
বিভিন্ন ইস্যুতে সহিংস হয়ে উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপুরীর ওপর ছাত্রলীগ নেত্রীর নির্যাতনের ঘটনা নাড়া দিয়েছে সারা দেশে। শুধু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কিছু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। এতে প্রভাব পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রমে।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ রাবি শিক্ষকের : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে খালি পায়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। পাশাপাশি গতকাল মঙ্গলবার ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত থাকছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে দাঁড়িয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন তিনি।
কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ফরিদ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় সন্ত্রাসী ও পুলিশ যে ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে, এর প্রতিবাদে আমি এখানে অবস্থান নিয়েছি। পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয়দের হামলায় এবং পরে পুলিশের গুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এত শিক্ষার্থী আহত হলো এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি অভিভাবক হিসেবে দুঃখ প্রকাশ করছি। কারণ আমরা তাদের নিরাপত্তা দিতে পারিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা এখনো হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করছে। তাদের মাথার ব্যান্ডেজ খোলা হয়নি, সেলাই এখনো কাটা হয়নি। এ অবস্থায় তারা ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে না। আমি তাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ক্লাস বর্জন করেছি।’
হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শুরুতেই ঘটনাটি যে কারণেই ঘটুক না কেন পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দীর্ঘ সময় পেয়েছে এটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে এবং এর পরিণতি হয়েছে চরম ভয়াবহ। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সঙ্গে যারা এই হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক।’
গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বাস কন্ডাক্টরের সঙ্গে বাগ্্বিত-াকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন রাবির শিক্ষার্থীরা। শুরু হয় দুই পক্ষের ইট ছোড়াছুড়ি। গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় চলে এ সংঘর্ষ। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। এতে আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত হামলা, প্রতিবাদ কুবিতে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, অছাত্র এবং বহিরাগতদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, আহত শিক্ষার্থী এনায়েত উল্লাহ এবং মো. সালমান চৌধুরীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদানপূর্বক নিরাপদ ক্যাম্পাস সুনিশ্চিত এবং হামলায় ইন্ধনদাতা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণের দাবিতে গতকাল আধা বেলা অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস, গল্পগ্রন্থ, রচনাসমগ্র, কবিতা আবৃত্তি এবং গানের মাধ্যমে কর্মসূচি চালিয়ে যান।
আন্দোলনের মুখপাত্র রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে কিন্তু আমরা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ কিংবা আশ্বাস পাইনি।’ পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান জেরিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষাঙ্গন। এভাবে বহিরাগত কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে হাতাহাতি : একাদশ শ্রেণিতে পড়–য়া এক ছাত্রীকে পছন্দ করা নিয়ে দুই ছাত্রের বিরোধের জেরে হাতাহাতিতে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মী। বিষয়টি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বেলা ১টার দিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চকবাজার থানার ওসি মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।’
জীবনানন্দ দাশ বুনো হাঁসের ক্ষিপ্র ডানায় ইঞ্জিনের মতো শব্দ শুনেছেন। শুনেছেন অজস্র অপার পাখার সাঁই-সাঁই শব্দ। বুনো হাঁসের ডানায় হয়তো তিনি শুনেছেন জীবনের আহ্বানও। জীবনানন্দ দাশ তার কবিতায় বুনো হাঁসের উড়াউড়ির ছবি আঁকলেও গবেষকরা শুনেছেন জীববৈচিত্র্যের নতুন গান, দেখেছেন জীবন ফেরার ইঙ্গিত।
বিবিসি জানাচ্ছে, শীতকালে যেসব জলাভূমিতে বুনো রাজহাঁসের বসতি সেইসব জলাভূমির পরিবেশের উন্নতি হওয়ায় ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যে ওই প্রজাতির সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন গবেষকরা। একই সঙ্গে তারা বলেছেন, তাদের এই পরিবেশের উন্নতির এ চিত্র কয়েক দশক ধরে হুমকির মুখে থাকা জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
বিবিসি বলছে, এই প্রজাতির বুনো হাঁস তার ট্রাম্পেটের মতো ডাকের জন্য পরিচিত। তার শীতকালে আইসল্যান্ড থেকে সারা দেশে উড়ে আসে। কিন্তু কয়েক দশক ধরে তার সংখ্যা উল্লেখ যোগ্যহারে কমে গিয়েছিল।
এক্সেটার এবং হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নেতৃত্বে গত তিন দশক ধরে ১০ হাজার হাঁসের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছেন। তারা দেখেন যে, প্রকৃতির সংরক্ষণের কারণে তাদের বেঁচে থাকার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পাশাপাশি তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও বিপুল বেড়েছে। গবেষকরা দেখতে পান, জলাভূমির প্রকৃতি সংরক্ষণের নানা পদক্ষেপই রাজহাঁসের বেঁচে থাকার চাবিকাঠি। এর মধ্যে তারা দেখেন, নির্ধারিত জলাভূমির ৩০ শতাংশ বিশেষভাবে ওই হাসের জন্য সংরক্ষণ করার প্রভাব দারুণভাবে পড়েছে। কয়েক দশকের জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি রোধ করতে ভীষণ সহায়তা করেছে।
বিবিসি বলছে, এ প্রজাতির রাজহাঁস স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড, উত্তর ইংল্যান্ড এবং পূর্ব অ্যাঙ্গ লিয়ার কিছু অংশে দেখা যায়। তাই গবেষকরা নরফোকের ওয়েলনি, ল্যাঙ্কাশায়ারের মার্টিন মেরে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম স্কটল্যান্ডের ক্যারলাভেরক-এ তিনটি প্রকৃতির সংরক্ষণাগার বন্য রাজ হাঁসদের সররক্ষণ করেন।
এ জন্য তারা শেয়াল এবং অন্যান্য শিকারীকে নিয়ন্ত্রণ করা, চাষাবাদ পদ্ধতি বদল আনা এবং বিদ্যুৎ লাইন এড়িয়ে চলাচল নিশ্চিত করার মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন।
গবেষক ড. আন্দ্রেয়া সোরিয়ানো-রেডোন্ডো বলেছেন, আমাদের অনুসন্ধানগুলো শক্তিশালী প্রমাণ দেয় যে প্রকৃতির সংরক্ষণগুলো রাজহাঁসের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং যুক্তরাজ্যে তাদের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি করতে পারে।
তিনি বলেন, এই গবেষণা আমাদের আশাবাদী করছে। জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে নতুন দিশা পাওয়া যাবে এ গবেষণায় পাওয়া ফলাফলের মধ্য দিয়ে। বিষয়টি অনেকটা বুনোহাঁসের ডানায় প্রাণ-প্রকৃতি সংরক্ষণের গান শোনার মতো।
সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিম কোর্ট বার) নির্বাচনে ভোটের দুদিন আগে গত সোমবার রাতে পদত্যাগ করেছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক চৌধুরী। তার পদত্যাগের খবরে মুহূর্তেই নির্বাচনের আমেজ অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। বেড়েছে নির্বাচন নিয়ে নানা আশঙ্কা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষই অনেকটা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। যেমনটি হয়েছিল গত বছর নির্বাচনে। পূর্বঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে দুদিনের ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মুনসুরুল হক চৌধুরী তার পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছেন। গতকাল দিনভর সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের মধ্যে এ নিয়ে নানা আলোচনা হয়। সুপ্রিম কোর্টে তার চেম্বারে সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি তার জন্য নির্বাচনের আগে-পরে বিব্রতকর হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ আইনজীবীরা।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষই নির্বাচন পরিচালনা করতে পাল্টাপাল্টি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে। এর মধ্যে সমিতির বর্তমান কমিটিতে থাকা সভাপতি, সম্পাদকসহ সরকারপন্থিরা অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামানকে আহ্বায়ক ঘোষণা করেছে এবং বিএনপিপন্থিরা সমিতির সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট এ এস এম মোক্তার কবিরকে আহ্বায়ক করে নির্বাচন পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে। সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের দোতলায় মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে দুই পক্ষ সেøাগান পাল্টা সেøাগান দেয়।
এদিকে রাত ৯টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান মনির অভিযোগ করেন, নীল প্যানেলের কিছু আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের তৃতীয়তলায় একটি কক্ষে থাকা ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে নীল প্যানেলের সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সাড়া পাওয়া যায়নি। আর সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিগত ২০২২-২৩ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পর সরকারপন্থিদের ভোট পুনঃগণনার দাবি ও বিএনপিন্থিদের ফল ঘোষণার দাবির উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করেছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মসিউজ্জামান। এবার ভোটের আগেই অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক চৌধুরীর পদত্যাগে নির্বাচন নিয়ে নানা আশঙ্কা, জটিলতা ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা।
আইনজীবীদের একাধিক সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী দুই পক্ষকে ডেকে সমস্যা সমাধান ও মুনসুরুল হক চৌধুরীকে অনুরোধ করে আহ্বায়ক পদে রাখা যায় কি না এমন চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এ ক্ষেত্রে সাদা প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মোমতাজ উদ্দিন ফকির সাড়া দেননি।
অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেও দুই পক্ষকে আস্থায় আনতে পারিনি। আমি মোমতাজ উদ্দিন ফকিরকে ফোন করলেও সাড়া দেননি। এখন তারা যদি একমত না হন তাহলে তো কিছুই করার নেই।’ তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতি শোভনীয় নয়। একটা বিতর্কিত নির্বাচন হবে। তবে, অপেক্ষায় আছি দেখি কোনো সমাধান হয় কি না।’
এদিকে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিএনপিপন্থি দুই শতাধিক আইনজীবী। তাদের অভিযোগ, সরকারপন্থি আইনজীবীরা নীলনকশার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। যার ফলে মুনসুরুল হক চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে সরকারপন্থি আইনজীবী ও প্রার্থীরা বলছেন, তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আজ নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে।
এ বিষয়ে জানতে সাদা প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মোমতাজ উদ্দিন ফকিরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও সাড়া মেলেনি। একই প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী আবদুন নূর দুলাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট বারের প্যাডে আহ্বায়কের নাম লেখা হয়েছে। তারা যে নাম দিয়েছেন এর কোনো ভিত্তি নেই। আজকে নির্বাচন হবে এবং সুষ্ঠু ভোট হবে।’
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘জাতীয় রাজনীতি ও নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় দুঃখজনকভাবে এটার আছর সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনেও লেগেছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপচেষ্টা চলছে। আমরা একটি সুষ্ঠু স্বাভাবিক পরিবেশে নির্বাচন চাই।’
২০২২-২৩ মেয়াদে (গত বছর) নির্বাচনে সরকারপন্থি আইনজীবীদের ভোট পুনঃগণনার দাবি এবং বিএনপিন্থিদের ফলাফল ঘোষণার দাবি নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মসিউজ্জামান পদত্যাগ করেন। এরপর নানা ঘটনায় প্রায় দেড় মাস ফল ঘোষণা বন্ধ থাকে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারপন্থি ও বিএনপিপন্থিদের মধ্যে একাধিকবার হট্টগোল, হাতাহাতি, মারামারি, হাতুড়ি নিয়ে হামলা ও রক্তারক্তির ঘটনা ঘটে।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আহ্বায়কের পদত্যাগে একটি বিতর্কযুক্ত পরিবেশ ও জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেল। ঘোরতর কোনো সমস্যা বা মতানৈক্য না হলে তিনি পদত্যাগ করার মতো লোক নন। এখন নির্বাচনে যাই ফল হোক এটা একটা পরস্পরবিরোধীর দিকে যাবেই।’ তিনি বলেন, ‘আইনজীবীদের রাজনীতি করতে বাধা নেই। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের নির্বাচন নিয়ে কয়েক বছর ধরে যে পরিস্থিতি তা প্রচণ্ড বিব্রতকর ও হতাশার। এর কারণ আইনজীবীদের অনেকেই এখন নীতিবিহীন ভোটের রাজনীতিতে ব্যস্ত, যার ফলাফল এই।’
এবার সমিতির প্রায় ৯ হাজার আইনজীবী ভোটার ভোট দেবেন। সরকারপন্থিরা সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ (সাদা প্যানেল) নামে এবং বিএনপিপন্থিরা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ (নীল প্যানেল) নামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এবারের নির্বাচনে সাদা প্যানেল থেকে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সম্পাদক পদে আবদুন নূর দুলাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে নীল প্যানেল থেকে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ প্যানেল থেকে সম্পাদক পদে সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল নির্বাচনে লড়ছেন।
রাজধানীর উত্তরা থেকে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লুট হওয়া ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকার মধ্যে আরও ৫৮ লাখ ৭ হাজার উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া লুটের পরিকল্পনাকারীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
গতকাল মঙ্গলবার ও আগের দিন সোমবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলো মো. হৃদয় (২১), আকাশ ও মিলন মিয়া (২৯)। তাদের মধ্যে আকাশ পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে অন্যতম। এ নিয়ে এ ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, ডিএমপি ডিবির প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ।
গত বৃহস্পতিবার সকালে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা পৌঁছে দিতে যাওয়ার সময় তুরাগ এলাকায় বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা মানিপ্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের একটি মাইক্রোবাস আটকে চার ট্রাঙ্ক টাকা নিয়ে যায় একদল ডাকাত। ওইসব ট্রাঙ্কে ব্যাংকের ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিল বলে মানিপ্ল্যান্টের তরফ থেকে জানানো হয়।
সেদিন অভিযান চালিয়ে তিনটি ট্রাঙ্ক উদ্ধার করা হয়, সেখানে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিল। পরে গত শনিবার ঢাকা ও সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা উদ্ধারের কথা জানায় ডিবি পুলিশ। তাদের পাঁচ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ (রিমান্ড) করছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ জানান, ডাকাতির পেছনে কেউ ছিল পরিকল্পনাকারী, কেউ মোবাইল ফোনসেট ও সিম সংগ্রহকারী, কেউ শুধু ঘটনার সময় কাজ করে। মূল পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে কাজ করে চার-পাঁচজন। এদের মধ্যে আকাশ ও সোহেল রানা নামের দুজন ডাকাতির মূল ছকটি সাজায়। বুথে টাকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করা মানিপ্ল্যান্টের সাবেক গাড়িচালক সোহেলসহ তিনজন পলাতক।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, মানিপ্ল্যান্টের কেউ জড়িত ছিল কি না সেটি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে পলাতক সোহেল রানা মানিপ্ল্যান্টে গাড়িচালকের চাকরি করত। তাকে গ্রেপ্তার করা হলে সবকিছু জানা যাবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন আরও বলেন, আকাশ তার পূর্বপরিচিত ইমন মিলনের কাছে টাকা ডাকাতির বিষয়টি শেয়ার করে এবং তাকে এই কাজে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দেয়। তাকে লোকজন সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইমন মিলন তার পূর্বপরিচিত সানোয়ার হোসেনকে বিষয়টি জানায় এবং লোকজনের জোগান, সিম সংগ্রহ ও মোবাইল ফোন কেনার দায়িত্ব দেয়। সানোয়ার আটটি নতুন সিম এবং মোবাইল সেট জোগাড় করে। তার নিজ জেলা সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা থেকে ৯ জনকে সংগ্রহ করে। তারা প্রত্যেকেই ঘটনার দুদিন আগে ঢাকায় একত্র হয়। পরিকল্পনাকারীরা তাদের ঢাকায় এনে নতুন পোশাক ও জুতা কিনে দেয়। আকাশ ও সোহেল ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা লুটের বিষয়টি গোপন রাখে ইমন মিলন ও সানোয়ারের কাছে। তারা জানায়, তারা কিছু অবৈধ হুন্ডির টাকা লুট করবে।
ডিবিপ্রধান বলেন, ডাকাতির পর আকাশ মাইক্রোবাসে উঠতে না পারায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ধারণা করে যে, আকাশ ধরা পড়ে গেছে। ধরা পড়ার ভয়ে তারা তাদের কাছে থাকা ফোনগুলো ৩০০ ফুট সড়কে ফেলে দেয়। পরে একটি নির্জন জায়গায় গিয়ে ব্যাগ এবং বস্তায় করে যার যার মতো টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ওসি মো. ফরিদুল ইসলাম পারিবারিক ছুটির নামে স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের সঙ্গে আনন্দ ভ্রমণে কক্সবাজার বেড়াতে গেছেন। তবে জাতীয় নির্বাচনের বছরখানেক বাকি থাকতে এমপির সঙ্গে ওসির এমন আনন্দ ভ্রমণকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এমপির সঙ্গে ওসির এই আনন্দ ভ্রমণের ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েও পড়েছে।
এর আগে, ভূঞাপুর থানার ওসি পারিবারিক কারণ দেখিয়ে দুদিনের ছুটি নিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপারের কাছ থেকে।
জানা গেছে, গত ১১ মার্চ রাতে ভূঞাপুর থানার ওসি মো. ফরিদুল ইসলাম থানা ত্যাগ করেন। ১২ মার্চ টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের সঙ্গে ঢাকা থেকে এয়ার অ্যাস্ট্রার একটি ফ্লাইটে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কক্সবাজার যান। এ সময় বিমানের সামনে ওঠানো ছবিতে সংসদ সদস্য ও ওসি ছাড়াও আরও দুজনকে দেখা যায়।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সদস্য ও ভূঞাপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম তালুকদার বাবলু দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘স্থানীয় এমপির সঙ্গে ওসি আনন্দ ভ্রমণে যেতে পারেন কি না, আইনে কী বলা আছে জানা নেই। তবে তিনি এমপির সঙ্গে কক্সবাজার আনন্দ ভ্রমণে গেছেন, এটা ফেসবুকে দেখেছি। একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে জনপ্রতিনিধির সঙ্গে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। উনি সরকারি আদেশ পালনের চেয়ে এমপির আদেশ-নির্দেশ পালনে বেশি সচেষ্ট থাকেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এমপির নির্দেশে ওসি মিথ্যা মামলা দিয়েছে।’
এমপির সঙ্গে ভ্রমণের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মো. ফরিদুল ইসলাম মোবাইল ফোনে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ছুটিতে বাইরে আছি। এখনো আসিনি। এমপির সঙ্গে ছবি দেখতে পারেন, কিন্তু বিষয় হলো আমাদের ব্যক্তিগত জীবন আছে না। আমরা আমাদের মতো আসছি।’
এমপির সঙ্গে ওসির এমন ভ্রমণ নীতিসংগত কি না জানতে চাইলে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ওসি পারিবারিক সমস্যা দেখিয়ে দুদিনের ছুটি নিয়েছেন। কক্সবাজার গিয়েছেন কি না জানি না। তা ছাড়া এমপির সঙ্গে আনন্দ ভ্রমণে যাওয়া আচরণবিধিতে বাধা নেই। তবে বিষয়টি দৃষ্টিকটু।’
মূলত কারখানা কর্র্তৃপক্ষের অবহেলাতেই বিস্ফোরণ ঘটেছে চট্টগ্রামের সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে। এর সঙ্গে আরও দুটি কারণও রয়েছে। ওই বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান তদন্ত প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন।
এ ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সে জন্য তদন্ত প্রতিবেদনে ৯ দফা সুপারিশও করা হয়েছে। আর এসব সুপারিশের আলোকে ২০ মার্চ চট্টগ্রামের অক্সিজেন প্ল্যান্ট প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কর্মশালারও আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। তবে বিস্ফোরণের কারণ ও সুপারিশগুলো
বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেননি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্টটি সিলগালা অবস্থায় রয়েছে। এটি আমরা সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠিয়ে দেব। তাদের অনুমতি সাপেক্ষে বিস্ফোরণের কারণ ও সুপারিশগুলো মিডিয়াকে জানানো হবে।’
সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের সব ছাড়পত্র যথাযথ ছিল কি না জানতে চাইলে আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান উত্তর দেওয়ার জন্য তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক রাকিব হাসানকে বলেন। রাকিব হাসান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটিতে কিছু সমস্যা তো ছিলই; তবে অবহেলাই ছিল প্রধান সমস্যা। এ ছাড়া দেশে অক্সিজেন প্ল্যান্টে আগে কখনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। শুধু দেশেই নয়, সারা বিশ্বে এক দশকে মাত্র তিন থেকে চারটি ঘটনা ঘটেছিল। তাই আগামীতে যাতে এমন দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় চট্টগ্রামের অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলোর প্রতিনিধিদের জন্য একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অক্সিজেন সেপারেশন কলামে যে বিস্ফোরণ হয়েছিল তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই।’
ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের পরদিন দেশ রূপান্তরের অনুসন্ধানেও অক্সিজেন সেপারেশন কলামটি বিস্ফোরিত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। প্রায় ১০০ ফুট উঁচু এবং ১৪ ফুট বাই ১৪ ফুট আয়তনের অক্সিজেন সেপারেশন কলামটি বিস্ফোরিত হওয়ায় এর গায়ে লাগানো লোহার শিটগুলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আর এতেই সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। মানুষও মারা গিয়েছিল এসব লোহার শিটের আঘাতে। এ কলামটিতে এসে অক্সিজেন জমা হতো। একই সঙ্গে দুটি পাইপ দিয়ে আসত বাতাস। আর দুটি পাইপ দিয়ে উৎপাদিত অক্সিজেন দুটি ডেলিভারি পয়েন্টে চলে যেত। সেই ডেলিভারি পয়েন্টে প্রায় ২৪টি সিলিন্ডারে একসঙ্গে অক্সিজেন রিফিল করা হতো। প্ল্যান্টে দুটি ডেলিভারি পয়েন্ট ছিল। কোনো না কোনো কারণে ডেলিভারি হতে না পারায় জমে থাকা অক্সিজেন বিস্ফোরিত হয়েছিল বলে প্ল্যান্টের শ্রমিকদের এবং বিস্ফোরক অধিদপ্তরের ধারণা।
৪ মার্চ সীতাকু-ের কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে সাতজনের মৃত্যু এবং প্রায় ৩০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে এই কমিটিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দুজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
রিয়াল মাদ্রিদের সংগে ১৪ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলছেন। ৪০ কোটি ইউরো চুক্তিতে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আলো ইত্তিহাদে যোগ দিচ্ছেন।
ক'দিন ধরে এমন কথা শোনা যাচ্ছিল করিম বেনজেমাকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন -এমন কথাও চাউর হয় স্পেনের সংবাদ মাধ্যমে।
কিন্তু সব কিছুতে জল ঢাললেন ব্যালন ডি অর জয়ী। স্পেনের গণমাধ্যম মার্কার দেয়া মার্কা লিজেন্ড এওয়ার্ড নিতে গিয়ে বললেন, 'আমি যখন রিয়ালেই আছি তখন ভবিষ্যৎ নিয়ে কেনো বলবো। ইন্টারনেটে যা প্রচার হচ্ছে তা ঠিক না। আমি এখানে ভালো আছি। শনিবার রিয়ালের ম্যাচ আছে, সব ফোকাস আমার সেই ম্যাচকে নিয়ে।'
ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে তাকে রিয়ালে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বেনজেমা বলেন, '২১ বছরের আমি এই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলাম। এই ক্লাবে খেলার মতো আর কিছু হয় না, সান্তিয়াগো বার্নাবু দারুন এক জায়গা।'
রিয়ালের সংগে চুক্তির মেয়াদ এ মাসেই শেষ হচ্ছে বেনজেমার।
পাকিস্তানের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলে নয়, এশিয়া কাপ হবে একটি দেশে। আর সেটা শ্রীলংকা। পাকিস্তান তাতে অংশ না নিতে চাইলে তাদেরকে ছাড়াই হবে এশিয়া কাপ।
ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানকে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে কলকাতাভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দা টেলিগ্রাফ।
বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ যিনি এসিসিরও প্রেসিডেন্ট পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে বলেছেন, শ্রীলংকায় এশিয়া কাপ খেলতে রাজি আছে ভারতসহ চার পূর্ণ সদস্য। বিষয়টি নিয়ে এসিসির নির্বাহী সভায় আলোচনা করা হবে। পাকিস্তান রাজি না হলে ৫ দল নিয়েই হবে এশিয়া কাপ।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচ অন্য কোনো দেশে আয়োজনে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজমা শেঠির দাবিও নাকচ করে দিয়েছেন জয় শাহ। টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, পাকিস্তানকে ভারতেই খেলতে হবে, না হলে না খেলবে। এ বার্তা পিসিবি এবং আইসিসির দুই কর্মকর্তা যারা সম্প্রতি পাকিস্তান সফর করেন তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।