সালের ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দর গঠিত হওয়ার পর দুটি পদ পোর্ট কমিশনার বা কনজারভেটর ও কালেক্টর অব কাস্টমস নামে পৃথক হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সলে কাস্টমস কালেক্টর পদটি কমিশনার হিসেবে পরিবর্তিত হয়। অপরদিকে পোর্ট কনজারভেটর পদটি এখনো রয়েছে, যা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নামে এখন পরিচিত।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দর এই উপমহাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ছিল সেই প্রাচীনকাল থেকে। এখনো তা বিদ্যমান। প্রাকৃতিক এই বন্দর দিয়ে দেশের ৯২ শতাংশ আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য সম্পাদিত হয়ে থাকে।
সবজি থেকে শুরু করে সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তি থাকায় বছর জুড়েই ভোক্তাদের নাভিশ^াস অবস্থা। এরই মধ্যে গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে বাজারে চিনির সংকট দেখা গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব মেনে গত ১৭ নভেম্বর কেজিপ্রতি দাম ১৩ টাকা বাড়িয়ে প্যাকেটজাত চিনি ১০৮ টাকা এবং খোলা চিনি ১০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এখনো চিনির বাজার স্বাভাবিক হয়নি। এখনো নির্ধারিত দামের চেয়ে ২৫-৩০ টাকা বেশি দিয়ে চিনি কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। এ ছাড়া আটা, ময়দা ও ডালসহ অন্যান্য পণ্য অপরিবর্তিত দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে শীতের ভরা মৌসুমে সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা এবং পাইকারিতে মোটা চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাজার মালিবাগ, রামপুরা, শান্তিনগর ও কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা যায়, টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। শিম ৩০-৪০, পেঁপে ২৫-৩০, লম্বা বেগুন ৪০, গোল বা তাল বেগুন ৫০, নতুন আলু ২৫-৩০, পুরাতন আলু ২২-২৫, জালি কুমড়া প্রতিটি ৫০-৫৫, শসা ৫০-৬০, আকার ভেদে লাউ ৩০-৪০, মান ভেদে প্রতি কেজি করলা ৬০-৭০, প্রতি হালি কাঁচা কলা ২৫-৩০, আকার ভেদে ফুল-বাঁধা কপি ৩৫-৪০, দেশি গাজর ৬০ ও কাঁচা মরিচ ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, শীতকালীন সবজি বাজারে সরবরাহ ভালো হওয়ায় প্রায় সবধরনের সবজির দাম কমে আসছে। তবে যেসব সবজির মৌসুম শেষ কিংবা আমদানিনির্ভর সেসব সবজির দাম কিছুটা বাড়তির দিকে রয়েছে।
শান্তিনগর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আশরাফ দেশ রূপান্তরকে বলেন, পৌষের শুরুর দিকে বাজারে শীতের সবধরনের সবজি আসতে থাকে। এতে করে সবজির দাম কমতির দিকে।
রাজধানীর মুদি দোকানগুলোতে খবর নিয়ে জানায় যায়, মুদি পণ্যের মধ্যে আটা, ময়দা, চিনি ও ডালসহ অন্যান্য পণ্য আগের মতো অপরিবর্তিত দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ছোট দানার মশুরির ডাল ১৩৫-১৪০ ও বড় দানার মশুরির ডাল ১০৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকায়।
মালিবাগের মা স্টোরের স্বত্বাধিকারী মঈন আহমেদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, গত ২০ দিনের বেশি একই দামে মশুরির ডাল বিক্রি করছেন তারা। চিনিও প্রতি কেজি ১২৫-১৩০ টাকা করে বিক্রি করছেন। বাজার থেকে বাড়তি দাম দিয়ে চিনি এনে তাদের বিক্রি করতে হচ্ছে বলে দাবি করেন এই ব্যবসায়ী।
চালের পাইকারি বাজার ঘুরে জানা যায়, সবধরনের মোটা চালের কেজিতে ২-৩ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে ৫৮ টাকায় বিক্রি হওয়া ব্রি আটাশ চাল কেজিতে ৩ টাকা কমে ৫৫ টাকা, স্বর্ণাও কেজিতে ৩ টাকা কমে ৪৩ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
কাওরান বাজারের নোয়াখালী রাইছ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শাওন দেশ রূপান্তরকে বলেন, নতুন চাল ওঠায় মোটা চালের দাম কিছুটা কমেছে। তবে নাজিরশাইল ও মিনিকেট চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। মান ভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৭৬-৮৪ ও মিনিকেট চাল ৬৫-৭৪ টাকা করে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহে মতো প্রতি কেজি বয়লার মুরগি ১৬০-১৬৫, সোনালি ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৩০০ ও দেশি মুরগি ৫২০-৫২৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
ফার্মের মুরগির ডিমের (লাল) ডজন ১১০ টাকা করে বিক্রি হলেও মাছের বাজারে ভোক্তাদের স্বস্তি মিলছে না। মাঝারি আকারের প্রতি কেজি চাষের কই মাছ ২০০, তেলাপিয়া ১৬০, ১ কেজি ওজনের পাঙাশ ১৫০-১৬০, সবধরনের নলা ও পুঁটি মাছ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
রামপুরা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী হেলাল দেশ রূপান্তরকে জানান, গত ১০ দিনে সবধরনের মাছের দাম কেজিতে অন্তত ১০ টাকা বেড়েছে।
দেশের ৮১টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও পাঁচটি পৌরসভার নির্বাচনে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ হয়েছে। এই ভোটগ্রহণ চলাকালে নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারকে ইভিএমে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি দেখিয়ে দেওয়ায় এক পোলিং এজেন্টকে দড়ি দিয়ে পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। গতকাল দুপুরে পশ্চিম চর উড়িয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বেঁধে রাখা মো. সেলিম এক সংরক্ষিত নারী মেম্বার প্রার্থীর (তালগাছ প্রতীক) পোলিং এজেন্ট ছিলেন। জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিন তাকে আটক করে স্কুলের পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।
এদিকে ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় এক প্রার্থীর স্বজনের নেতৃত্বে স্থানীয় এক সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়েছে। অন্যদিকে ইভিএম বিভ্রাটে নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারায় রাজশাহীর বাঘা পৌর নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে সন্ধ্যার পরও।
নোয়াখালীতে পোলিং এজেন্টকে দড়ি দিয়ে পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখার বিষয়ে জানা গেছে, নোয়াখালী ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে তালগাছ প্রতীকের প্রার্থী জোসনা বেগমের হয়ে পশ্চিম চরউড়িয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন মো.সেলিম। এক নারী ভোটারকে ইভিএম- এ ভোট দেওয়ার পদ্ধতি দেখিয়ে দেওয়ার অভিযোগে জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিন তাকে স্কুল ভবনের পাকা পিলারের সঙ্গে রোদের মধ্যে বেঁধে রাখার নির্দেশ দেন। নির্দেশ অনুযায়ী মো. সেলিমকে দীর্ঘক্ষণ বেঁধে রাখা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মো. মেসবাহ উদ্দিন বলেন, ‘অনিয়ম করার কারণে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে অন্যরাও সতর্ক হয়।’
দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা মো. সেলিম বলেন, ‘একজন লোক বলছে সে ইভিএম বোঝে না, আমি তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি। এটা কি আমার অপরাধ? যদি সাহায্যই না করতে পারি তাহলে ওখানে বসে থেকে আমার কী লাভ? এটা আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। ওদের ক্ষমতা আছে, ওরা ক্ষমতা দেখিয়েছে।’
তালগাছ প্রতীকের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থী জোসনা বেগম বলেন, ‘সব বুথে এভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে। এটা ভোটারদের সুবিধার জন্য। কিন্তু একটা মানুষকে এভাবে বেঁধে রাখার কোনো মানে হয় না। আমি অনেকবার বলেছি, আমার কথা শুনে নাই নির্বাচন কর্মকর্তা।’
কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমাকে ঊর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষ বলেছেন বাঁধন খুলে দিতে। আমি খুলে দিচ্ছি।’
পোলিং এজেন্টকে ৬ মাসের কারাদণ্ড : নোয়খালী সদর উপজেলার ৩ নম্বর নোয়ান্নই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিবপুর মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্রে ভোট প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে সুমি আক্তার নামে এক নারী পোলিং এজেন্টকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া। অন্যদিকে ভোটগ্রহণ ও প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মো. আলী হোসেনকে (৪৮) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ভোটকেন্দ্রের সামনে সাংবাদিকের ওপর হামলা : ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আনারস মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমন আহমেদ ভূঁইয়ার বোন জামাই রুবেল আহমেদের নেতৃত্বে এক সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার আলহাজ আবু তালেব মোল্লা স্কুল ভোটকেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, প্রায় ৪০-৫০ জন মিলে আশুলিয়া এক্সপ্রেসের বার্তা সম্পাদক ও জুমবাংলার সাভার প্রতিনিধি হাসান ভূঁইয়াকে রাস্তা থেকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। পরে তারা তাকে রাস্তার পাশের একটি গলির ভেতরে নিয়ে যায়।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে সাংবাদিক হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনের তথ্য সংগ্রহের জন্য জামগড়া এলাকার আলহাজ আবু তালেব মোল্লা স্কুল ভোটকেন্দ্রের সামনে গেলে হঠাৎ করে আনারস মার্কার প্রার্থী সুমন আহমেদ ভূঁইয়ার বোন জামাই রুবেল আহমেদসহ ৪০-৫০ জন আমার সামনে আসে। আমি সাংবাদিক পরিচয় দিলে তারা আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে মারতে টেনেহিঁচড়ে পাশেই থাকা একটি বাড়ির ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ওই বাড়ির ভেতরে আটকে থাকা অবস্থায়ও আমাকে ওরা এলোপাতাড়ি মারধর করে।’
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার এসআই মাসুদ আল মামুন বলেন, ‘আমি আলহাজ আবু তালেব মোল্লা স্কুল ভোটকেন্দ্রের সামনের রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ ডিউটি করতেছিলাম। এমন সময় দেখতে পেলাম সাংবাদিক হাসান ভূঁইয়াকে কয়েকজন লোক টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। পরে আমি তাদের কাছ থেকে হাসান ভূঁইয়াকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেই।’
বাঘায় সন্ধ্যার পরেও ভোটগ্রহণ: নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারায় রাজশাহীর বাঘা পৌর নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে সন্ধ্যার পরও। ইভিএমে ভোটগ্রহণে সময় লাগায় নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ শেষ করা সম্ভব হয়নি। ভোট দিতে না পেরে ফিরে গেছেন অনেকেই। আঙুলের ছাপ না মেলায় তারা ভোট দিতে পারেননি। বাঘা পৌরসভা নির্বাচনের ১১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয় গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায়। বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট চলার কথা ছিল। কিন্তু বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের পরেও ভোট নেওয়া শেষ করা যায়নি। বিকেল সাড়ে ৫টার সময়ও শতশত ভোটার কেন্দ্রের বাইরে লাইনে অপেক্ষা করছিলেন। ফলে অনেক কেন্দ্রে সন্ধ্যার পরেও ভোটগ্রহণ করা হয়। এছাড়া কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট দিতে না পেরে ফিরে যেতে দেখা গেছে বেশকিছু ভোটারকে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, ‘কিছু কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের পরেও ভোট নেওয়া হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে যারা কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করেছেন তাদের ভোট নেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণে সময় লাগায় কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট শেষ করতে কিছুটা সময় লেগেছে।’
প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী এবং সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলার প্রতিনিধি
ইরানে চলমান বিক্ষোভে জড়িত থাকার দায়ে কমপক্ষে একশ ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে বা তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের শাস্তিযোগ্য অপরাধ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন নারীও আছেন যারা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।
তবে দেশটিতে আসলে মৃত্যুদণ্ডের সাজার মুখে যারা আছেন, তাদের প্রকৃত সংখ্যা পাওয়া কঠিন। কারণ এসব পরিবারকে চুপ থাকার জন্য চাপ দেওয়া হয়। নরওয়েভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) নামের একটি সংস্থা এমন দাবি করেছে। বিবিসি বাংলার খবর।
চলতি মাসেই দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরও করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিক্ষোভকারীদের বিচারকে ‘প্রহসনের বিচার’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
মহসেন শেকারি ও মাজিদরেজা রাহনাভার্দ উভয়েই ২৩ বছর বয়সী। তাদের বিরুদ্ধে ‘সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে শত্রুতা’র অভিযোগ এনে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে বিপ্লবী আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
১৩ সেপ্টেম্বর ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর সাকেজের বাসিন্দা কুর্দি বংশোদ্ভূত নারী মাহসা আমিনি (২২) রাজধানী তেহরানে বেড়াতে আসেন। সে সময় তাকে সঠিক নিয়মে হিজাব দিয়ে মাথার চুল ঢেকে না রাখার অভিযোগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাকে একটি বন্দিশালায় নিয়ে যাওয়ার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি তিনদিন কোমায় থেকে অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর মাহসা আমিনির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে। প্রায় তিন মাস ধরে বিক্ষোভ চলছে।
আইএইচআরের হিসাবে এ পর্যন্ত বিক্ষোভের সময় সহিংসতায় অন্তত ৪৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪ জন নারী ও ৬৪ জন শিশুও রয়েছে।
সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে অন্তত একশ ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে তাদের মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি হয়তো কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে বা পরিবার থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, সাজার মুখে থাকা সবাই আইনজীবী নিয়োগ, বিচারের যথাযথ প্রক্রিয়া ও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ‘অনেক ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন উপায়ে যোগাযোগ করতে পেরেছেন বা তাদের ঘটনাগুলো অন্য কারাবন্দি বা মানবাধিকারকর্মীদের জানিয়েছেন। তাদের সবাইকে স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে।’ তাদের মধ্যে একজন হলেন ২২ বছর বয়সী মোহাম্মদ ঘোভাদলু। সুপ্রিম কোর্টও তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে। তার বিরুদ্ধে তেহরানে একটি সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও এসব বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আবার পাঁচজন নারী যারা মৃত্যুদণ্ডের ঝুঁকিতে আছেন, এর মধ্যে মজগান কাভৌসি কুর্দি ভাষা শিক্ষক এবং মানবাধিকারকর্মী। তার বিরুদ্ধে ‘করাপশন অফ আর্থ’ অভিযোগ আনা হয়েছে। একজন কৌঁসুলি বলেছেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে মানুষকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে মিস কাভৌসির বিরুদ্ধে।
‘মৃত্যুদণ্ড দিয়ে বা কারও কারও দণ্ড কার্যকর করে (কর্তৃপক্ষ) মানুষকে ঘরে ফিরে যেতে বাধ্য করতে চায়’ আইএইচআর পরিচালক মাহমুদ আমিরি মোগাদ্দাম বলেছেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। গুলিতে আহত হয়েছে আরও দুজন। গত বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দোলাপাড়া সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলো উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে নাজির হোসেন ওরফে মংলু (৪০) ও একই উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে সাদিক হোসেন (২৩)। গুলিবিদ্ধ দুজন হলো পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাজু হোসেন (২৫) ও একই গ্রামের মজিদ (২৯)।
তারা বর্তমানে রংপুরের বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।
বিজিবি ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাজির হোসেন, সাদিক হোসেনসহ ১০-১২ জনের একটি দল দোলাপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতের বড় মধুসূদন গ্রাম থেকে অবৈধ পথে গরু আনতে যায়। গরু নিয়ে ফেরার সময় সীমান্তের ৮৮৮ মেইন পিলারের কাছে শূন্যরেখায় আসার পর ভারতের বড় মধুসূদন বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের দেখতে পায়। বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই নাজির ও সাদিক নিহত হয়। অন্য দুজন আহত হয়। পরে সঙ্গীরা হতাহত চারজনকে বাড়ি নিয়ে আসে।
রংপুর ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর হাসান শাহরিয়ার মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তে দুটি লাশ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিএসএফকে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহ আলম বলেন, দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেছেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। দ্রুত সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়ে যাবে।
এদিকে নিহত সাদিকের চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবির ক্ষোভ জানিয়ে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রায়ই বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করছে। আর আমরা মুখ বন্ধ করে সহ্য করে আসছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে ১৫ পদের মধ্যে ১৪টিতেই আওয়ামীপন্থি নীল দলের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন জিনাত হুদা। শুধুমাত্র সহ-সভাপতি পদে ৪৭ ভোটের ব্যবধানে নীল দলের প্রার্থীকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপিপন্থি সাদা দলের আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াই পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভবনে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হয়। ভোট গণনা শেষে বিকেল ৫টার দিকে ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালক ও ফার্মেসি অনুষদের ডিন সীতেশ চন্দ্র বাছার।
নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নীল দলের প্রার্থী ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান। সদস্য পদে ১৪ প্রার্থীর মধ্যে তিনি সর্বোচ্চ ৮৮২ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সর্বোচ্চ ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন খাদেমুল হক।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি বছর শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদের ১৫টি পদে নির্বাচন হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর এক যুগে সমিতিতে নীল দলের অবস্থান ক্রমাগত নিরঙ্কুশ হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচনেও ১৫ পদের ১৪টিতে জিতেছিল আওয়ামীপন্থি নীল দল।
অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং শরীরচর্চার অভাবের বেশির ভাগ মানুষেরই হার্ট খারাপ হচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে 'খারাপ' কোলেস্টেরল— এ সব মানুষের নিত্যসঙ্গী। তবে রক্তের বিভিন্ন উপাদানের মাত্রা যদি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে যায়, তা হলে ওষুধ তো খেতেই হবে। সঙ্গে পছন্দের প্রায় সব খাবারেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে যাবে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রোজকার খাবারে কিছু পরিবর্তন আনলেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই হার্টের যাবতীয় সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
বিরিয়ানি হোক বা পোলাও সঙ্গে মাটনের কোনো পদ ছাড়া জমে না। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, এ ধরনের 'লাল' মাংস খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই খাসির বদলে মুরগির মাংস খাওয়া তুলনায় স্বাস্থ্যকর।
অনেক চেষ্টা করেও ভাজাভুজি খাবারের লোভ সামলাতে পারছেন না। এই অভ্যাসের ফলেই কিন্তু অজান্তেই বেশির ভাগ মানুষের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে চলেছে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ভাজার বদলে যদি বেকড খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা যায়, তবে এই সমস্যা অনেকটাই ঠেকিয়ে রাখা যেতে পারে।
সকালের নাশতায় পাউরুটি খান অনেকেই। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পাউরুটির ওপর মাখন দেওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। শুধু পাউরুটি খেতে যদি সমস্যা হয়, তবে ডিম ফেটিয়ে তার মধ্যে পাউরুটি ডুবিয়ে, তা বেক করে নিন। স্বাদ এবং স্বাস্থ্য দুই-ই থাকবে।
মন খারাপ হলে মাঝে মধ্যেই আইসক্রিম খেয়ে ফেলেন। তৎক্ষণাৎ মন ভালো করতে এই টোটকা সত্যিই কার্যকর। কিন্তু সমস্যা হলো আইসক্রিম খাওয়ার অভ্যাসে রক্তে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল। পরবর্তীতে যা হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
গরমে তেষ্টা মেটাতে বার বার ঠাণ্ডা পানীয়তে চুমুক দিচ্ছেন। কিন্তু এ পানীয়ে থাকা কৃত্রিম শর্করা যে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করছে, টের পেয়েছেন কী? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই তেষ্টা মেটাতে এবং স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে নরম পানীয় না খেয়ে ফল থেকে তৈরি রস খেতে পারেন।
পাকিস্তানের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলে নয়, এশিয়া কাপ হবে একটি দেশে। আর সেটা শ্রীলংকা। পাকিস্তান তাতে অংশ না নিতে চাইলে তাদেরকে ছাড়াই হবে এশিয়া কাপ।
ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানকে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে কলকাতাভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দা টেলিগ্রাফ।
বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ যিনি এসিসিরও প্রেসিডেন্ট পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে বলেছেন, শ্রীলংকায় এশিয়া কাপ খেলতে রাজি আছে ভারতসহ চার পূর্ণ সদস্য। বিষয়টি নিয়ে এসিসির নির্বাহী সভায় আলোচনা করা হবে। পাকিস্তান রাজি না হলে ৫ দল নিয়েই হবে এশিয়া কাপ।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচ অন্য কোনো দেশে আয়োজনে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজমা শেঠির দাবিও নাকচ করে দিয়েছেন জয় শাহ। টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, পাকিস্তানকে ভারতেই খেলতে হবে, না হলে না খেলবে। এ বার্তা পিসিবি এবং আইসিসির দুই কর্মকর্তা যারা সম্প্রতি পাকিস্তান সফর করেন তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।
রিয়াল মাদ্রিদের সংগে ১৪ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলছেন। ৪০ কোটি ইউরো চুক্তিতে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আলো ইত্তিহাদে যোগ দিচ্ছেন।
ক'দিন ধরে এমন কথা শোনা যাচ্ছিল করিম বেনজেমাকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন -এমন কথাও চাউর হয় স্পেনের সংবাদ মাধ্যমে।
কিন্তু সব কিছুতে জল ঢাললেন ব্যালন ডি অর জয়ী। স্পেনের গণমাধ্যম মার্কার দেয়া মার্কা লিজেন্ড এওয়ার্ড নিতে গিয়ে বললেন, 'আমি যখন রিয়ালেই আছি তখন ভবিষ্যৎ নিয়ে কেনো বলবো। ইন্টারনেটে যা প্রচার হচ্ছে তা ঠিক না। আমি এখানে ভালো আছি। শনিবার রিয়ালের ম্যাচ আছে, সব ফোকাস আমার সেই ম্যাচকে নিয়ে।'
ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে তাকে রিয়ালে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বেনজেমা বলেন, '২১ বছরের আমি এই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলাম। এই ক্লাবে খেলার মতো আর কিছু হয় না, সান্তিয়াগো বার্নাবু দারুন এক জায়গা।'
রিয়ালের সংগে চুক্তির মেয়াদ এ মাসেই শেষ হচ্ছে বেনজেমার।
পলিথিন বা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক, বিভিন্ন ধরনের পলিথিনজাত মিনিপ্যাকের উৎপাদন, ব্যবহার ও এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সবগুলোই সমস্যা। পলিথিন উৎপাদন ও এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের মাধ্যমে বাতাসে যেমন কার্বন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যায়, অন্যদিকে এর ব্যবহার প্রাণিকুল ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত। প্লাস্টিকের কণা এখন মানুষের রক্তে, মায়ের দুধে, সামুদ্রিক মাছে। শুধু ব্যবহার সম্পর্কিত সমস্যা না, পলিথিনের মাধ্যমে সৃষ্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরও বেশি সমস্যাসংকুল। কারণ এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে মাটির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, কৃষির উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে, শহরের নর্দমা বন্ধ করে দিচ্ছে তা আবার রোগ-ব্যাধি ছড়াচ্ছে, জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে এবং সবশেষে শহরকে বসবাসের অনুপযোগী করে দিচ্ছে।
এতসব সত্ত্বেও পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ না করা বা বন্ধ করতে না পারার সংকট কোথায় সেটা বুঝতে আমাদের সমস্যা হয়। পলিথিন বন্ধে আইন আছে, নানা ধরনের প্যাকেজিংয়ে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাও অনেক দিন হলো। অন্যদিকে বেশ কিছুদিন ধরে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু তা সহসাই হচ্ছে না। ‘সোনালি ব্যাগ’ নিয়ে অনেক ঢাকঢোল পেটানো হয়েছে কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সেই সোনালি স্বপ্ন কেমন জানি ফ্যাকাশে হয়ে আসছে এতদিনে।
পলিথিনের ব্যবহার শহরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি যার অনেকটাই অভ্যাসগত কারণে। শহরের মানুষের পলিথিনের ওপর অভ্যস্ততা যেমন বেশি, তেমনি তারা ভুক্তভোগীও বেশি। রাস্তাঘাট, ড্রেন নোংরা হয়ে তো থাকেই, বাড়তি পাওনা দুর্গন্ধ, তৈরি হয় জলজট ও ডেঙ্গুর মতো রোগবালাই। বাসাবাড়িতে পলিথিনের ব্যবহার তো আছেই, পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য, বেকারিজাত পণ্যের পলিথিনের ব্যবহার ও পলিথিনের মোড়ক যত্রতত্র নিক্ষেপই এই অবস্থার জন্য দায়ী। শুধু ঢাকা নয় অন্যান্য ছোট-বড় সব শহরে প্রায় একই অবস্থা। আর এগুলোই হচ্ছে পলিথিন নির্ভর অর্থনীতির অনুষঙ্গ কিন্তু এর অনর্থনীতি হচ্ছে পলিথিনের কারণে পরিবেশদূষণ ও জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি যার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি। সাধারণভাবে পলিথিন ব্যবহারের ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক মূল্যমান নির্ধারণ করা হয় না। তবে দূষণের মাত্রা এখন এমন অবস্থায় পৌঁছেছে তাতে পলিথিনের অর্থনীতির থেকে এর ক্ষয়ক্ষতির অর্থনীতি যে অনেক বড় তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আসছে ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হবে। জলবায়ুর পরিবর্তনের পেছনে অন্যতম অনুঘটক হচ্ছে পরিবেশ দূষণ। অর্থমন্ত্রী তার এবারের বাজেট (২০২৩-২৪) বক্তৃতায় জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় অভিযোজন ও প্রশমন উভয় ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা বলেছেন, পরিবেশ সংরক্ষণে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩ এর উল্লেখ করেছেন কিন্তু পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে দৃশ্যমান কোনো রূপকল্প এবারের বাজেটে উল্লেখ করতে সমর্থ হননি। এবারের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘প্লাস্টিক দূষণের সমাধানে শামিল হই সকলে’। গত বছরের এই দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘একটাই পৃথিবী’। পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের যত্রতত্র ব্যবহার আমাদের এই একমাত্র পৃথিবীকে দূষণের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে আইন হয়েছে ২০০২-এ এবং আজ ২০২৩ সাল, এই দীর্ঘ ২১ বছরেও এই আইনের বাস্তবায়ন করা যায়নি। যদিও এবারের বাজেট বক্তৃতায় প্লাস্টিকের তৈরি টেবিলওয়্যার এর মূল্য সংযোজন কর বৃদ্ধি করে ৫ শতাংশ থেকে ৭.৫ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে। এখানে পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্ল্যাস্টিক সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। ধরেই নেওয়া যায় শুল্ক বৃদ্ধির এই হার কোনোভাবে পলিথিন নিরুৎসাহিত করার জায়গা থেকে না বরঞ্চ কিছুটা বাড়তি কর আদায়ের চিন্তা থেকে।
পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি সস্তা পলিথিনের ব্যবহার টেকসই ভোগের ধারণার জন্যও কোনোভাবে সহায়ক না। বরঞ্চ এটা এমন এক ধরনের মনস্তত্ত্ব তৈরি করে যা শুধু পরিবেশকেই ধ্বংস করে। যদিও বিশ্বব্যাপী টেকসই ভোগের ধারণার ওপর ভিত্তি করে এখন ‘সার্কুলার অর্থনীতির’ ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সার্কুলার অর্থনীতি শুধু অপচয় কমায় না, প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা, দূষণরোধ, বর্জ্য থেকে তৈরি পরিবেশদূষণ ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারে। তাই পরিবেশগত ঝুঁকি, কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের অর্থনীতিকে সার্কুলার অর্থনীতিতে রূপান্তরের জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। অন্যদিকে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই পৃথিবী গড়ে তোলা এবং এ সংশ্লিষ্ট অভীষ্ট ২০৩০ সমূহ অর্জনে সার্কুলার অর্থনীতি অন্যতম হাতিয়ার।
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা শহরে রাস্তায় কোনো পেট বোতল পড়ে থাকতে দেখা যায় না। এর কারণ হচ্ছে এখন পেট বোতলের প্রায় শতভাগ রিসাইকেল করা হয় এবং পেট বোতল সংগ্রহের জন্য অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে হলেও একটি সংগ্রহ-লাইন তৈরি হয়েছে। কিন্তু পলিথিনের ক্ষেত্রে তেমনটা দেখা যায় না। তবে পলিথিনের উৎপাদন ও ব্যবহার সার্কুলার ইকোনমির ধারণার সঙ্গেও একেবারে মানানসই না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রযুক্তিগতভাবে একবার ব্যবহারযোগ্য পলিথিন রিসাইকেল করা অসম্ভব না হলেও এটি একটি জটিল এবং অর্থনৈতিকভাবে ব্যয়বহুল যে কারণে পেট বোতলের মতো রাস্তা থেকে পলিথিন সংগ্রহ করতে কাউকে দেখা যায় না উলটো রাস্তাঘাটে এখানে সেখানে পলিথিন পড়ে থাকে।
পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের অনর্থনীতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এখন প্রথম দরকার এর ব্যবহার বন্ধ করা, এর ব্যবহারকে অনেক বেশি দামি করে ফেলতে হবে আর এর প্রতিফলন থাকতে হবে বাজেটে। দ্বিতীয়ত, সার্কুলার অর্থনৈতিক চর্চার উৎসাহিত করার জন্য পরিকল্পনা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি, পলিথিনের বিকল্প সোনালি ব্যাগের মতো উদ্যোগগুলোকে সরকারি পর্যায় থেকে বিনিয়োগ ও বেসরকারি পর্যায় থেকে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় উৎসাহ ও প্রণোদনা প্রদান করতে হবে। সরকার প্রতি বছর বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবেশ দিবস পালন করে কিন্তু দিবস পালন শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলেই হবে না এর উদ্যোগ কতটুকু বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে তার ওপরও নজর দিতে হবে। তা নাহলে পলিথিনের অর্থনীতির নামে শুধু অনর্থনীতিকে বাড়িয়ে তোলা হবে, আর সেটা হবে টেকসই অর্থনীতি তৈরির সম্ভাবনার অপমৃত্যু।
লেখক : উন্নয়নকর্মী ও কলামিস্ট
গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। এমন অবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না কেউ। তাই বলে গরমের ভয়ে ঘরে বসে থাকলে তো আর জীবন চলবে না। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যেতে হবে। আর কর্মজীবীদের অফিস ও অন্যান্য কর্মস্থলে। অনেকেরই এই গরমেও কাজের প্রয়োজনে সারাদিন কেটে যায় বাইরে ঘুরে ঘুরেই। গরমকে মোকাবিলা করতে সঙ্গে এই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রাখলেই গরমের কাছে নিজেকে হার মানতে হবে না।
পানি পান
গরমের সময় শরীর থেকে স্বাভাবিক ভাবে অনেক বেশি ঘাম বের হয়ে থাকে। যার ফলে দেখা দিতে পারে পানি শূন্যতা। শরীরের মধ্যে যদি পানির পরিমাণ কমে যায় তাহলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। পানি শূন্যতা দূর করতে হলে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি খেতে হবে।
বিশুদ্ধ পানি খাওয়ার পাশাপাশি ফলের জুস কিংবা কচি ডাবের পানি খেতে পারেন। দেহের ত্বককে ভালো রাখতে পানি, শরবত বা জুস পানের বিকল্প নেই। গরমে সময় প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার বিশুদ্ধ পানি খেলে ডিহাইড্রেশন এবং পানি শূণ্যতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
খাবার স্যালাইন
গরমের সময় ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ বের হতে থাকে যার ফলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়। এ থেকে মুক্তি পেতে খাবার স্যালাইন খেতে পারেন। বিকেল বেলা খাবার স্যালাইন খেলে অতিরিক্ত গরমেও শরীরে সতেজতা ফিরে আসে। আবার অনেকেই স্বাদযুক্ত স্যালাইন খান যেমন, টেস্টি স্যালাইন। ভুল করেও এসব খাবেন না। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হলো ওরস্যালাইন । তবে আপনাদের মধ্যে যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা খাবার স্যালাইন খাওয়ার আগে ভালো কোনো ডাক্তারের মতামত নেওয়া উচিত।
রেড মিট পরিহার করুন
অতিরিক্ত গরমের সময় গরু-ছাগলের মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ গরমের সময় বা অতিরিক্ত গরমের সময় গরুর মাংস খেলে শরীরের তাপমাত্রা অনেকাংশে বেরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গরু-ছাগলের মাংস ছেড়ে মাছ খেতে পারেন। আর অতিরিক্ত গরমে অবশ্যই অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন।
সবুজ শাক সবজি
গরমের সময় শরীরকে সুস্থ রাখতে বেশি বেশি করে সবুজ শাক সবজি খেতে পারেন। সবুজ শাক সবজিতে অধিক পরিমাণে ভিটামিন মিনারেল এবং খনিজ উপাদান থাকে। এতে করে অতিরিক্ত গরমেও শরীর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।তাছাড়াও খেতে পারেন তরমুজ যা শরীরে এনার্জি দিতে পারে।
টক জাতীয় ফল
প্রচুর গরমে সুস্থ থাকার উপায় হিসেবে টক জাতীয় ফল খেতে পারেন। যেমন: কামরাঙ্গা, লেবু, তেতুল, আমরা ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে অতিরিক্ত টক ফল খাওয়া ঠিক নয়। যদি কারো এসিডিটির সমস্যা থেকে থাকে তবে টক জাতীয় ফল খাওয়া হতে বিরত থাকুন। টক জাতীয় ফল খালি পেটে খাওয়া যাবে না। এতে করে আরো বেশী অসুস্থ হয়ে পারতে পাবেন।
টক দই
অতিরিক্ত গরমে সুস্থ থাকতে হলে টক দই খেতে পারেন। যারা করা রোদে কাজ করেন বিশেষ করে তাদের জন্য অনেক উপকারী হলো টক দই। রোদের প্রচুর তাপ থেকে শরীরকে কিছুটা হলেও রক্ষা করবে টক দই। টক দই শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে অনেকাংশে সাহায্য করে।
প্রতিদিন গোসল করুন
গরমের সময় প্রতিদিন এক বার করে হলেও গোসল করতে হবে। যদি পারেন তবে দিনে ২ বার গোসল করতে পারেন। গোসল করার ক্ষেত্রে একটু সাবধান থাকতে হবে। বাহির থেকে এসে সাথে সাথে গোসল করতে যাবেন না। একটু বিশ্রাম নিয়ে তারপর গোসল করতে যাবেন। কারণ হঠাৎ করে গরম থেকে এসে গোসল করলে ঠাণ্ডা লাগতে পারে।
ঘরেই অবস্থান করুন
অতিরিক্ত গরমে বিশেষ কোনো প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বাহিরে যাবেন না । যদিও বিভিন্ন কারণে বাহিরে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে রোদ থেকে বাঁচতে প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। যতটুকু সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার চেষ্টা করুন।
শারীরিক পরিশ্রম কম করুন
গরমের সময় অনেকেই আছে অতিরিক্ত ব্যায়াম করে থাকেন এমনটি করা যাবে না কারণ অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা একটু বেশি হয়ে থাকে।
পাতলা সুতি কাপড় পরিধান করা
গরমের সময় পাতলা সুতি কাপড় পরা দরকার। কারণ সাদা কাপড় তাপ শোষণ করতে পারে না বরং তাপের প্রতিফলন ঘটায় ও গরম কম লাগে।
পারফিউম ব্যবহারে সতর্ক থাকুন
অতিরিক্ত গরমে ঘামের গন্ধ থেকে বেচে থাকার জন্য অনেকেই সুগন্ধি ব্যবহার করে থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে পারফিউম ব্যবহার না করাটাই উত্তম কাজ। কারণ, পারফিউম গরম লাগা বৃদ্ধি করে দেয়।
যদিও ব্যবহার করতে হয় তাহলে হালকা গন্ধের সুগন্ধি ব্যবহার করতে পাবেন। বাজারে কিছু সুগন্ধি পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহার করলে ঠাণ্ডা লাগে। সেগুলো ব্যবহার করলে আরো ভালো হয়।
ধূমপান পরিত্যাগ করা
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা কিনা ধূমপান করে থাকি। ধূমপান করলে শরীরের তাপমাত্রা তুলনামূলক ভাবে বেড়ে যায়। তাই প্রচন্ত গরমে সুস্থ থাকতে হলে ধূমপান পরিত্যাগ করতে হবে। যদিও এই অভ্যাসটি সহজে পরিত্যাগ করা যায় না। তাই যতটুকু পারেন ধূমপান কম করার চেষ্টা করুন।
চা কফি পরিত্যাগ করুন
চা, কফি বা অ্যালকোহল খেলে শরীরের তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পায়। আর যদি অতিরিক্ত গরমে চা, কফি বা অ্যালকোহল খেয়ে থাকেন তাহলে শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পাবে যার ফলে হতে পারে হিটস্ট্রোক। তাই গরমের সময় চা কফি বা অ্যালকোহল খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
শান্ত থাকুন
মন মেজাজ গরম থাকলে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। রাগের কারণে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং অতিরিক্ত গরমের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় আর দুই তাপমাত্রা এক সঙ্গে হলে কি অবস্থা হতে পারে একবার হলেও সেটা ভেবে দেখবেন।
বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত গরমে শান্ত থাকার জন্য মতামত দিয়ে থাকে। বিশেষ করে যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য শান্ত থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনাল দেখতে কুমিল্লায় উড়ে গেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়েছে ম্যাচটি। সালাউদ্দিন ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা খানেক আগে কুমিল্লায় পৌঁছান।
ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুমিল্লায় পাড়ি দিতে মাত্র দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তবে সালাউদ্দিন দূরত্বটা পাড়ি দিয়েছেন হেলিকপ্টারে করে। যা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
টাকার অভাবে কদিন আগে নারী ফুটবলারদের অলিম্পিক বাছাইয়ে পাঠায়নি বাফুফে। অথচ ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যেতে বাফুফে সভাপতি বেছে নিলেন হেলিকপ্টার।
হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে কুমিল্লার এই যাত্রায় বাফুফে সভাপতির সঙ্গী হয়েছেন সংস্থার নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।