
ভারতের বিমান বাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণ চলাকালে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে এক পাইলট নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরÑ বিধ্বস্ত হওয়া জঙ্গিবিমান দুটির মধ্যে একটি রাশিয়ায় তৈরি সুখোই এসইউ-৩০ ও অপরটি ফ্রান্সে তৈরি মিরেজ-২০০০। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, মধ্য আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ষের ফলে বিধ্বস্তের এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের মোরেনা শহরে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। আরেকটি রাজস্থানের ভরতপুর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে বিধ্বস্ত হয়েছে। দুটি যুদ্ধবিমানই রাজ্যের গোয়ালিওর বিমানবাহিনীর ঘাঁটি থেকে উড়েছিল। সুখোই বিমানটিতে দুজন পাইলট আর মিরেজ বিমানে একজন পাইলট ছিলেন। সুখোইয়ের দুই পাইলট সংঘর্ষের পর বিমান থেকে বের হয়ে আসেন। তাদের হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান এক টুইটার পোস্টে বলেন, ‘মোরেনায় বিমানবাহিনীর সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান ও মিরেজ-২০০০ যুদ্ধবিমানের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার খবরটি অত্যন্ত দুঃখজনক। দ্রুত উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ তৎপরতা চালাতে বিমানবাহিনীকে সহযোগিতার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি।’
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গত বছর সেপ্টেম্বরে অবৈধ হুন্ডি চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। সে সময় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের (সিপিসি) একটি দল রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বিকাশের এজেন্ট ফজলে রাব্বি (২৭) এবং হুন্ডির কারবার পরিচালনাকারী শামীমা আক্তার (৩২)। পরে আরও গ্রেপ্তার করা হয় এ চক্রের হুন্ডি এজেন্ট মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য পর্যালোচনায় এ হুন্ডি চক্রটির কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছে সিপিসি। তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছেন, চক্রটির সদস্য বিকাশ এজেন্ট প্রথমে হুন্ডি এজেন্টের কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়ে বিকাশের ডিএসওর (ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার) কাছ থেকে ই-মানিতে কনভার্ট (রূপান্তরিত) করে। পরে তা আবার হুন্ডি এজেন্টের দেওয়া নম্বরে সরবরাহ করে। দেশে থাকা হুন্ডি এজেন্ট ইতালিতে অবস্থান করা মূল এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে এ চক্রটি কাজ করে থাকে। তারা এ হুন্ডির কারবারকে নিয়ন্ত্রণ করতে আলাদা দুটি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপ করেছে। মূলত এ অ্যাপের মাধ্যমে দেশে থাকা বিকাশ এজেন্টরা টাকা পাঠানোর নির্দেশনা পেয়ে থাকে।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, ইতালিতে চক্রটির অন্যতম তিন সদস্য রয়েছে। বাংলাদেশিরা বেশি সংখ্যায় আছেন এমন বিভিন্ন এলাকায় ছোট দোকানের মতো করে সেখানে বিকাশের লোগো ব্যবহার করে টাকা সংগ্রহ করে তারা। বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারকারীরা সরাসরি তাদের কোনো একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। ইতালিতে অবস্থান করা ওই বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার করতে পারলে বাংলাদেশের অর্থ পাচারকারীদের পরিচয় শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। তবে এ চক্রের মাধ্যমে অর্থ পাচারকারীদের শনাক্ত করতে এখন দেশে থাকা ওই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তার ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা বিএফআইইউর (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) কাছ থেকে পাওয়া এমএফএসের তথ্যের ভিত্তিতে হুন্ডির সঙ্গে জড়িতদের দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছি। আমরা চাইলেই কাউকে হুট করে ধরে নিয়ে আসতে পারি না। গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রযুক্তিগত তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হুন্ডির সঙ্গে কারা জড়িত তা শনাক্তে কাজ করছি। এ ছাড়াও হুন্ডি ব্যবহার করে যারা অর্থ পাচার করেছে তাদের শনাক্তে আমরা যাবতীয় তথ্য পর্যালোচনা করছি। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিদেশে অর্থ পাচারকারীদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।’
২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ব্যাংকের পাশাপাশি খোলাবাজারেও ডলারের দর বেড়ে যায়। বছরের শুরুতে খোলাবাজারে প্রতি ডলার ৯০ টাকার আশপাশে থাকলেও তা বেড়ে ১১৯ টাকায় উঠেছিল। তখন বিষয়টি পর্যালোচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ওই সংকটের অন্যতম কারণ রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) কমে যাওয়া। মূলত ডিজিটাল হুন্ডির কারণে বৈধ পথে কমছে রেমিট্যান্স। হুন্ডি কারবারিরা এ জন্য এমএফএস প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিয়েছে। কিছু অসাধু এমএফএস এজেন্ট এ অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানি বাড়লেও দেশে রেমিট্যান্স কমে যায়।
এসব এমএফএসদের চিহ্নিত করতে মোট চার লাখ এজেন্টের তথ্য বিশ্লেষণ করে বিএফআইইউ। চারটি নির্দেশকের ভিত্তিতে গত বছর এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত লেনদেন বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ৮১ হাজার ৫০৫টি সন্দেহজনক লেনদেন চিহ্নিত করা হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫ হাজার ৮৯ জনের এজেন্টশিপ বাতিল করা হয়। এর বাইরে অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত আরও ৩৩০টি এজেন্টের এজেন্টশিপও বাতিল করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এজেন্টশিপ বাতিল হওয়া ৫ হাজার ৪১৯ এজেন্টের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সিআইডিতে তথ্য দেওয়া হয়।
পুলিশের এ তদন্ত সংস্থা বিএফআইইউর এসব তথ্য পর্যালোচনা করে গত বছর সেপ্টেম্বরে অভিযান শুরু করে। এখন পর্যন্ত তারা অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে আলাদা ছয়টি মামলা করেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট ও সাইবার পুলিশ সেন্টার ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে চারজন হুন্ডি এজেন্ট, অন্যদের মধ্যে এমএফএসের ডিএসএস, ডিএসও এবং এজেন্ট রয়েছে।
তবে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার পর হুন্ডিকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও অর্থ পাচারের এ মাধ্যম ব্যবহার করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। হুন্ডির হোতাদের গ্রেপ্তার না করায় পাচারকারীরা আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। যাদের মধ্যে বিদেশে স্থায়ী সম্পদ অর্জন, মাদক কেনাবেচা এবং সোনা চোরাচালানসহ বিভিন্ন অবৈধ কারবার পরিচালনাকারীও রয়েছেন।
সিআইডি বলছে, এটি প্রথম ধাপের অভিযান। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনার পর দ্বিতীয় ধাপের বা যারা এজেন্টদের কাছে নগদ টাকা সরবরাহ করেছে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। এরপর তাদের তথ্যে মূল পাচারকারীদের ধরা হবে। কিন্তু এর আগে ২০১৮ সালে একইভাবে রেমিট্যান্সের অর্থ অবৈধভাবে বিকাশের মাধ্যমে হুন্ডির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছিল সিআইডি। সে সময় কয়েকটি মামলায় সারা দেশ থেকে সাতজন এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছিল তারা। তবে ওই অভিযানে শেষমেশ কোনো সুফল মেলেনি। মামলাগুলো তদন্তের ধারাবাহিকতায় চক্রের অন্যদের গ্রেপ্তার করে হুন্ডির কারবার থামানোর লক্ষ্য থাকলেও থেমে যায় সেই পরিকল্পনা।
এর কারণ হিসেবে সে সময়ে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ওই অভিযানে বিএফআইইউর দেওয়া বিকাশ এজেন্টদের তথ্য ২০১৩ ও ’১৪ সালের ছিল। ফলে ২০১৮ সালের এ তথ্যে অভিযান চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে যায়। তখন যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাদের কাছ থেকে মূল পাচারকারীদের তথ্যও পাওয়া যায়নি। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা ছাড়াও অনেক এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তাদের কেউ তিন থেকে চার বছর আগের লেনদেনকারীদের তথ্য দিতে পারেনি।
তবে এবারের অভিযানেও চ্যালেঞ্জের কথা জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট অনেকেই। তারা বলছে, হুন্ডি চক্রের মূলহোতা যাদের নাম পাওয়া গেছে তাদের অধিকাংশই দেশের বাইরে অবস্থান করছে। ইন্টারপোলের নিয়ম অনুযায়ী তাদের ফিরিয়ে আনা জটিল। ফলে তাদের না আনতে পারলে অধিকাংশ অর্থ পাচারকারীর পরিচয় পাওয়া যাবে না।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘হুন্ডি চক্রের বিরুদ্ধে সিআইডি সক্রিয় হওয়ায় বেশ বাহবা পাচ্ছে। কিন্তু এ হুন্ডির মূল সুবিধাভোগীদের মধ্যে অধিকাংশই ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তাদের সঙ্গে পেরে ওঠা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
এদিকে গত বছর ডলারের দাম বাড়ার পেছনে মানি এক্সচেঞ্জগুলোর কারসাজির অভিযোগ ওঠে। সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, দেশে অনুমোদিত ২৩৫টির বাইরে আরও প্রায় ৭০০ মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছে। ওই সময় সিআইডি মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযানে নামার কথাও জানিয়েছিল।
এরপর বিএফআইইউ তথ্য নিয়ে মানি এক্সচেঞ্জ সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে সিআইডি। পরে গত ১৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচটি এলাকার বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালায় সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। তবে এমএফএসের মতোই চুনোপুঁটিদের গ্রেপ্তার করে তারা। গ্রেপ্তার ১৪ জনের মধ্যে একজন একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অন্যরা সবাই ভ্রাম্যমাণ মুদ্রা বিক্রেতা। তাদের আলাদা পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। রাজধানীর বিভিন্ন থানায় সিআইডি বাদী হয়ে করা এসব মামলায় ১৮ জনকে আসামি করা হয়।
তাদের গ্রেপ্তারের পর সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, অভিযানে অবৈধ পাঁচটি মানি এক্সচেঞ্জের মধ্যে তিনটির অফিস থাকলেও বাকি দুটি প্রতারণামূলক বা ভ্রাম্যমাণ। তারা কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে মানি এক্সচেঞ্জ (মুদ্রা বিনিময়) করতেন। ফোনে ফোনে যোগাযোগ করেই তারা বিভিন্ন দেশের মুদ্রা লেনদেন করতেন। তারা হুন্ডির সঙ্গেও জড়িত। দেশে এমন কমপক্ষে আরও এক হাজার অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জার রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অ্যাডাম কালিনিন (আসল নাম নয়), ত্রিশের কোঠার এক রাশান যুবক। চার মাসের বেশি সময় ধরে ঘরবাড়ি ছেড়ে থাকছেন জঙ্গলে। অনেকটা স্বেচ্ছা বনবাসে। গত বছর সেপ্টেম্বরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগের এক কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু কালিনিনের (আসল নাম নয়) কোনো ইচ্ছেই ছিল না রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যোগ দেওয়ার। তার মতো অনেকেই যারা যুদ্ধে যেতে চাননি তারা দেশ ছেড়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেটাও করেননি। সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগ ঠেকানোর সেরা উপায় হিসেবে ধরে নিয়ে থাকতে শুরু করলেন জঙ্গলে। আর এ পরিকল্পনায় সফলও হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি বিবিসি সন্ধান পেয়েছে এই যুদ্ধবিরোধী বনবাসী যুবককে।
বিবিসি জানাচ্ছে, কালিনিন ছিলেন একজন আইটি স্পেশালিস্ট বা তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। শুরু থেকেই তিনি ছিলেন যুদ্ধবিরোধী। তিনি যে অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে থাকতেন তার দেয়ালে তিনি সেঁটে দিয়েছিলেন ‘যুদ্ধকে না বলুন’ লেখা এক পোস্টার। আর এ জন্য তাকে দু-সপ্তাহের জন্য জেল খাটতে হয়েছিল, দিতে হয়েছিল জরিমানাও। তাই রাশিয়া যখন ইউক্রেন যুদ্ধে আবার জয়ের ধারায় ফিরে আসার চেষ্টায় তিন লাখ সেনা নিয়োগের উদ্যোগ নিল তখন কালিনিন যুদ্ধে যোগ দেওয়ার ঝুঁকি নিতে পারেননি। তিনি তার স্ত্রীকে বিদায় জানিয়ে চলে গেলেন জঙ্গলে। সেখানে এক তাঁবু খাটিয়ে থাকছেন প্রায় চার মাস ধরে। ইন্টারনেট পাওয়ার জন্য তিনি গাছের আগায় একটা অ্যান্টেনা বেঁধেছেন। বিদ্যুতের জন্য বসিয়েছেন সোলার প্যানেল। সেখান থেকেই শুরু করলেন অফিসের কাজ। কিছুদিন পর পর তার স্ত্রী কিছু খাবার দিয়ে যান।
বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বনবাসের সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করতে তাকে সহ্য করতে হয়েছে প্রচণ্ড ঠান্ডা আবহাওযা। এক এক সময় তাপমাত্রা শূন্যের ১১ ডিগ্রি নিচে নেমে যেত। কিন্তু তার পরও তার মনে হয়েছিল, সেনাবাহিনীকে নিয়োগ ঠেকানোর জন্য এটাই ছিল সবচেয়ে ভালো উপায়। কারণ সব যোগাযোগের বাইরে থাকলে কর্র্তৃপক্ষ যুদ্ধে যেতে বাধ্য করতে পারবে না।
কালিনিন জানান, এই বনবাসী জীবনে তার স্ত্রীর ভূমিকা অনেক। নতুন বছর শুরুর সময় কয়েকদিনের জন্য জঙ্গলের ভেতর তাঁবুতে এসে থেকেছিলেন তার স্ত্রীও। প্রতি তিন সপ্তাহে একবার করে খাবার এবং অন্যান্য সামগ্রী একটা বিশেষ জায়গায় নামিয়ে দিয়ে যান। সেই দিনটায় সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দুজনের মুখোমুখি দেখা হয়। এরপর কালিনিন তার খাবারগুলো আরেকটি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যান। রান্নার জন্য তিনি একটি লাকড়ির চুলো বানিয়ে নিয়েছেন।
রাশিয়াতে বরফের মধ্যে মাছ ধরার সময়ের জন্য যে সব বড় বড় তাঁবু ব্যবহার করা হয় সেরকম একটি তাঁবু দিয়েই জঙ্গলে নিজের ঘর বানিয়েছেন কালিনিন। প্রথম দিকে তিনি দুটি তাঁবু বানিয়েছিলেন। একটি থেকে আরেকটিতে যেতে পাঁচ মিনিট লাগত। একটাতে ছিল ইন্টারনেট সংযোগ। আর দ্বিতীয় তাঁবুটিতে তিনি ঘুমাতেন যেটা ছিল বনজঙ্গলে ঢাকা জায়গায়। তবে যখন শীতকাল শুরু হলো এবং আবহাওয়া ঠান্ডা হতে শুরু করল তখন তিনি একটা তাঁবুতেই থাকা ও কাজ করার ব্যবস্থা করলেন।
কালিনিন এখনো সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার ডাক পাননি। তবে পরিস্থিতি প্রতিদিনই বদলাচ্ছে এবং তার আশঙ্কা ভবিষ্যতে কোনো এক সময় হয়তো তার কাছেও ডাক আসতে পারে। সরকারি নীতি অনুযায়ী আইটি কর্মীরা সামরিক বাহিনীতে তালিকভুক্ত হওয়ার বাধ্যবাধ্যকতা থেকে মুক্ত। কিন্তু রাশিয়াতে এমন অনেক খবর বেরিয়েছে যে অনেক ক্ষেত্রেই এ নিয়ম মানা হচ্ছে না।
কালিনিন বলেন, এটা একটা একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং তারা অত্যন্ত ক্ষমতাধর। গত ছয় মাসে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে অনেকগুলো আইন করা হয়েছে। এখন লোকে যদি যুদ্ধের বিরুদ্ধে মুখ খোলে তাহলে রাষ্ট্র তাদের পেছনে লাগবে।
কালিনিনের এই বনবাসী জীবন অনলাইনে তাকে একটা জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। টেলিগ্রাম অ্যাপে তিনি প্রায় প্রতিদিনই নানা রকম আপডেট দিচ্ছেন এবং তার ফলোয়ারের সংখ্যা এখন ১৭ হাজার। তিনি ভিডিও পোস্ট করেন, তার চারপাশের বনভূমির ছবি দেন, আরও থাকে তার প্রতিদিনের কাজকর্ম, কীভাবে তার ক্যাম্প সাজানো হয়েছে এই সব।
তৈরি পোশাক পণ্য পরিবহনের পথে বিশেষ কায়দায় কার্টন খুলে মালামালের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ চুরি করে ঝুট কাপড় ঢুকিয়ে দিচ্ছে চোরচক্র। এসব চক্রের সঙ্গে জড়িত কাভার্ড ভ্যানের চালক ও সহকারীরা। প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের তৈরি পোশাক পণ্যসহ সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা চোরচক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য পেয়েছে র্যাব।
গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পোশাক পণ্য চুরির একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলো মো. রিপন ওরফে ছোট রিপন (৪৩), বিল্লাল হোসেন ওরফে ছোট বিল্লাল (৩৬), নাঈম ইসলাম (২৭), মো. আকাশ (২৬), মো. সুমন (৩০), মো. ফরিদ (৩৮) ও মো. মঞ্জুর হোসেন জিকু (৩৮)।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর পাইকপাড়ায় র্যাব-৪-এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কারখানা থেকে পণ্য কাভার্ড ভ্যানে বোঝাই করে তেজগাঁওয়ে গিয়ে তেল নিয়ে পাম্পে গাইডের জন্য কিছুক্ষণ অবস্থান করে। গাইড নাঈম ওই স্থানে এসে মূলহোতা রিপনের নির্দেশ অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন লাঙ্গলবন্দে ভাই ভাই টিম্বার স’মিলের টিনশেড গোডাউনের উদ্দেশে রওনা করে। সেখানে পৌঁছানোর পর আগে থেকেই অপেক্ষারত বিল্লাল, ফরিদ ও মঞ্জুরসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন বিশেষ কৌশলে কাভার্ড ভ্যানের সিলগালা তালা না খুলে পাশের ওয়ালের নাটবল্টু গ্যানিং মেশিনের সাহায্যে কেটে প্রত্যেকটি কার্টন গোডাউনে নেয়। সেখানে কার্টন থেকে পণ্য চুরির সময় র্যাব-৪ শুক্রবার ভোররাতে কাভার্ড ভ্যানটির চালক, সহকারী, স’মিল মালিক, শ্রমিকদের প্রধানসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এর কিছু সময়ের মধ্যে চক্রের রিপন ও বিল্লাল চোরাই পণ্যগুলো নিতে এলে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়। ২৬ হাজার ৯৯৫টি পোশাকপণ্যসহ একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়। এসব পণ্যের দাম আনুমানিক ৫ কোটি টাকা।
গ্রেপ্তারদের বিষয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রহমান বলেন, রিপন চক্রের মূলহোতা। তিনি প্রথম জীবনে ১৯৯০ সালে ঢাকায় এসে সোয়েটার কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ২০০৯ সালে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে চলে যান। ২০১৭ সালে ফিরে এসে রেন্ট-এ-কার চালক হিসেবে কাজ করার সময় তৈরি পোশাক পণ্য চোরচক্রের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে বেশি লাভের আশায় রিপন নিজেই বিল্লাল, নাঈম, আকাশ, সুমন, ফরিদ, মঞ্জুরসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচ-সাতজনকে নিয়ে একটি সক্রিয় আন্তঃজেলা চোরচক্র তৈরি করে। গ্রেপ্তার হওয়া বিল্লাল মূলহোতা রিপনের প্রধান সহযোগী। মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে ঢাকা জজ কোর্ট এলাকায় চোরচক্রের মূলহোতা রিপনের সঙ্গে বিল্লালের পরিচয় হয়। বিল্লালের গ্রামের বাড়ি মুন্সীঞ্জের গজারিয়া এলাকায় এবং এই চুরির ঘটনাগুলো যেহেতু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকায় হয়ে থাকে তাই মূলহোতা রিপন আসামি বিল্লালকে গোডাউন ভাড়া করার কাজের প্রস্তাব দেয়। তখন থেকেই বিল্লাল গোডাউন ভাড়া করার বিষয়টি দেখে আসছে। রিপন পোশাক পণ্য চুরির জন্য যখন কোনো একটি কাভার্ড ভ্যান নির্ধারণ করে নাঈমকে অবগত করে, বিল্লাল ওই কাভার্ড ভ্যানটি ঢাকা থেকে পূর্ব নির্ধারিত গোডাউনে পৌঁছানো এবং পণ্য চুরির সময় গোডাউনের আশপাশে নজরদারিসহ সার্বিক দায়িত্বে থাকতেন। ফরিদ প্যাকেজিং করার কাজে অত্যন্ত দক্ষ হওয়ায় তিনি কার্টন থেকে মালামাল বের করে ফের কার্টন প্যাকেজিং করতেন। মঞ্জুর গোডাউনের মালিক এবং ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি, তার কাছে থাকা গ্যানিং মিশিন দিয়ে কাভার্ড ভ্যানের নাটবল্টু কেটে পণ্যভর্তি কার্টন বের করতে সাহায্য করতেন। অন্য আসামি চালক আকাশ ও তার সহকারী সুমন মূলহোতা রিপনের প্রস্তাবে রাজি হয়ে তার কথামতো নির্ধারিত গোডাউনে গাড়ি নিয়ে যেতেন।
মালামাল চুরির কৌশল সম্পর্কে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, প্রথমে এক বা একাধিক পরিকল্পনাকারী থাকে যারা পোশাকপণ্য পরিবহনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাভার্ড ভ্যানের চালক ও সহকারীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে। পরে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে তাদের প্রলুব্ধ করে। অল্প সময়ে বেশি টাকা পাওয়ার আশায় চালক ও সহকারীরা চোরচক্রের প্রস্তাবে রাজি হয়ে চুরির কাজে সহায়তা করে। কাভার্ড ভ্যানে পণ্যবোঝাই করার সময় বন্দরে প্রদর্শনের জন্য গার্মেন্টে কারখানার পক্ষ থেকে পণ্যের নমুনা চালকের কাছে দেওয়া হয়ে থাকে। এ নমুনা পাওয়ার পরপরই চালক সুযোগ বুঝে ছবি তুলে মূলহোতার কাছে পাঠায়। মূলহোতা আগে থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী নির্জন জায়গায় তাদের ঠিক করে রাখা গোডাউন মালিকের সঙ্গে আঁতাত করে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে গোডাউন ব্যবহার করে। গোডাউনে পণ্য চুরির জন্য কাভার্ড ভ্যান প্রবেশের আগেই কার্টন প্যাকেজিং ও লোড-আনলোড কাজে সিদ্ধহস্ত কয়েকজন সহযোগী সেখানে অবস্থান করে। দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময়ের মধ্যে মালামালের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ বের করে নেয়। কার্টনের সেই খালি অংশ ভরতে ঝুট কাপড় ঢুকিয়ে দেয়। এরপর কাভার্ড ভ্যানটি বন্দরের উদ্দেশে রওনা করে গেলে চোরচক্রের নিজস্ব মিনি কাভার্ড ভ্যানে করে তাদের সুবিধামতো জায়গায় নিয়ে যায়।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ছড়ার ওপর নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রিজের কাজ এক বছরে শেষ হওয়ার চুক্তি থাকলেও তিন বছরেও শেষ হয়নি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কাগজপত্রে ৪০ ভাগ কাজ সম্পন্ন দেখালেও ব্রিজটির বাস্তবে মাত্র ১৮টি পিলার পাইলিংয়ের পর ঠিকাদার কাজ ফেলে রেখেছেন। এতে প্রায় তিন বছর ধরে ব্রিজের দুই পাশের মানুষজন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের উত্তর কানাইদেশি ভায়া কাউয়ারগলা সড়কের রাজকান্দি ফরেস্টসংলগ্ন লাউয়াছড়ার ওপর জরাজীর্ণ ব্রিটিশ আমলের একটি কাঠের সেতু ছিল। দীর্ঘদিন ধরে ওই ব্রিজ ব্যবহারের পর স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সিলেট বিভাগের গ্রামীণ অ্যাকসেস সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালে ২৫ মিটার দীর্ঘ একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এতে ব্যয় ধরা হয় দুই কোটি টাকা।
২০২০ সালে ব্রিজ নির্মাণকাজের টেন্ডার পায় ইতি এন্টারপ্রাইজ নামে ভোলার এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রথমে বন বিভাগের বাধা থাকায় দুই মাস কাজ শুরু হতে বিলম্ব হয়। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি। কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় পরে আরও তিন মাস সময় বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু ১৮টি পিলার পাইলিং করেই গত তিন বছর ধরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছে। এখন কোনো খোঁজ নেই ঠিকাদারের। বারবার তাগদা দেওয়ার পরও এলাকায় আসছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কেউ।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো মানুষ তো দূরের কথা, নির্মাণসামগ্রীর কিছুও আশপাশে নেই। শুধু ব্রিজ নির্মাণের দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮টি পিলার মাটির নিচে পাইলিং করে রাখা হয়েছে। বের হয়ে থাকা রডে ধরেছে মরিচা।
এলাকাবাসী জানান, ব্রিজটি তিন বছর ধরে ফেলে রাখায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। ওই সড়ক ব্যবহার করে আদমপুরে আসা যাওয়া করতেন স্থানীয়রা। কিন্তু ব্রিজটি সম্পন্ন না হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন তারা। ছড়ায় পানি থাকায় এপার-ওপার আসা যাওয়া করা সম্ভব হচ্ছে না।
কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামের দাবি, বারবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগদা দিয়েও কোনো ফল হচ্ছে না।
তবে বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কমলগঞ্জ অফিস থেকে ঢাকা অফিসে আট মাস আগে এ গার্ডার ব্রিজটির কাজ বাস্তবায়ন ৪০ ভাগ দেখানো হয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকা অফিস থেকে বারবার ব্রিজটির কাজ সম্পন্নের তাগদা দেওয়া হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসবে কোনো পাত্তাই দিচ্ছে না।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আব্দুল্লাহ দেশ রূপান্তরকে বলেন, এ জেলায় নতুন এসেছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগদার পরও কাজ না হওয়ায় প্রয়োজনে নতুন করে এ কাজের টেন্ডার দেব।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সংবিধান অনুয়ায়ী নির্বাচন হবে। বিএনপি পূর্ণশক্তি নিয়ে নির্বাচনে আসুক আমরা সেটাই চাই। তবে বিএনপি কোনোরকম অপচেষ্টা করলে জনগণ তাদের সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে।’ গতকাল শনিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আজ রবিবার রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। আছে শুধু পাকিস্তানে। বিএনপি তো পাকিস্তানকে অনুকরণ করে। উন্নত দেশে ডিজিটাল মাধ্যমে ভোট হয় আমাদের দেশেও ডিজিটাল হয়েছে সেভাবেই ভোট হচ্ছে। আমরা ইভিএমএ ভোটের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু ইভিএম কিনতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন পৌনে ৯ হাজার কোটি টাকার একটি প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এই সময়ে এত বড় প্রকল্প পাস করে ইভিএম কেনা অর্থনীতির জন্য, বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এটি সমীচীন নয়। এবং মানুষকে এই বিশ্বমন্দার মধ্যে এখন মানুষের অন্য কল্যাণগুলো আমাদের কাছে অগ্রাধিকার।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন কমিশনের অধীনে হয়। সরকারের কোনোট ক্ষমতা থাকে না। বিএনপির নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা’র মতো অবস্থা। ২০১৪ সালে তারা শুধু বর্জনই নয়, প্রতিহত করার অপচেষ্টা করেছিলÑ তা আর করতে দেওয়া হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রবিবার মাদ্রাসা মাঠ ও ঈদগাহ মাঠে সমাবেশ হবে। ২২০টি মাইক, ১২টি এলইডি স্ক্রিন থাকবে। সমাবেশকে ঘিরে তরুণ ও নারীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। সমাবেশের জন্য ৫ শতাধিক ভলান্টিয়ার রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, সকাল ৯টায় মাঠে নেতাকর্মীরা আসবেন। ৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী আসছেন। অনেক কাজ সমাপ্ত হয়ে গেছে। কিছু কাজ শুরু হয়ে গেছে। আমাদের আর কোনো চাওয়া নেই, রাজশাহীসহ সব জেলার লোকজন ধন্যবাদ জানাব।
রিয়াল মাদ্রিদের সংগে ১৪ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলছেন। ৪০ কোটি ইউরো চুক্তিতে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আলো ইত্তিহাদে যোগ দিচ্ছেন।
ক'দিন ধরে এমন কথা শোনা যাচ্ছিল করিম বেনজেমাকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন -এমন কথাও চাউর হয় স্পেনের সংবাদ মাধ্যমে।
কিন্তু সব কিছুতে জল ঢাললেন ব্যালন ডি অর জয়ী। স্পেনের গণমাধ্যম মার্কার দেয়া মার্কা লিজেন্ড এওয়ার্ড নিতে গিয়ে বললেন, 'আমি যখন রিয়ালেই আছি তখন ভবিষ্যৎ নিয়ে কেনো বলবো। ইন্টারনেটে যা প্রচার হচ্ছে তা ঠিক না। আমি এখানে ভালো আছি। শনিবার রিয়ালের ম্যাচ আছে, সব ফোকাস আমার সেই ম্যাচকে নিয়ে।'
ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে তাকে রিয়ালে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বেনজেমা বলেন, '২১ বছরের আমি এই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলাম। এই ক্লাবে খেলার মতো আর কিছু হয় না, সান্তিয়াগো বার্নাবু দারুন এক জায়গা।'
রিয়ালের সংগে চুক্তির মেয়াদ এ মাসেই শেষ হচ্ছে বেনজেমার।
পাকিস্তানের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলে নয়, এশিয়া কাপ হবে একটি দেশে। আর সেটা শ্রীলংকা। পাকিস্তান তাতে অংশ না নিতে চাইলে তাদেরকে ছাড়াই হবে এশিয়া কাপ।
ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানকে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে কলকাতাভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দা টেলিগ্রাফ।
বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ যিনি এসিসিরও প্রেসিডেন্ট পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে বলেছেন, শ্রীলংকায় এশিয়া কাপ খেলতে রাজি আছে ভারতসহ চার পূর্ণ সদস্য। বিষয়টি নিয়ে এসিসির নির্বাহী সভায় আলোচনা করা হবে। পাকিস্তান রাজি না হলে ৫ দল নিয়েই হবে এশিয়া কাপ।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচ অন্য কোনো দেশে আয়োজনে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজমা শেঠির দাবিও নাকচ করে দিয়েছেন জয় শাহ। টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, পাকিস্তানকে ভারতেই খেলতে হবে, না হলে না খেলবে। এ বার্তা পিসিবি এবং আইসিসির দুই কর্মকর্তা যারা সম্প্রতি পাকিস্তান সফর করেন তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।