
র্যাংগস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবদুর রউফ চৌধুরী (৮৬) গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গুলশানের নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ১ ছেলে ও ২ মেয়ে রেখে গেছেন। গতকাল শনিবার বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার জানাজা হয়। সেখানে রাজনীতিবিদ, শিল্পপতিসহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা অংশ নেন। জানাজা শেষে তার মরদেহ নেওয়া হয় বিক্রমপুরের পৈতৃক বাড়িতে। সেখানে বাদ এশা পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। তারা ছেলে রোমো রউফ চৌধুরী বর্তমানে ব্যাংক এশিয়ার চেয়ারম্যান। এ ছাড়া দুই মেয়ে হলেন রোমানা রউফ চৌধুরী ও সোহানা রউফ চৌধুরী।
এদিকে রউফ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী খাঁন মুকুলসহ বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা। এ ছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমে শোকবাণী পাঠিয়েছেন।
রউফ চৌধুরী ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের মূল কোম্পানি মিডিয়া ওয়ার্ল্ড লিমিটেডেরও একজন পরিচালক ছিলেন। ‘সকালের খবর’ নামে একটি বাংলা দৈনিক বের করেছিলেন। তিনি ব্যাংক এশিয়ার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান। তার হাত ধরে দেশে গড়ে উঠেছে ৫০টির মতো প্রতিষ্ঠান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে স্নাতক করেছেন। অটোমোবাইল, টেলিকম, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং পেট্রোলিয়ামসহ বিভিন্ন শিল্পে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা ছিল তার। বাংলাদেশে তিনি দুটি আমেরিকান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির রেসিডেন্ট ম্যানেজার ছিলেন। যমুনা অয়েল কোম্পানির সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন রউফ চৌধুরী। এর মাধ্যমে দেশে পেট্রোলিয়াম পণ্যের বাজার উন্নয়নে দীর্ঘ ১৫ বছর অবদান রাখার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।
এ ছাড়া, ৩৫ কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত র্যাংগস এবং সি রিসোর্সেস গ্রুপ- কোম্পানি দুটি তার গতিশীল নেতৃত্বেই গড়ে উঠেছে। তার নেতৃত্বে অল্প সময়ের মধ্যেই কোম্পানি দুটি বিরাট সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়।
রউফ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘তার জীবন, আদর্শ এবং কর্ম আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। আমি রউফ চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। আল্লাহপাক তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি মরহুমের পরিবার যেন এই অপূরণীয় ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে।’
প্রায় এক বছর পর পুলিশে সাড়ে ৫ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর এই সুযোগে সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতারক চক্র। পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। কিছু ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে চেক ও খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর।
সম্প্রতি দুটি জেলা থেকে চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে খালি স্ট্যাম্প ও স্বাক্ষর করা চেকের কপি। নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনাও রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতারকরা ১৫-১৬ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দিচ্ছে চাকরিপ্রার্থীদের। এভাবে চক্রের সদস্যরা ১০-১২ জনের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিচ্ছেন। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রার্থী আগাম টাকা দিতে রাজি না হলে তাদের কাছ থেকে স্ট্যাম্প ও চেক নিয়ে রাখছেন।
এমন পরিস্থিতিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রতারক ঠেকানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। কয়েক দিন আগে এ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাঠে নামানো হয়েছে আইজিপির বিশেষ মনিটরিং সেলের সদস্যদের। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের কোনো কর্মকর্তা বা সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
জানা গেছে, পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ তদবির-বাণিজ্য ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশের সব কটি রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও পুলিশ সুপারদের কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন আইজিপি। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একজন পুলিশ সুপার ও একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তদারক টিম গঠন করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিমগুলো দেশের ৬৪ জেলায় সফর করছে। আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করার নির্দেশনা দিয়ে সরকারি ফি ১০৩ টাকার বেশি কোনো প্রার্থীর কাছ থেকে না নিতে বলা হয়েছে।
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে নানা অনিয়ম হয়ে থাকে প্রায়ই। ঘুষ লেনদেনই হয় বেশি। কনস্টেবল নিয়োগের অধিকর্তা হলেন জেলার পুলিশ সুপার। প্রায় প্রতিটি জেলায় রাজনৈতিক নেতাকর্মী, মন্ত্রী-এমপিসহ আমলাদেরও তদবির থাকে। তা ছাড়া এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যও নিয়োগে তদবির করেন। এই সবকিছুর নেপথ্যেই থাকে আর্থিক লেনদেন। অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করতেই পুলিশ সদর দপ্তর কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেও দেওয়া হয় বেশ কিছু নির্দেশনা। দালাল ও অসাধু চক্রের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার না হতে চাকরিপ্রত্যাশীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে সচেতনতামূলক সংবাদ। কনস্টেবল নিয়োগ কার্যক্রম শুরুর আগেই আইজিপি সব রেঞ্জের ডিআইজি ও পুলিশ সুপারদের পুলিশ সদর দপ্তরে ডেকে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নিয়োগ-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কঠোর নির্দেশনা দেন।
নজরদারিতে দায়িত্ব পালন করে পুলিশ ইন্টারনাল ওভারসাইট, রেঞ্জ ডিআইজির নজরদারি কমিটি, পুলিশ সদর দপ্তরের একজন পুলিশ সুপার (এসপি) ও একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সমন্বয়ে গঠিত ৬৪টি বিশেষ টিম।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. মনজুর রহমান বলেন, ‘সারা দেশের ৬৪ জেলায় প্রথম ধাপে সাড়ে ৫ হাজার পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিছু জেলায় আবেদন জমা পড়ছে। আর এই সুযোগে সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতারক চক্র। তাদের বিষয়ে কাজ করছে গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যে দুটি জেলায় কয়েকজন প্রতারক ধরা পড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকরি হয় না। যোগ্যতার নিরিখেই যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পাবেন। এ বিষয়ে আইজিপি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন।’
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২০১৮ সালে ১০ হাজার পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে নিয়োগে রাজনীতিবিদরা কোটার জন্য পুলিশ সুপারদের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। বিষয়টি গোপন প্রতিবেদনের মাধ্যমে সরকারের উচ্চপর্যায়ে পৌঁছালে সেই নিয়োগ-প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে সারা দেশে সাড়ে ৫ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে কোন জেলায় কতজন নিয়োগ পাবেন এবং আবেদেন প্রক্রিয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রকাশ করা হয়। কোনো কোনো জেলায় প্রার্থীর সংখ্যা ১০ হাজারও ছাড়িয়েছে। ধাপে ধাপে সব জেলায় নিয়োগ শেষ করা হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যরা খুব চতুর। তারা ১০-১২ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে রাখে। এর মধ্যে যদি কেউ যোগ্যতার ভিত্তিতে টিকে যান তাহলে তাকে বলা হয়, ‘অমুক স্যারের মাধ্যমে তোমার চাকরিটা হয়েছে। এখন বাকি টাকা পরিশোধ করো, না হলে বাদ পড়ে যাবা।’ তখন না বুঝেই অনেকে টাকা দিয়ে দেন। বিষয়টা অনেকটা ঝড়ে বক পড়ার মতো অবস্থা। তিনি বলেন, এ ধরনের একাধিক চক্র বিভিন্ন সময় সক্রিয় থাকে। তাদের তালিকাও রয়েছে। তাদের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তালিকায় রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও পুলিশের আত্মীয় পরিচয়দানকারী লোকজনও রয়েছেন।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, প্রতারণার জন্য ইতিমধ্যে চাঁদপুর জেলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার সময় একজনকে ধরা হয়েছে। সে মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেনের কথা আমাদের কাছে স্বীকার করেছে।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার মাসুদ আলম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ১১ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুর পুলিশ লাইনস মাঠে রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগের মাঠপর্যায়ে শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র বাছাই পরীক্ষা হয়। এ সময় তারা জানতে পারেন প্রতারক চক্রের সদস্যরা মাদারীপুর পোস্ট অফিসের সামনে টাকা লেনদেন করছে। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে সাকিব আকন নামে এক চাকরিপ্রত্যাশীর পরিবারের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা নিচ্ছে তারা। বিষয়টি জানান পর তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার ব্রাহ্মন্দী গ্রামের ইউনুস আলী বেপারি ও হোগলপাতিয়া গ্রামের রিপন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। প্রাথমিকভাবে তারা অবৈধ টাকার বিনিময়ে চাকরির প্রলোভন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। এর আগেও তারা বিভিন্ন জায়গায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে অবৈধ লেনদেন করেছে বলেও জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এবার মাদারীপুর জেলায় ৪৫ জন কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছিল। তারই ফলে প্রতারকদের আটক করতে সক্ষম হয়েছেন।
জানা গেছে, মাদারীপুরের ঘটনার পর ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তারা হলেন রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার দাশপুকুর মহল্লার মারুফ শাহরিয়ার, বরিশাল সদরের মঙ্গলহাটা এলাকার শাহাদত হোসেন ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চাতৈনভিটি গ্রামের আব্দুল আজিজ। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার উদ্দেশ্যে নেওয়া ৩২টি স্বাক্ষর করা ফাঁকা চেকবই, প্রায় ৫৬ লাখ টাকার অঙ্ক বসানো স্বাক্ষর করা ১০টি চেক, ৫০টি স্বাক্ষর করা ফাঁকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, তিনটি স্মার্ট মোবাইল ফোন এবং একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে রাজশাহীর পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বলেন, সারা দেশে এখন পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রতারক চক্রটি প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল। বিষয়টি জানতে পেরে এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা এখনো চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেয়নি। কিন্তু ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্প নিয়েছে স্বাক্ষর করিয়ে। এই ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্প দিয়ে জিম্মি করে পরে টাকা আদায় ছিল তাদের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, রাজশাহীতে কনস্টেবল পদে আবেদন পড়েছিল ১৮ হাজার। এর মধ্যে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ডাক পড়েছিল সাড়ে ৩ হাজার জনের। সাতটি পর্বে শারীরিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে তাদের। এতে উত্তীর্ণরা ১৫ ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষা দিয়েছে। এরপর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। এত সব পরীক্ষার পর যোগ্য প্রার্থীদেরই চাকরি দেওয়া হবে। কোনো তদবির কাজে আসবে না।
তিনি বলেন, ডিবি পুলিশ প্রথমে মারুফ শাহরিয়ারকে আটক করে। তার মেস থেকে দুটি চেক, ৫৩টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও একটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের আরেক সদস্য শাহাদত হোসেনকে আটক করা হয়। তার ভাড়া বাসা থেকে ২০টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ২০টি চেক ও একটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়। পরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বাড়ি থেকে চক্রের আরেক সদস্য আজিজকে আটক করা হয়। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ২৭টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ২০টি চেক, একটি মোবাইল ফোন।
গণতন্ত্র নিয়ে তামাশা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনো বরদাস্ত করবে না। আগামী নির্বাচনে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বাংলার মানুষের ভাগ্য বদলের প্রতীক ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মার্কার বিজয় যেন আমরা নিশ্চিত করতে পারি সেই লক্ষ্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অতীতের ন্যায় ২০২৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরি করতে চাই।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের ‘বিশেষ কর্মী সভা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে নগরীর খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের কর্মী সভায় এ সব কথা বলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান উপস্থিত হলেও তিনি ছিলেন দর্শক সারিতে। মঞ্চে অতিথির আসনে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা। কর্মী সভায় শুধু বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনান।
সভার আগে নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে এক প্রতিক্রিয়ায় দেশ রূপান্তরকে এমপি শামীম ওসমান বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আমরা মঞ্চে নয়, দর্শক সারিতে থাকার ইচ্ছা পোষণ করেছি। আর দর্শক সারিতে থেকে দেখতে চাই, বর্তমান প্রজন্ম ছাত্রলীগ ও তরুণরা কীভাবে আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে যাবে। আমরা মূলত আজকে দর্শক।
কর্মী সভায় সাদ্দাম হোসেন বলেন, সংবাদ উপস্থাপন করা গণমাধ্যমে দায়িত্ব। এখন সম্পাদকীয় নীতিমালা রয়েছে। যদি তাদের নীতিমালা হয় চরিত্র নিয়ে লেখা, ছাত্রলীগের নেতিবাচক নিউজ উপস্থাপন করে মার্কেট ভ্যালু বাড়ানো। কিংবা রাজনৈতিক বিভাজন তৈরি করা। কিংবা অন্য কারও প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করা। এটি কোন ভাবেই বাংলাদেশ ছাত্র সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ আমরা দেখি ছাত্রলীগ যদি ১০০টি ভালো কাজ করে একটি নিউজ হয় না, আর ছাত্রলীগ যদি একটি খারাপ কাজ করে তাহলে ১০০টি নিউজ হয়। এ ব্যাপারে আমরা গণমাধ্যমের সঠিক দায়িত্বশীল ভূমিকা দেখতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আমাদের অনেক লড়াই এখনো বাকি রয়েছে। এই লড়াইয়ের শেষ আমাদের দেখতে হবে। আমরা টানা তিনবার ক্ষমতায় আছি। এটি নিয়ে আত্মতৃপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা জাতির পিতার হত্যাকারী, যারা আমাদের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে তারা এখনো রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় রয়েছে। অনেকেই গণতন্ত্রের বেশ ধরে রাজনীতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। এখন আমরা দেখতে পারছি, দুর্নীতিবাজদের পুনর্বাসন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। খুনি, কিলার ও দ-প্রাপ্ত আসামিদের রাজনীতির কথা বলে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজকে আমরা ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে বলতে চাই, গণতন্ত্রের বেশ ধরে দুর্নীতিবাজদের পুনর্বাসনের রাজনীতিকে ছাত্রসমাজ কখনোই গ্রহণ করবে না কখনোই আপস করবে না। যাদের কাছে বাংলার মানুষের ভোটাধিকারের চেয়ে বাংলার মানুষের লাশ গুরুত্বপূর্ণ তাদের সঙ্গে ছাত্রসমাজ আপসে কখনোই করবে না।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের নেতৃত্বে আগামীতে বাংলাদেশকে পথ দেখাবে। এই নারায়ণগঞ্জ শেখ হাসিনার গণজোয়ারের রাজধানী থাকবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের জন্মস্থান। এ নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জেলার ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা কাজ শুরু করবে। এই নারায়ণগঞ্জ থেকেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বাজারে মাইকিং করে দোকানে ঢুকে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস সরকারকে (৫৩) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দেশীগ্রাম ইউনিয়নের ভোগলমান চারমাথা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুল কুদ্দুস দেশীগ্রাম ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি দেশীগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।
হামলাকারীরা পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টির সদস্য ছিল বলে জানিয়েছেন নিহতের ছেলে মো. রুহুল আমীন বলেন।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে দিকে ২০-২৫ জন নিজেদের পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টির সদস্য দাবি করে ভোগলমান চারমাথা বাজারে ঢোকে। তারা হ্যান্ডমাইক দিয়ে বাজারের সব লোকজনকে বাজার ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর ছেলের কীটনাশকের দোকানে বসে থাকা আব্দুল কুদ্দুস সরকারকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েক রাউন্ড গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা এলাকা ত্যাগ করে। খবর পেয়ে তাড়াশ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার পর পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আব্দুল কুদ্দুস বাজারে ছেলের কীটনাশকের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা হঠাৎ হামলা চালিয়ে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।’
তাড়াশ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, আব্দুল কুদ্দুসের বুকে গুলি করা হয়।
উল্লাপাড়া-তাড়াশ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত সূত্রধর দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘খবর পেয়ে তাড়াশ থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে হামলাকারীরা সর্বহারা পার্টির সদস্য ছিল কিনা সে বিষয়ে পুলিশ কিছুই বলেনি।
জামালপুর সদর উপজেলার বটতলা উচ্চবিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শহীদ মিনারের বেদিতে মঞ্চ বানিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান করেছে বিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষ। গতকাল শনিবার জামালপুর-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মো. মোজাফফর হোসেনসহ অতিথিদের সবাই জুতা পায়ে ওই মঞ্চে ওঠেন। ভাষার মাসে এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেকেই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিদ্যালয়ের মাঠে শহীদ মিনারের বেদিতে মঞ্চ বানানো হয়। আর মূল শহীদ মিনার কাপড় দিয়ে পেছনে ঢেকে রাখা হয়। অতিথিদের সামনে দেওয়া হয় বিশাল টেবিল এবং বসার জন্য চেয়ার। পাশেই বক্তব্য দেওয়ার জন্য ছিল মাইকের স্ট্যান্ড। বেলা ১টার দিকে প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনসহ সব অতিথি একে একে জুতা পায়ে মঞ্চে উঠে চেয়ারে বসেন। বেদিতে দাঁড়িয়ে থাকা অন্যান্য লোকজনকেও জুতা পায়ে দেখা যায়। অনুষ্ঠানটি সাড়ে ৩টার দিকে শেষ হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা শিক্ষা কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক ও বটতলা উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল আলম।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আব্দুল জলিল, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এ কে আজাদ বাদল ও সদস্য মো. আবুল খায়ের খোকা মাস্টার, বাঁশচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল আলীম, সহসভাপতি মো. মাহামুদুল হাসান বাচ্চু, মো. শাহজাহান আলী, মো. সরোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো.আব্দুল লতিফ প্রমুখ।
শহীদ মিনারে এভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় ক্ষুব্ধ অনেকেই। এ প্রসঙ্গে জামালপুরের ভাষা ও মুক্তিসংগ্রাম গবেষণা কেন্দ্রের সদস্য জাহাঙ্গীর সেলিম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ছাড়া অন্য কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। জুতা নিয়ে শহীদ মিনারে পদচারণ করা ভাষাশহীদদের প্রতি অবমাননা এবং আইন অমান্য করা। যারা এ ধরনের আচরণ করবে, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া উচিত।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক ও বটতলা উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল আলম বলেন, ‘অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম। স্কুল কর্র্তৃপক্ষ সেখানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আর সবাই তো সেখানে জুতা পায়ে দিয়ে উঠেছে, তাই আমিও উঠেছি।’
বটতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদা বলেন, ‘প্রতি বছরই সেখানে অনুষ্ঠান করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় সেখানে করা হয়েছে। প্রধান অতিথিরাই যদি ওঠে, তাহলে আর কী।’
এদিকে সংসদ সদস্য মো. মোজাফফর হোসেনের দাবি, অনুষ্ঠানের মঞ্চ যে শহীদ মিনার, সেটা বুঝতে পারেননি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেটা যে শহীদ মিনার, আমি বুঝতেই পারিনি। আমি ভেবেছি সেটা একটি ভাঙা মঞ্চ। কেউ যদি আমাকে বলত, সেটা শহীদ মিনার, তাহলে আমি জুতা নিয়ে উঠতাম না। প্রয়োজনে আমি সেখান থেকে নেমে যেতাম।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ক্ষমতায় আছি। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। আমাদের এখানে একটি দল আছে যারা আন্দোলনের কথা বলে আতঙ্ক ছড়ায়। তারা আন্দোলনের নামে আগুনসন্ত্রাস করে, ভাঙচুর চালায়। মানুষকে পুড়িয়ে মারে, পেট্রল বোমা দিয়ে মেরে ফেলতে চায়। এ কারণে আমরা জনগণের পাহারাদার।
গতকাল শনিবার দুপুরে গাজীপুরের কালীগঞ্জে স্থানীয় উলুখোলা এলাকার একটি রিসোর্টে অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে অভিনয়শিল্পী সংঘের অভিনেতাদের ইক্যুইটি দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশগ্রহণ করেছেন নাটক ও চলচ্চিত্রের পাঁচ শতাধিক অভিনয়শিল্পী।
গতকাল দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে সম্মাননা স্মারক ও ক্রেস্ট তুলে দেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। পরে কনভেনশন হলে প্রয়াত শিল্পীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সংস্কৃতি কোনো নিয়ন্ত্রণের বিষয় নয়। সেই সংস্কৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে অভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার এই আইনটি বাতিল করেছে।
বাংলাদেশের নাটকের প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পশ্চিমবঙ্গের নাটক থেকে গুণে মানে সংলাপে অভিনয়ে আমাদের নাটক অনেক সমৃদ্ধ। আমাদের শিল্পীরা অনেক বেশি ভালো অভিনয় করেন।
এসময় অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিমের সভাপতিত্বে ও অভিনয়শিল্পী রওনক হাসানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন অভিনেতা আমিরুল হক চৌধুরী, সহিদুল ইসলাম সাচ্চু, ডলি জহুর, দিলারা জাহান, মামুনুর রশীদ, তারিক রহমান খান প্রমুখ।
শিল্পীরা তাদের বক্তব্য বলেন, আমাদের দেশে শিল্পীদের জন্য অ্যাক্টরস স্কুল নেই, এটি খুবই প্রয়োজন। আজকাল অপসংস্কৃতি ইউটিউবে অবাধে চলছে। এই অপসংস্কৃতি দূর করতে হবে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ না করলে আমাদের রুচির দুর্ভিক্ষ ক্রমান্বয়ে বাড়তেই থাকবে।
দিনব্যাপী ওই অনুষ্ঠান অভিনয়শিল্পীদের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। ছোটপর্দার প্রায় সব অভিনেতা উপস্থিত হয়েছেন। কেউ ছবি তুলেছেন, স্মৃতিচারণ করেছেন। পরিবারের ছোট সদস্যদের নিয়ে আয়োজন করেছেন চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনকে বলা হয় ‘লাশের সাক্ষ্য’। সেই প্রতিবেদনে প্রায়ই ভুল থাকছে। হত্যা হয়ে যাচ্ছে আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা। দেশের মর্গগুলোর আধুনিকায়ন না হওয়া, চিকিৎসকদের অদক্ষতা এবং মর্গে আসার আগেই মরদেহের আলামত নষ্ট হয়ে যাওয়া ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ভুলের অন্যতম কারণ। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য এরকমই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশের বেশিরভাগ মর্গে মরদেহের ভিসেরা বা বিভিন্ন নমুনা সংরক্ষণের আধুনিক সুবিধাসংবলিত জায়গা নেই। এসব ধারণের জন্য কনটেইনার, প্রিজারভেটিভ বা রাসায়নিকের সরবরাহও প্রয়োজনের তুলনায় কম। অনেক সময় প্রিজারভেটিভ না থাকলে লবণ পানির সাহায্যে মর্গে লাশ সংরক্ষণ করা হয় এবং হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল ল্যাবে যেসব স্যাম্পল বা নমুনা পাঠানো হয়, সেসব ভালোমানের ফরমালিন দিয়ে সংরক্ষিত করে পাঠানো হয় না। ফলে আলামত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও ভুলের আশঙ্কা বাড়ে। কখনো চিকিৎসক প্রভাবিত হয়েও ভুল ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেন।
ময়নাতদন্তসংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা বলেন, আমাদের দেশে আধুনিক মর্গ ব্যবস্থাপনা নেই। তাছাড়া লাশ মর্গে আসার আগেই অনেক আলামত নষ্ট হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নেয়; তারপর থানা থেকে নেয় মেডিকেল কলেজে। এরপর অ্যাম্বুলেন্স, লেগুনা বা ট্রাকে বা ভ্যানে করে আনে মর্গে। এত আলামত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে। এসব কারণে ভুল ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসে।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ময়নাতদন্তের ভুল প্রতিবেদনের প্রধান কারণ আধুনিক যন্ত্রপাতি ও আধুনিক মর্গের অভাব। দ্বিতীয় কারণ, লাশ যখন আমাদের কাছে আসে তখন আমরা সিন অব দ্য ক্রাইম (অপরাধের দৃশ্য) ভিজিট করি না। ফলে অনেক ইনফরমেশন ধরা পড়ে না। উন্নতবিশ্বে কোথাও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে পুলিশ ওই স্থানকে হলুদ টেপ দিয়ে ঘিরে রাখে এবং সবার আগে ভিজিট করে একজন ফরেনসিক স্পেশালিস্ট। ওখান থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগৃহীত হয়ে মর্গে চলে আসে। মর্গে লাশ পাঠায় পুলিশ, পরে পোস্টমর্টেম করে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে মরদেহের ফাইন্ডিংস মিলিয়ে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। সেটাই সঠিক ও নির্ভরযোগ্য হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এমন হয় না।’
ময়নাতদন্ত কী : খুন বা অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর ভুক্তভোগীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য একজন ফরেনসিক চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞ মরদেহের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গ বা অঙ্গবিশেষের গভীর নিরীক্ষণ করেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করে মন্তব্যসহ যে প্রতিবেদন দেওয়া হয় তাই পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি মনে করেন, ময়নাতদন্ত হওয়া জরুরি, তখন মৃতদেহ সিভিল সার্জন বা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
সম্প্রতি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যা ও রেল দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর কথা উল্লেখ থাকা ২২টি মামলা তদন্ত করে পিবিআই জানায়, এগুলো ছিল পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। ওই মামলাগুলোতে পুলিশের অন্যান্য সংস্থা তদন্ত করে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল।
পিবিআইপ্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘হত্যা বা অপমৃত্যুর মামলার তদন্তে ময়নাতদন্তের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভালো ময়নাতদন্ত মামলার রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অন্যদিকে ময়নাতদন্ত সঠিক না হলে তদন্ত ভিন্ন পথে মোড় নেয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে সাহায্য করে, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে দারুণভাবে সহায়তা করে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিটফোর্ড বা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে ২০২১ সালে ৭৪০টি, ২০২২ সালে ৬০০টি ও চলতি বছর ১৫ মে পর্যন্ত ১৪৫টি মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। গত ১৫ মে দুপুরে সেখানকার মর্গে গিয়ে দেখা গেছে জরাজীর্ণ দশা। দুটি মরদেহ পড়ে আছে পোস্টমর্টেমের অপেক্ষায়। মর্গ সহকারী নাম প্রকাশ না করে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘মর্গের লাশ রাখার একমাত্র ফ্রিজটি তিন বছর ধরে নষ্ট। ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় মালামালের সংকট সবসময়ই থাকে। নেই আধুনিক কোনো সুবিধা। তিনজন মর্গ সহকারীই বছরের পর বছর চুক্তিভিত্তিতে কাজ করছেন।’
জানা গেছে, রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য মর্গের দশা একই।
ময়নাতদন্ত সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে পিবিআইয়ের এক প্রতিবেদনে দেশের মর্গসংশ্লিষ্টদের ফরেনসিক বিষয়ে আধুনিক ও বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের অভাব, বিশেষজ্ঞ ফরেনসিক চিকিৎসকের তুলনায় লাশের সংখ্যা বেশি, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও হিমাগারসহ মানসম্মত অবকাঠামো না থাকাকে ভুল ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য দায়ী করা হয়েছে। এ ছাড়া মর্গ অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ডোমের স্বল্পতা, জটিল ও চাঞ্চল্যকর মরদেহের ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত না করা, আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা থাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত কাজে অংশ নিতে চান না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ময়নাতদন্ত বিষয়ে পিবিআইয়ের প্রতিবেদন ও দেশ রূপান্তরের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের মর্গগুলোতে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ ও আলোর ব্যবস্থাসহ আধুনিক অবকাঠামো ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির ঘাটতি রয়েছে। অনেক জেলায় মর্গে বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে জেনারেটর নেই। অনেক জেলায় মর্গে পর্যাপ্ত দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল নেই। বংশ পরম্পরায় মর্গ অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ডোমরা ময়নাতদন্তের সহযোগী হিসেবে কাজ করলেও তাদের কোনো মৌলিক প্রশিক্ষণ নেই। তাছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ ব্যস্ত মর্গগুলোতে মর্গ অ্যাসিস্ট্যান্টদের স্বল্পতা প্রকট। অনেক জায়গায় দেখা গেছে, লাশ সংরক্ষণের সুরক্ষিত পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার অভাব। বিদেশি নাগরিক ও বিশেষ ক্ষেত্রে মরদেহ প্রচলিত নিয়মে হিমঘরে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন পড়ে। অল্পসংখ্যক মর্গে কুলিং বা ফ্রিজিং বা মর্চুয়ারি কুলার সিস্টেম থাকলেও অধিকাংশ সময় নষ্ট থাকে বলে গরমের সময় লাশে দ্রুত পচন ধরে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর সম্ভাব্য সময়ের উল্লেখ থাকা জরুরি। মর্গে আধুনিক প্রযুক্তি না থাকায় অভিমত প্রদানে বিশেষজ্ঞদের সমস্যা হয়। পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ১ জুন রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকায় নিজ বাসা থেকে ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি খুন হয়েছিলেন। মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে। খুনের ধরন মোটামুটি স্পষ্ট হলেও ঘটনার রহস্য উন্মোচনে খুনের ‘সম্ভাব্য সময়’ জানার জন্য পিবিআই ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকদের সুযোগ-সুবিধা কম হওয়ায় চিকিৎসা শিক্ষায় এ শাখাটি অবহেলিত এবং কম গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। ফলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে বিশেষজ্ঞ ফরেনসিক ডাক্তারের স্বল্পতা রয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে আরেকটি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে, সিএমএম আদালতের নির্দেশে ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগরের লালমোহন থানা এলাকা থেকে কামাল মাঝির (৪৫) ৩৮ মাসের পুরনো মরদেহ তুলে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। সেখানে কর্মরতদের কারও এ ধরনের মরদেহের ময়নাতদন্তের অভিজ্ঞতা না থাকায় মরদেহটি ভোলা থেকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে নেওয়া হয়। দায়িত্বরত প্রভাষক জানান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকের পদে কেউ কর্মরত নেই। তিনি মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য অন্য কোনো মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে নেওয়ার অনুরোধ করেন। পিবিআই মরদেহটি বরিশাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সংশ্লিষ্ট বিভাগে নিয়ে যায়।
হত্যা কেন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা হিসেবে আসে জানতে চাইলে ফরেনসিক চিকিৎসকরা জানান, কাউকে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে রাখলে তার ওপর দিয়ে ট্রেন গিয়ে একেবারে ক্ষতবিক্ষত হয়ে হাড়গোড় বেরিয়ে দলিত হয়ে যায়। একে চিকিৎসাশাস্ত্রে মিউটিলেডেট লাশ বলে। ওইসব লাশের আলামত বোঝা যায় না। আগের আলামত নষ্ট হয়ে নতুন আলামত তৈরি হয়। তখন রেল দুর্ঘটনাই মনে হয়। এতে অনেক সময় চিকিৎসকরা মিসগাইডেড হয়।
ফরেনসিক বিভাগে চিকিৎসকের সংকট বিষয়ে এক চিকিৎসক বলেন, ‘আমি ঢাকায়ে আছি, অথচ আমাকে কক্সবাজার বা পঞ্চগড় গিয়ে স্বাক্ষর দিতে হচ্ছে। বাইরে যাওয়ার, বিশেষ করে একা, বিপদ আছে অনেক, সংক্ষুব্ধ পক্ষ হামলা চালাতে পারে। এজন্য অনেক চিকিৎসক এ বিভাগে থাকতে চান না। এখানে সুবিধাও অনেক কম। মফস্বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে মিসগাইড করে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট লেখানো হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রথম সেট ২৫ মিনিট, দ্বিতীয়টি ২৮ মিনিটে জিতলেন কার্লোস আলকারাজ। মনে হচ্ছিল কোয়ালিফায়ার ফ্যাভিও কোবোলিকে বুঝি উড়িয়েই দিচ্ছেন শীর্ষ বাছাই।
না, তৃতীয় সেটতে প্রতিরোধ গড়লেন ইতালিয়ান। সময় গড়ালো ঘন্টায়। শেষপর্যন্ত জয় এসেছে ৬৬ মিনিটে। ৬-০, ৬-২, ৭-৫ গেমে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ জিতে রাফায়েল নাদালের উত্তরসুরি ক্লে কোর্টের সর্বোচ্চ আসর শুরু করলেন।
নাদালের চোটজনিত অনুপস্থিতিতে শীর্ষবাছাই আলকারাজ। ২০২১ এ তৃতীয় রাউন্ড, গতবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছিলেন। এবার আরো এগোলে সেমিফাইনালে নোভাক জকোভিচের সংগে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা।
সে দেখা যাবে। আপাতত দ্বিতীয় রাউন্ডে আলকারাজকে টপকাতে হবে জাপানের টি. দানিয়লেকে।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনাল দেখতে কুমিল্লায় উড়ে গেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়েছে ম্যাচটি। সালাউদ্দিন ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা খানেক আগে কুমিল্লায় পৌঁছান।
ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুমিল্লায় পাড়ি দিতে মাত্র দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তবে সালাউদ্দিন দূরত্বটা পাড়ি দিয়েছেন হেলিকপ্টারে করে। যা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
টাকার অভাবে কদিন আগে নারী ফুটবলারদের অলিম্পিক বাছাইয়ে পাঠায়নি বাফুফে। অথচ ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যেতে বাফুফে সভাপতি বেছে নিলেন হেলিকপ্টার।
হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে কুমিল্লার এই যাত্রায় বাফুফে সভাপতির সঙ্গী হয়েছেন সংস্থার নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।
ফ্যাটি লিভার রোগটি এখন ঘরে ঘরে। প্রাথমিকভাবে এই রোগের লক্ষণ না বুঝতে পারলে, অনেক সমস্যাই দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকরা জানান, এই রোগ থেকে বাঁচতে জীবনধারায় বদল আনতে হবে।
কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন? শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া, হঠাৎ ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া, হলুদ রঙের দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব, ওজন অত্যন্ত বেড়ে যাওয়া, সারাক্ষণ ক্লান্তিভাব— এই উপসর্গগুলি ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ হতে পারে। অনেকের ধারণা, মদ্যপান করলেই এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তবে কেবল মদ্যপান ছেড়ে দিলেই এই রোগের ঝুঁকি কমবে না। কম তেলমশলার খাবার খাওয়া, বাড়ির খাবারে অভ্যস্ত হওয়া, মদ ছেড়ে দেওয়া— এই অভ্যাসগুলিই লিভারকে ভাল রাখার অন্যতম উপায়। এই অসুখকে ঠেকিয়ে রাখতে ডায়েটের ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে। তবে এগুলিই শেষ কথা নয়। লিভার ভাল রাখতে মেনে চলতে হয় আরও কিছু নিয়মকানুন। কিন্তু কী কী?
চিনির মাত্রা কমানো
সহজে রোগা হতে চেয়ে অনেকেই নিজের খুশি মতো ডায়েট প্ল্যান বানিয়ে নেন। চিনি বাদ দিয়ে দেদারে কৃত্রিম চিনির উপরেই ভরসা করেন। এতেই আসলে চরম ক্ষতি করছেন শরীরের। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস আমাদের লিভারের ব্যাপক ক্ষতি করে। ফ্রুকটোজ হোক কিংবা কৃত্রিম চিনি, লিভারের অসুখ ডেকে আনে।
ব্যথার ওষুধ কম খান
বেশকিছু বেদনানাশক ওষুধ লিভারের ক্ষতি করে। কিছু প্যারাসিটামল বা কোলেস্টেরলের ওষুধও লিভারের প্রভূত ক্ষতি করে। ঘুম না হলে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ খেতে শুরু করেন। এই অভ্যাসের কারণে লিভারের জটিল রোগে ভুগতে হতে পারে।
পানি বেশি করে খান
শরীর থেকে যতটা দূষিত পদার্থ বার করে দিতে পারবেন, লিভার ততটাই সুস্থ থাকবে। তাই বেশি করে পানি খেতে হবে। তবেই প্রস্রাবের সঙ্গে শরীরের টক্সিন পদার্থগুলি বেরিয়ে যাবে। দিনে কয়েক বার গরম পানিতে পাতিলেবুর রস দিয়ে সেই পানি খান। ডায়েটে রাখুন টক দইয়ের মতো প্রোবায়োটিক।
পর্যাপ্ত ঘুম
সারাদিন কর্মব্যস্ততা আর রাত জেগে মোবাইলে চোখ রেখে সিনেমা দেখা— সব মিলিয়ে ঘুমের সঙ্গে আপস। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ঘুমের অভাব হলে তার প্রভাব পড়ে লিভারের উপরেও।
ওজন কমান
শুধু সুন্দর দেখানোর জন্যই নয়, লিভার সুরক্ষিত রাখতে চাইলেও কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আমাদের শরীরে কার্বহাইড্রেট-প্রোটিন-ফ্যাটের সঠিক ভারসাম্য থাকা ভীষণ জরুরি। তবে ইদানিং বাড়ির খাবার নয়, বরং রেস্তোরাঁর খাবার, রেড মিট, বাইরের ভাজাভুজি, প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খেয়ে অভ্যস্ত। আর এর জেরেই শরীরে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা বাড়ছে। লিভারের পক্ষে এই ফ্যাট মোটেই ভাল নয়।
আইপিএলের পঞ্চম শিরোপা জিততে চেন্নাই সুপার কিংসের চাই ১৫ ওভারে ১৭১ রান। আহমেদাবাদে রাত ১২.৪০ মিনিটে শুরু হবে খেলা। গুজরাট টাইট্যান্সের ২১৪ রানের জবাবে খেলতে নেমে ৩ বলে ৪ রান করার পর বৃ্স্টিতে বন্ধ হয় ফাইনাল। অর্থাৎ বাকি ১৪.৩ ওভারে আরো ১৬৭ রান চাই ধোনীর দলের।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) নির্মিত হয়েছে বিশেষ কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান ‘ও ভোরের পাখি’। ঈমাম হোসাইনের প্রযোজনায় এটি উপস্থাপনা করেছেন তামান্ন তিথি। অনুষ্ঠানটিতে আবৃত্তি করেছেন আশরাফুল আলম, মীর বরকত, রফিকুল ইসলাম, পলি পারভিন, শাকিলা মতিন মৃদুলা, মাসকুর-এ সাত্তার কল্লোল, আসলাম শিশির, সংগীতা চৌধুরী, আহসান উল্লাহ তমাল। প্রচারিত হয় ২৫ মে সকাল সাড়ে ৯টায়।
এছাড়াও নির্মিত হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘আমারে দেবো না ভুলিতে’। অনুষ্ঠানটিতে গান, কবিতা ও আলোচনার সমন্বয়ে কবিকে সামগ্রিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও বাচিকশিল্পীদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। ইয়াসমিন মুসতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, শেলু বড়ুয়া, ছন্দা চক্রবর্ত্তী ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন প্রফেসর মুন্সী আবু সাইফ। মনিরুল হাসানের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হচ্ছে ২৫ মে দুপুর ১ টা ০৫ মিনিটে। আরও প্রচারিত হবে সংগীতানুষ্ঠান ‘দোলনচাঁপা’ ও ‘সন্ধ্যামালতী’। রাত ৯টায় প্রচারিত হবে নাটক ‘বনের পাপিয়া’ (পুনপ্রচার)।