
বরগুনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে উপকূলের রক্ষাকবচ বেড়িবাঁধ সুরক্ষায় তিন কোটি টাকার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ফলজ, বনজ ও ঔষধিসহ বিভিন্ন প্রজাতীর ৮৮ হাজার বৃক্ষরোপণ করার কথা থাকলেও নামমাত্র গাছ লাগিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ খোদ অফিস কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার ৬টি উপজেলার ২২টি পোল্ডারের অধীনে বেড়িবাঁধ রয়েছে ৮০৫ কিলোমিটার। ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও বিভিন্ন দুর্যোগের হাত থেকে উপকূলের রক্ষাকবচ এই বেড়িবাঁধ সুরক্ষিত করার জন্য তিনটি কার্যাদেশের মাধ্যমে প্রায় তিন কোটি টাকার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির অধীনে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বার্ষিক মেরামত খাতের অর্থে বরগুনার ৬টি উপজেলায় ৮৮ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়। তিনটি কার্যাদেশে বৃক্ষরোপণের জন্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয় প্রায় ৩ কোটি টাকা। বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি ৬ মাসের পরিচর্যারও দায়িত্ব দেওয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বৃক্ষরোপণের জন্য দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ কাজ বাস্তবায়নের জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এরমধ্যে নেশনটেক কমিউনিকেশন লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২টি ও বকশি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১টি। প্রথম কার্যাদেশটিতে নেশনটেক কমিউনিকেশন লিমিটেডকে ৯৪ লাখ ৬৮ হাজার ৩৯১ টাকার বিনিময়ে পাথরঘাটা, বামনা, বেতাগী ও বরগুনা সদর উপজেলার পোল্ডারে বৃক্ষরোপণ করতে বলা হয়েছে। দ্বিতীয় কার্যাদেশে বকশি এন্টারপ্রাইজকে ৯৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭৯ টাকার বিনিময়ে বরগুনা সদর উপজেলায় বৃক্ষরোপণ করতে বলা হয়েছে। তৃতীয় কার্যাদেশে পুনরায় নেশনটেক কমিউনিকেশন লিমিটেডকে ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৭৫ টাকায় আমতলী ও তালতলী উপজেলায় বৃক্ষরোপণ করতে বলা হয়েছে। কার্যাদেশ অনুযায়ী মেহগনি, টিক, শাল, চম্বল, আম, কাঁঠাল, লিচু ও কুলগাছ লাগানোর কথা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাগজ-কলমে বরগুনার ৬টি উপজেলার সব কটিতেই কমবেশি বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে রয়েছে এর ভিন্ন রূপ। কয়েকটি পোল্ডারে নামমাত্র গাছ লাগানো হলেও অধিকাংশ পোল্ডারেই লাগানো হয়নি। যেসব পোল্ডারে গাছ লাগানো হয়েছে সেগুলোও পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হয়েছে। অথচ বৃক্ষরোপণের কার্যাদেশ অনুযায়ী বৃক্ষরোপণের সঙ্গে ৬ মাসের পরিচর্যাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। পোল্ডার ভিত্তিক গাছ লাগানোর কথা থাকলেও কোন পোল্ডারে কত গাছ লাগাবে সেই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। তাই কর্মকর্তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়েই দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হয়েছে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ অনুসরণ না করেই টেন্ডার ছাড়াই প্রায় তিন কোটি টাকার বৃক্ষরোপণের দায়িত্ব দেওয়া হয় তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী কাইছার আলমের পছন্দসই ঠিকাদার প্রকৌশলী মাইনুদ্দিন আসাদ নামের এক ব্যক্তিকে। কাজ প্রায় শেষের পথে বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হলে এই কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডারে নেশনটেক কমিউনিকেশন লিমিটেড ও বকশি এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজ পায়। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় ঠিকাদার মাইনুদ্দিন আসাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটোকে টেন্ডার দাখিল করতে বলা হয়। টেন্ডার অনুযায়ী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হলেও এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছিল না বৃক্ষরোপণের পূর্ব অভিজ্ঞতা।
অভিযোগ উঠেছে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী কাইছার আলম, ভারপ্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বিপন সাহা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম সোহাগ ও বরগুনার স্থানীয় ঠিকাদার প্রকৌশলী মাইনুদ্দিন আসাদসহ কাজ পাওয়া দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলীর প্রত্যক্ষ মদদে কিছু কিছু পোল্ডারে নাম মাত্র গাছ লাগিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ছাড়াও একই সময় উপকূলীয় বেড়িবাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বরগুনা সদর উপজেলা ও পাথরঘাটা উপজেলায় ১ লাখ ৫০ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে নির্বাহী প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্পের গাছের ছবি দেখিয়ে বিল উত্তোলন করা হয়েছে।
কার্যাদেশ অনুযায়ী ৮৮ হাজার গাছ লাগাতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ৮৩ লাখ ৬৪ হাজার ৫৪৫ টাকা। এতে প্রতিটি গাছের পেছনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২২ টাকার কিছু বেশি। বর্তমান বাজার মূল্য যাচাই করে দেখা গেছে যেসব গাছ লাগানো হয়েছে রোপণ উপযোগী এই সব গাছ প্রতি ৫০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ বাজার দরে বিক্রি করা হচ্ছে বরগুনার হাটবাজারগুলোতে। বাজার দরের সর্বোচ্চ দাম ১২০ টাকা অনুযায়ী গাছের মূল্য দাঁড়ায় ১ কোটি ৫৬ হাজার টাকা। বৃক্ষরোপণ ও পরিবহন ব্যয় বাদ এসব গাছ লাগাতে আরও অর্ধকোটি টাকা ব্যয় হলেও বাকি টাকা কোথায় গেল?
সরেজমিনে বরগুনার সব পোল্ডার ঘুরে দেখা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের দুটি বেড়িবাঁধে গাছের দৃশ্যমান অস্তিত্ব রয়েছে। বাকি পোল্ডারগুলোতে কোনো গাছে অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। অনেক পোল্ডারে কোনো গাছ লাগানোই হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সদর উপজেলার গোলবুনিয়া খেয়াঘাটের দক্ষিণ পাশের বাসিন্দা জয়নাল, আবুল, কাশেম, ছগিরসহ স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, পায়রা নদীর ভাঙনে আমরা দিশেহারা। প্রতি বছর ভাঙনের কবলে আমাদের সবকিছু হারাতে হয়। বেড়িবাঁধ নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু শুনেছি সেই বেড়িবাঁধ সুরক্ষার জন্য গাছ লাগানো হয়েছে কিন্তু আমরা চোখে কোনো গাছ দেখিনি। গাছগুলো আমাদের এখানে লাগিয়ে যদি আমাদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হতো তাহলে আমাদের প্রয়োজনেই আমরা গাছগুলো রক্ষার উদ্যোগ নিতাম।
এ বিষয়ে কাগজে-কলমে বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নেশনটেক কমিউনিকেশন লিমিটেড ও বকশি এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে বরগুনায় এদের পক্ষ হয়ে কাজ বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার প্রকৌশলী মাইনুদ্দিন আসাদ বলেন, প্রাক্কলন অনুযায়ী যেখানে যেখানে গাছ লাগানোর কথা সব জায়গাতেই আমরা গাছ লাগিয়েছি। পরে গাছ নষ্ট হয়ে গেলে কিংবা কেউ নিয়ে গেলে সে দায়ভার তো আমাদের না। অন্যের লাইসেন্সে পাওয়া কাজ কীভাবে আপনি বাস্তবায়ন করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকাদারি করতে গেলে একজন ঠিকাদারের সঙ্গে অন্য আরেকজন ঠিকাদারের ভালো সম্পর্ক থাকে সেই সম্পর্কের জায়গা থেকেই আমি তাদের লাইসেন্স সংগ্রহ করে এখানে টেন্ডার ড্রপ করি। টেন্ডার হওয়ার আগেই অর্ধেকের বেশি কাজ শেষ করে ফেলেছি, আপনি কীভাবে নিশ্চিত হলেন কাজ আপনিই পাবেন এমনটা জানতে চাইলে তিনি জানান, এই টেন্ডারে অন্য কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছিল কি না আমার জানা নেই। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওপর মহল থেকে গাছ লাগানোর জন্য চাপ আসায় তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী আমাকে গাছ লাগানোর জন্য বললে আমি লাগিয়ে দিই।
তদারকির দায়িত্বে ছিলেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম সোহাগ। তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে পারব না। এর জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী মহোদয় আছেন তিনি কথা বলবেন। আমি একটি পোল্ডারের দায়িত্বে ছিলাম সেখানে ঠিকঠাক গাছ লাগানো হয়েছে। বাকিদের খবর আমি জানি না।
এ বিষয়ে তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বিপন সাহার মুঠোফোনে একাধিকবার সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বরগুনা পাবলিক পলিসি ফোরামের আহ্বায়ক মো. হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বৃক্ষরোপণের নামে যেটি করা হয়েছে সেটি পুকুরচুরি। জনগণের টাকায় গাছ লাগিয়ে শুভঙ্করের ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের যোগসাজশেই এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি থাকবে বিষয়টি তদন্ত করে এহেন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক। তা না হলে ক্রমাগত আরও দুর্নীতি বৃদ্ধি পাবে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা কার্যালয়ের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী কাইছার আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড পটুয়াখালী সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি, বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখব। এ বিষয়ে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক শক্তির অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। তাদের মতো দুর্নীতিবাজদের হাতে ক্ষমতা গেলে দেশে আবারও খুন, টাকা পাচারসহ নানা অশান্তি শুরু হবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর ধোলাইখালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির দুটি গুণ দুর্নীতি আর মানুষ খুন। সাম্প্রদায়িকতার ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে সাম্প্রদায়িকতার অভয়ারণ্যে পরিণত হবে দেশ।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্নীতিবাজ বিএনপি নেতাদের মুখে দুর্নীতিবিরোধী কথা মানায় না। শেখ হাসিনা চুরি থেকে দেশকে বাঁচিয়েছেন। রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত ও গণতান্ত্রিক করেছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল দেখতে ভদ্রলোক, কিন্তু অন্তরে বিষ আর বিষ। এত মিথ্যাচার করতে পারেন। সেরা প্যাথলজিক্যাল লায়ার, সেরা মিথ্যাবাদী। তিনি বলেন, দুর্নীতিতে বিএনপি পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন। এরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, যা হাস্যকর। লজ্জা-শরম নেই। ভোট চুরি করে বিশ্বরেকর্ড করেছে। রাজনৈতিক দলের নেতা কেমন করে এমন মিথ্যাচার করতে পারেন?
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা চুরি করলে পদ্মা সেতু হতো না, ঢাকায় মেট্রোরেল হতো না, এক্সপ্রেসওয়ে হতো না। শেখ হাসিনা যদি চুরি করতেন তাহলে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল হতো না। এক দিনে একশ রাস্তা হতো না। শেখ হাসিনা চুরি করেননি, চুরি থেকে বাংলাদেশকে এবং ক্ষমতার রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, সংকটে কষ্ট পাচ্ছে জনগণ, তাই শেখ হাসিনা বেশি দামে কিনে, কম দামে পণ্য দিচ্ছেন। রোজায় যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য খাদ্য নিরাপত্তা-বলয় বর্ধিত করেছেন। একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। খবর বাসসের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পরমাণু বোমা ছাড়া পাকিস্তানের সবদিক থেকে আমরা এগিয়ে। আপনারা ক্ষমতায় গেলে দেশকে আবার দেউলিয়া করবেন, সেটা হতে দেব না। তারেক কোটি কোটি টাকা পাচার করবে। এই অপশক্তি সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক। জঙ্গিদের হাতে যাবে দেশ।
বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পায়ের তলায় মাটি থাকলে নির্বাচনে এসে প্রমাণ করেন। ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে পারবেন না। প্রমাণ করতে নির্বাচনে আসুন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফির সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনু প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাড়িতে চাল নেই। অথচ বই কিনে নিয়ে গেছেন ঠিকই! এ জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে কথা শুনতে হয়েছে। একবার ঢাকায় ঈদের কেনাকাটা করতে এসে পুরো টাকার বই কিনে নিয়ে যান তিনি। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ তাকে মাতাল করে। বইমেলা শুরু হলে কেউ আর তাকে আটকে রাখতে পারে না। সেই কৈশোর থেকেই টিফিনের টাকা জমিয়ে বই কেনা শুরু। আজ তার সংগ্রহে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার বই!
বাড়িতে এত বেশি বই আর বইয়ের শেলফ যে পরিবারের লোকদের শোয়ার জায়গাই হচ্ছিল না! ফলে দোকান ভাড়া করে বইগুলো স্থানান্তর করেছেন তিনি।
বলছি একজন বইপাগলের কথা। যার কাছে বই-ই হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। বইয়ের ঘ্রাণে যিনি ঘুমান, তিনি রফিকুল ইসলাম। মানিকগঞ্জের শিবালয় ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার।
একজন ইউপি মেম্বার হলেও বই পড়া, কেনা, সংগ্রহ এবং মানুষকে বই পড়িয়ে তার আনন্দ। ‘বই পড়ি, আত্মার পরিচর্চা করি’ স্লোগান নিয়ে আরিচা ঘাটে ভাড়া করা একটি দোকানে গড়ে তুলেছেন পাঠাগার। পাঠাগারের নাম দিয়েছেন তার ছেলের নামে ‘রোহান পাঠাগার’। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের বই রয়েছে পাঠাগারটিতে। শিশুদের জন্যও রয়েছে নানা রকম বই। ছোটগল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, ইতিহাস, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির বই ছাড়াও প্রচুর ধর্মীয় বই রয়েছে পাঠাগারটিতে।
বইপ্রেমী রফিকুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ভালো বই মানুষকে সৃজনশীল করে। মনের অন্ধকার, অজ্ঞতা দূর করে মানুষকে নির্মল আনন্দ দেয়। বইয়ের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে মানুষের যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, সেই বন্ধুত্বে থাকে গভীর বিশ্বাস ও ভালোবাসা। এই গভীর বিশ্বাস ও ভালোবাসাকে যুগ যুগ ধরে স্মরণ করে রাখে পাঠকের হৃদয় ও মনকে। বই পড়লে মানুষের মনোভাবের পরিবর্তন এবং নতুন চিন্তার আবির্ভাব ঘটে।
রফিক জানান, প্রতি মাসে ঘর ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ও আনুষঙ্গিক ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ। এলাকার মানুষ বইমুখী হোক, পাঠাগারমুখী হোক, আত্মার উন্নয়ন করুক, সমাজসেবায় অবদান রাখুক এটাই তার চাওয়া।
তিনি আরও বলেন, মানুষ যত বেশি বই পড়বে, তত বেশি সামাজিক হানাহানি কমবে, সামাজিক বিশৃঙ্খলা কমবে।
দেশ রূপান্তরকে তিনি আরও বলেন, ‘এমন অনেক দিন গেছে সংসার চলছে না; বাজার করতে গিয়ে বই কিনে নিয়ে এসেছি। বউ-ছেলের জন্য জামা কিনতে গিয়েও বই কিনে নিয়ে আসতাম।’
রফিক বলেন, ‘পাঠাগার করার চিন্তা থেকে বই সংগ্রহ করা হয়নি। বই কিনতে কিনতে একসময় দেখি বাসায় বই রাখার জায়গা হচ্ছে না। তখন সিদ্ধান্ত নিই বইগুলো ভাড়া করা ঘরে নিয়ে আসব। তারপর সিদ্ধান্ত নিই পাঠাগার করার।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পাঠাগারে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার বই আছে। ইচ্ছা আছে ২৫ হাজার বই সংগ্রহের। প্রতিদিন বিভিন্ন বয়সের পাঠকেরা এখান থেকে বই সংগ্রহ করেন। পড়া শেষে আবার বই ফেরত দিয়ে যান। বই পড়ার জন্য কোনো টাকা নিই না।’
রফিকুল ইসলাম রোহান পাঠাগারটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু এখনো রেজিস্ট্রেশন হয়নি। তিনি বলেন, ‘দুই বছর ধরে চেষ্টা করেও হয়নি।’
তিনি তার স্বপ্নের পাঠাগারটি টিকিয়ে রাখার জন্য সরকার ও শিক্ষানুরাগী হৃদয়বানদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সম্প্রতি মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম আনোয়ারুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আফজাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম পাঠাগার পরিদর্শন করেছেন। এ ছাড়া মানিকগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানা, শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, ফিরোজ কবির, কামাল মোহাম্মদ রাশেদ, জেসমিন সুলতানা, জাহিদুর রহমান পাঠাগারটি পরিদর্শন করেন।
রোহান পাঠাগার থেকে সব ধরনের পাঠকের বইয়ের চাহিদা পূরণ হবে বলে জানান স্থানীয় সাংবাদিক শাজাহান বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম ও মারুফ হোসেন। তারা জানান, যেকোনো সৃজনশীল পাঠক এখানে এসে সাহিত্যচর্চা করাসহ মন ও মননকে তৃপ্ত করতে পারবেন। জ্ঞানকে শাণিত ও সমৃদ্ধ করতে পারবেন। অনন্য এ উদ্যোগটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ুক।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সীমাহীন দুর্নীতি দেশকে ধ্বংস করেছে। তারা দেশের সব খেয়ে ফেলেছে। এখন বাংলাদেশের মানচিত্রটাও খেয়ে ফেলতে বসেছে। বিদেশি গণমাধ্যমও এখন সরকারের দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে। আওয়ামী লীগের মূলনীতি দুর্নীতি আর টাকা পাচার।’
গতকাল শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দেশকে উদ্বার করতে হলে দেশপ্রেমিক সরকার দরকার। তার আগে জনগণের শক্তি দিয়ে সরকারকে সরাতে হবে।’ রমজানের কারণে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নতুন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা না করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সামনে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইতিপূর্বে যে কর্মসূচি ঘোষিত হয়েছে তা পালন করা হবে।’
রমজানের আগে সর্বশেষ যুগপৎ কর্মসূচি হিসেবে আয়োজিত সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার মূলনীতি টাকা পাচার আর দুর্নীতি। এই সরকারের দুর্নীতির ফিরিস্তি দিতে হলে এক-দুই দিনে হবে না, এক মাস সময় লাগবে। তাদের (আওয়ামী লীগ) প্রতিক্ষেত্রে দুর্নীতি।’
সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশের (টিআইবি) রিপোর্ট অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়নের চাকরির জন্যও ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। আমি বলেছিলাম, এ সরকার বিদ্যুৎ খাতকে দুর্নীতির প্রধান খাত হিসেবে বেছে নিয়েছে। আরও আছে, তেল আমদানি খাত।’ তিনি বলেন, ‘সিআইডি বলেছে, দেশ থেকে প্রতি বছর হুন্ডির মাধ্যমে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। একটা বালিশ কিনেছে ৫ হাজার ৭০০ টাকায়। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু ৩০ হাজার কোটি টাকায় বানিয়েছে। আবার নতুন শুরু করেছে পাতাল রেল। উদ্দেশ্য একটাই লুট। ২১ কিলোমিটার পাতাল রেলে খরচ হবে ৫২ হাজার কোটি টাকা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কারাগারে যখন ছিলাম তখন ব্যাংকের টাকা লোপাট করা ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এত টাকা কীভাবে কামালেন? জবাবে তারা বলেছেন, এটা তারা একা করেননি, তাদের সঙ্গে সরকারের আরও অনেকেই ছিলেন।’
মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) রাজধানীর পূর্ব পান্থপথের এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে, ১২ দলীয় জোট রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকের পেছনে, গণতন্ত্র মঞ্চ পল্টন মোড়ে, গণফোরামের একাংশ মতিঝিলে তাদের অফিসের সামনে, সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করে।
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব ও পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারের পর এবার নারায়ণগঞ্জে একটি ভবনের খাদ্যগুদামে বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে আওলাদ হোসেন (৪৫) নামে এক শ্রমিক নিহত ও নয়জন জন দগ্ধ হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার নিতাইগঞ্জের ডালপট্টি এলাকায় প্রায় শতবছরের পুরনো ওই ভবনে এ ঘটনা ঘটে। ভবনটি ডাল, চাল, ভুসি, লবণ, কাগজের গোডাউন ছিল।
তৎক্ষণাৎ বিস্ফোরণের কারণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। তবে ভবনের ভেতরে গ্যাসের লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে তারা।
দগ্ধরা হলেন দিনমজুর হযরত আলী (৪০), মোহাম্মদ হোসেন (৪০), মুদিদোকানের কর্মচারী রবি দত্ত (৪০), মো. জাকির হোসেন (৪১), ট্রাকচালক মো. বিল্লাল হোসেন (৪৫) ও অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি (৫০), রিকশাচালক রেজাউল করিম (৫০), জগদীশ সরকার (৬৫) ও মো. শাহজাহান (৪০)।
নিহত আওলাদের সহকর্মী আলমগীর হোসেন জানান, তারা নারায়ণগঞ্জ নিতাইগঞ্জ ডালপট্টি এলাকায় ট্রাক থেকে মালামাল নামাচ্ছিলেন ঠেলাগাড়িতে। রাস্তায় জ্যাম ছিল। কেউ হেঁটে যাচ্ছিল। এমন সময় হঠাৎ পাশের একটি দোতলা ভবনে বিস্ফোরণ হয়। এতে সেখনাকার ইট এসে তাদের মাথার ওপর পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়ে। তাদের মধ্যে আওলাদকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সাতজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। ভর্তি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন জানান, রেজাউলের ৭ শতাংশ, শাহজাহানের ৫০ শতাংশ ও জগদীশের ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জের পুরনো ভবনটির ওপরের তলা ১০ বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এরপরেও ভবনটিকে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। বিস্ফোরণে ভবনের পেছনের একাংশ ধসে পড়েছে। যেকোনো সময় পুরো ভবনটি ধসে পড়তে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ মার্চ রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে শিরিন ম্যানশনের তৃতীয় তলায় বিস্ফোরণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। ৭ মার্চ পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে একটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ২৫ জন প্রাণ হারায়। এরপর নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে এ ঘটনা ঘটল।
নিতাইগঞ্জ বহুমুখী সমিতির সভাপতি আবদুল কাদির জানান, ভবনটির মালিক জেলা আটা ময়দা মিল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস দেওয়ান। ভবনটি প্রায় শত বছরের পুরনো। দশ বছর আগে ভবনটির ওপরের তলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
নারায়নগঞ্জ পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, এ ঘটনায় দগ্ধ একজন মারা গেছেন ও দশজন আহত হয়েছেন। আপাতত ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেখান থেকে উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণ জানতে ফায়ার সার্ভিস ও জেলা পুলিশ কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিসের নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী উপপরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ জানান, অগ্নিকান্ডের পর ছয়টি ইউনিটের প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কী কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখনই নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। তবে ভবনের ভেতর গ্যাসের পাইপ রয়েছে, গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। তদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে। তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।
কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয় শিবিরে দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ১২ নম্বর আশ্রয় শিবিরের জি-৭ ব্লকে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মোহাম্মদ মাহবুব ওরফে হাফেজ মাহবুব (২৭) উখিয়ার ময়নারঘোনা ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ডি-৯ ব্লকের বাসিন্দা সৈয়দ আমিনের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, সন্ধ্যায় বালুখালী ১২ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের জি-৭ ব্লকে কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করছিলেন মোহাম্মদ মাহবুব। ৫-৭ জন মুখোশধারী দুষ্কৃতকারী সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়। কিছুদূর নেওয়ার পর দুষ্কৃতকারীরা মাহবুবের বুক লক্ষ্য করে পরপর দুটি গুলি ছোড়ে। এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত মাহবুবকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বালুখালী ১২ নম্বর আশ্রয় শিবিরসংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। পরে ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহাবুবকে মৃত ঘোষণা করেন। ওসি আরও জানান, মোহাম্মদ মাহবুব রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অপরাধকর্মের বিরোধিতা এবং স্থানীয় প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে জেলেখা বেগম নামে এক বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে তার বয়স্ক ভাতার কার্ড বাতিল করা হয়েছে। বিগত ৫ মাস যাবৎ তিনি বয়স্ক ভাতা বঞ্চিত রয়েছেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে তার নাম পরিবর্তন করে আমিনা নামে অন্যজনকে বয়স্ক ভাতার কার্ড বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মেম্বার বাদশার বিরুদ্ধে।
রানীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলেখা বেগম নন্দুয়ার ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রামের আ. রহিমের স্ত্রী। পূর্বের চেয়ারম্যান ওই বৃদ্ধার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেন।
ভুক্তভোগী বলেন, আমি ভাতার কার্ড পাওয়ার পর থেকে প্রতি তিন মাস অন্তর ১৫০০ টাকা করে পেয়েছিলাম। কিন্তু গত তারিখে আমার টাকার কোনো মেসেজ না আসায় আমি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারি আমাকে মৃত দেখিয়ে আমিনা নামে ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন মেম্বার বাদশাহ।
ইউনিয়ন পরিষদে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৃত্যুর নিবন্ধন বইয়ের ২০২১ সালের রেজিস্ট্রারে বৃদ্ধার মৃত্যু নিবন্ধিত নেই। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এমন একটি সনদ দেওয়ায় তার ভাতাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি এ বিষয়ে আরও বলেন, আমি জীবিত থাকার পরও মেম্বার বাদশাহ আমাকে মৃত দেখিয়ে আরেকজনের নামে কিভাবে টাকা খেয়ে ভাতার টাকা পরিবর্তন করে দেয়! আমি জীবিত থাকার পরও মেম্বার আমাকে মৃত দেখাল। আমি গরিব মানুষ। আমার কোনো ছেলেমেয়ে নাই। এই টাকা দিয়ে ওষুধ খেয়ে বেঁচে আছি। আমি এর বিচার চাই।
মেম্বার বাদশাহ বলেন, প্রথমবারের মতো এমন ভুল করেছি। সামনের দিকে সর্তকতার সাথে কাজ করব।
নন্দুয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারী বলেন, জীবিত মানুষ মৃত দেখিয়ে ভাতার কার্ড পরিবর্তনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে মেম্বার যদি করে থাকেন তাহলে খুবই খারাপ করেছেন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যয়নপত্রের ভিত্তিতে জানতে পারি, জেলেখা বেগম ৭ ডিসেম্বর ২০২১ এ মৃত্যু বরণ করেন। তাই ভাতাটি বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ওয়েবসাইটে মৃত্যু সনদ যাচাই ছাড়া সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর কাউকে মৃত দেখাতে পারবে না- সাংবাদিকের এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের এভাবেই হয়। আমরা এভাবেই করে থাকি, প্রত্যায়নপত্র দেখে প্রতিস্থাপন করে থাকি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমাজসেবা অফিসে প্রেরিত প্রত্যায়নটির কোনো তথ্য ইউনিয়ন পরিষদের ফাইলে সংরক্ষণ করা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, এটি সংশোধনের কার্যক্রম চলমান। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, এটি একটি গুরুতর অভিযোগ। আমরা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেব।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে আজ রোববার ঢাকা ছাড়া সব মহানগরে পদযাত্রা কর্মসূচি করবে বিএনপি। আজকের পদযাত্রা কর্মসূচির মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী সরকারবিরোধী কর্মসূচির প্রথম ধাপ শেষ হচ্ছে দলটির।
এর আগে, গত ২৩ মে দেশের ১১টি মহানগরে ‘পদযাত্রা’ করে বিএনপি। ঢাকার বাইরে মহানগরগুলোতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফাসহ দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ ও অন্যান্য জনগুরুত্বপূর্ণ দাবিতে এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে আজ রোববার (২৮ মে) পদযাত্রা করবে ৬ দলীয় জোট (দল ও সংগঠন) গণতন্ত্র মঞ্চ। এদিন বেলা ১১টায় রাজধানীর মালিবাগ থেকে এই পদযাত্রা শুরু হবে, যা শেষ হবে বাড্ডায়।
গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোববার ১১টায় রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট থেকে বাড্ডা পর্যন্ত গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা উত্তরের পদযাত্রা শুরু হবে। অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে এ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। মালিবাগ রেলগেটে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে পদযাত্রা শেষ হবে।
পদযাত্রায় অংশ নেবেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীসহ গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব শান্তির পক্ষে সোচ্চার ছিলেন এবং মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উৎসব আমাদের বিদেশস্থ সকল মিশনে উদযাপন করছি। জুলিও কুরি পদক ছিল জাতির পিতার কর্মের স্বীকৃতি এবং বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান।
তিনি বলেন, বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে কারাবরণ করেন বঙ্গবন্ধু। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্য, সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন বঙ্গবন্ধু মেনে নিতে পারেননি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাংলার নিপীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে স্বাধীনতার ডাক দেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর “সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বৈরীতা নয়”- এই বৈদেশিক নীতি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তার শান্তির বার্তা নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতিসংঘে এক নম্বর শান্তিরক্ষী দেশের মর্যাদা পেয়েছে। দেশে দেশে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ চালু করেছে।
‘বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে আমাদের অঙ্গীকার হবে বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে কাজ করে যাওয়া। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অর্জিত হবে’।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করে।
অপারেশন ছাড়াই সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় আব্দুল মোতালেব হোসেন (৩৫) নামের এক মানসিক রোগীর পেট থেকে ১৫টি কলম বের করেছেন চিকিৎসক।
এ কাজ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সিরাজগঞ্জের শহীদ এম.মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই চিকিৎসক। তাদের এই সাফল্যে রীতিমত হৈচৈ পড়ে গেছে নেট দুনিয়ায়।
এ বিষয়ে আব্দুল মোতালেবের মা লাইলী খাতুন বলেন, তার ছেলে মোতালেব খুব ভাল ছাত্র ছিল। ২টি লেটার মার্ক নিয়ে এসএসসি পাস করে কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। এরপর খারাপ সঙ্গদোষে সে আস্তে আস্তে মাদকাসক্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এরপর থেকে পথে ঘাটে ঘুরে বেড়ানোর সময় কুড়িয়ে পাওয়া কলমগুলি খাদ্য মনে করে খেয়ে ফেলে। বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। গত এক বছর ধরে তার শরীরে জ্বর ও পেটে ব্যথা শুরু হয়। অনেক চিকিৎসার পরও তা ভালো হচ্ছিল না। অবশেষে গত ১৬ মে তাকে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করি। এখানে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তার অসুখের কারণ ধরা পড়ে। পরে চিকিৎসকরা তার পেটের ভিতর থেকে বিনা অপারেশনে কলমগুলো বের করে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, মোতালেব হোসেন প্রথমে পেটে ব্যথা নিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। মেডিসিন ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা এক্সরে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম করেও পেটে কি সমস্যা সেটা শনাক্ত করতে পারছিলেন না। ফলে রোগীটিকে আমার কাছে রেফার্ড করেন। এন্ডোস্কপির মাধ্যমে পরীক্ষা করে তার পেটের ভেতর ১৫টি কলম দেখে প্রথমে চমকে যাই। এটা কীভাবে সম্ভব। পরে এন্ডোস্কপির মাধ্যমেই অপারেশন ছাড়াই আমরা কলমগুলো বের করার সিদ্ধান্ত নেই। তিনি আরও বলেন, কাজটি আমাদের জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জিং ছিল। কলমগুলো একে একে পাকস্থলীতে সেট হয়ে গিয়েছিল। কলমগুলো বের করতে আমাদের প্রথমে মাথায় চিন্তা ছিল যেন, কলমগুলোর কারণে কোনোভাবেই শ্বাসনালিতে গিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ না হয়ে যায়। এছাড়াও রক্তক্ষরণের একটা চিন্তাও মাথায় ছিল। অতঃপর প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আমরা কলমগুলো বের করে নিয়ে আসতে সক্ষম হই।
শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এন্ডোস্কপি করা ব্যক্তি মানসিক অসুস্থ হওয়ায় তার কলম খাওয়ার অভ্যাস ছিল। এভাবে খেতে খেতে সে অনেক কলম খেয়ে ফেলে। কলমগুলো তার পেটের মধ্যে জমা হয়েছিল। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে তার পেটের ভিতর ১৫টি কলম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হই। এবং অপারেশন ছাড়াই এন্ডোস্কপির মাধ্যমে তার পেটের ভেতর থেকে একে একে ১৫টি আস্ত কলম বের করে আনি। বর্তমানে রোগীটি সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকদের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং সুস্থ আছেন।
তিনি আরও বলেন, এন্ডোস্কপির মাধ্যমে মানুষের পেট থেকে কলম বের করার মতো ঘটনা বাংলাদেশে এটাই প্রথম। তাও আবার একটি-দু‘টি নয় ১৫টি কলম। এর আগে ঢাকা মেডিকেলে এক ব্যক্তির পেট থেকে এন্ডোসকপির মাধ্যমে একটি মোবাইল বের করেছেন চিকিৎসকরা।
এ বিষয়ে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে এমন সাফল্য এটাই প্রথম। আমরা অত্যাধুনিক ভিডিও এন্ডোস্কপি মেশিনের মাধ্যমে এবং আমাদের দক্ষ ডাক্তার দ্বারা অপারেশন ছাড়াই শুধু এন্ডোস্কপির মাধ্যমে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের পেট থেকে ১৫টি কলম বের করে আনতে সক্ষম হয়েছি। শুধু এটাই নয়, আমরা বিনা অপারেশনে পেটের পাথর, কিডনিতে পাথর থেকে শুরু করে অনেক কিছুই অপারেশন ছাড়াই সেগুলো অপসারণের কাজ করে যাচ্ছি।
বিরতি কাটিয়ে আবারও আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরছে আর্জেন্টিনা। গত মার্চে ঘরের মাঠে সবশেষ আকাশী-নীলদের দেখা গিয়েছিল তিন মাস পর আগামী জুনে তারা আসছে এশিয়া সফরে। সফরকালে ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচও খেলবেন লিওনেল মেসিরা।
আগামী ১৫ জুন বেইজিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামবে আর্জেন্টিনা। চারদিন পর ১৯ জুন জাকার্তায় ইন্দোনেশিয়ার মুখোমুখি হবেন তারা। সেই ম্যাচ দুটিকে সামনে রেখে আজ দল ঘোষণা করেছেন দেশটির কোচ লিওনেল স্কালোনি। লিওনেল মেসিকে অধিনায়ক করে ২৭ সদস্যের দল ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড়দের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন কিছু নাম। এই দলে এই দলে চমক হিসেবে রয়েছে আলেজান্দ্রো গার্নাচো। যিনি বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার প্রথম প্রীতি ম্যাচের দলে ছিলেন। তবে চোটের কারণে অভিষেকের সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে আলো ছড়িয়েছেন গার্নাচো। গত বছরের জুলাইয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মূল দলে জায়গা হয় তার। এখন পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে ৩৫ ম্যাচ খেলেছেন এই লেফট উইঙ্গার। এখন পর্যন্ত নিজে করেছেন ছয়টি গোল, করিয়েছেন আরও ছয়টি। এমন পারফরম্যান্স নজর এড়ায়নি স্কালোনির। তাই জাতীয় দলে জায়গা পেতে বেগ পেতে হয়নি।
দলের তৃতীয় গোলকিপার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন ওয়াল্টার বেতিনেজ। এছাড়া বেশ কয়েক বছর পর দলে ফিরেছেন লিওনার্দো বলের্দি। ফরাসি ক্লাব মার্সেইয়ের হয়ে চলতি মৌসুমে তিনি দুর্দান্ত খেলছেন। তবে স্কোয়াডের মাঝ মাঠের ফুটবলারদের নিয়ে কোনো চমক নেই।
তবে এই স্কোয়াডে নেই লাউতারো মার্তিনেজের নাম। গোড়ালির চোটের কারণে এই দুই প্রীতি ম্যাচে তাকে পাচ্ছে না আর্জেন্টিনা। তবে তার জায়গায় মাঠ মাতাতে দেখা যাবে জিওভানি সিমিওনেকে।
আর্জেন্টিনার ২৭ সদস্যের দল
গোলরক্ষক:
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা), জেরনিমো রুলি (আয়াক্স), ওয়াল্টার বেনিটেজ (পিএসভি)।
ডিফেন্ডার:
নাহুয়েল মোলিনা (অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ), গঞ্জালো মন্তিয়েল (সেভিয়া), জার্মান পেজেল্লা (রিয়েল বেটিস), ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো (টটেনহ্যাম হটস্পার), লিওনার্দো বলের্দি (অলিম্পিক মার্সেই), নিকোলাস ওতামেন্ডি (বেনফিকা), ফ্যাকুন্ডো মদিনা (আরসি লেন্স), নিকোলাস তাগলিয়াফিকো (লিয়ন), মার্কোস অ্যাকুনা (সেভিলা)।
মিডফিল্ডার:
লিয়ান্দ্রো পেরেদেস (জুভেন্তাস), এনজো ফার্নান্দেজ (চেলসি), গুইডো রদ্রিগেজ (রিয়েল বেটিস), রদ্রিগো ডি পল (অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ), এজেকিয়েল পালাসিওস (বেয়ার লেভারকুসেন), অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার (ব্রাইটন), থিয়াগো আলমাদা (আটলান্টা ইউনাইটেড), জিওভানি লো সেলসো (ভিলারিয়াল)।
ফরোয়ার্ড:
লুকাস ওকাম্পোস (সেভিয়া), অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া (জুভেন্তাস), লিওনেল মেসি (পিএসজি), জুলিয়ান আলভারেজ (ম্যানচেস্টার সিটি), জিওভানি সিমিওনে (নাপোলি), আলেজান্দ্রো গার্নাচো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), নিকোলাস গঞ্জালেজ (ফিওরেন্টিনা)।
নতুন পে-স্কেল কিংবা মহার্ঘ ভাতা নয়, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়বে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট অনুযায়ী। তাদের বেতন প্রতি বছর যতটা বাড়ার কথা এবার তার চেয়ে বেশি বাড়বে। আর তা চলতি বছরের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বাড়ানো হবে। অর্থাৎ আগামী অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়মিত ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশের বাইরে বাড়ানো হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর দেশ রূপান্তরকে বলেন, গত প্রায় এক বছর ধরে দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষ কষ্টে আছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের বেশিরভাগের একমাত্র আয় বেতন-ভাতা। বৈশি^ক মন্দার কারণে সরকারও খানিকটা সংকটে আছে। এ পরিস্থিতিতে পে-স্কেল দেওয়ার মতো বড় ধরনের ব্যয় বাড়ানো সরকারের পক্ষে কঠিন হবে। ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হলে সরকারের ওপর চাপ বেশি হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে সরকারি কর্মরতদের খানিকটা স্বস্তি দিতে কোন খাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় এমন প্রস্তাব চাওয়া হয়। একই সঙ্গে বাজেটবিষয়ক বিভিন্ন বৈঠকে সরকারি নীতিনির্ধারকরাও এ বিষয়ে আলোচনা করেন। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই-বাছাই করে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করে। চলতি মাসে গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী এ বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী ওই বৈঠকে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে কত বাড়তি ব্যয় হবে তা হিসাব করে পরের বৈঠকে উপস্থাপন করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বড় ধরনের ব্যয় না বাড়িয়ে একটা উপায় বের করতেও বলেন। শেষ পর্যন্ত ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে নিজেই জানিয়েছেন।
বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা ২০১৫ সালের বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এ বেতন কমিশন প্রণীত হয়েছিল। এ কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, আর নতুন বেতন কমিশন গঠন করা হবে না। প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট বা বেতন বাড়ানো হবে। এ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী তা হয়ে আসছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি হিসাব অনুযায়ী, দেশে সরকারি কর্মচারী ১৪ লাখ। বিভিন্ন করপোরেশন এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে হিসাব করলে প্রায় ২২ লাখ।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের বাজেটে নিয়মিত ইনক্রিমেন্টের বাইরে আরও কতটা বাড়ানো যায় তা হিসাব করে নির্ধারণ করা হবে। এ কাজ করতে বাজেট প্রস্তাব পেশ করার পর আলাদা কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে যাচাই-বাছাই শেষে ইনক্রিমেন্টের হার সুপারিশ করবে। এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির হার বিবেচনা করে বিদ্যমান ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে প্রতি মাসে বেতন বাড়ানো হবে, নাকি গড় মূল্যস্ফীতির হার বিবেচনা করে ইনক্রিমেন্টের হার বাড়ানো হবে, তা খতিয়ে দেখা হবে। ২০তম গ্রেড থেকে প্রথম গ্রেড পর্যন্ত সবার জন্য একই হারে বেতন বাড়নো হবে কি না, তা আরও খতিয়ে দেখা হবে। চূড়ান্ত হিসাব অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে প্রকাশ করা হবে। যে তারিখেই প্রকাশ করা হোক না কেন, আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকরী ধরা হবে।
এখানে মহার্ঘ ভাতা ১০ শতাংশ দেওয়া হলে এ হিসাবে ৪ হাজার কোটি টাকা যোগ করতে হবে। ১৫ শতাংশ দেওয়া হলে ৬ হাজার কোটি এবং ২০ শতাংশ দেওয়া হলে ৮ হাজার কোটি টাকা যোগ করতে হবে। অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে আগামী অর্থবছরে সরকারের ব্যয় বাড়বে। আর এতে সরকার ব্যয় কমিয়েও সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তুষ্টিতে ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো পথে হেঁটেছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি কর্মরতদের বেতন-ভাতা বাবদ রাখা হয়েছে ছিল ৭৪ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। খরচ না হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ১ হাজার ৯৩ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা বাজেট হওয়ার কথা আছে। এ বাজেট সরকারি কর্মরতদের বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ ৭৭ হাজার কোটি টাকা রাখা হতে পারে। সরকারি কর্মকর্তাদের অনেক পদ এখনো খালি আছে। এতে ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো হলেও সরকারের ব্যয়ে বড় ধরনের চাপ বাড়বে না।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) নির্মিত হয়েছে বিশেষ কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান ‘ও ভোরের পাখি’। ঈমাম হোসাইনের প্রযোজনায় এটি উপস্থাপনা করেছেন তামান্ন তিথি। অনুষ্ঠানটিতে আবৃত্তি করেছেন আশরাফুল আলম, মীর বরকত, রফিকুল ইসলাম, পলি পারভিন, শাকিলা মতিন মৃদুলা, মাসকুর-এ সাত্তার কল্লোল, আসলাম শিশির, সংগীতা চৌধুরী, আহসান উল্লাহ তমাল। প্রচারিত হয় ২৫ মে সকাল সাড়ে ৯টায়।
এছাড়াও নির্মিত হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘আমারে দেবো না ভুলিতে’। অনুষ্ঠানটিতে গান, কবিতা ও আলোচনার সমন্বয়ে কবিকে সামগ্রিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও বাচিকশিল্পীদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। ইয়াসমিন মুসতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, শেলু বড়ুয়া, ছন্দা চক্রবর্ত্তী ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন প্রফেসর মুন্সী আবু সাইফ। মনিরুল হাসানের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হচ্ছে ২৫ মে দুপুর ১ টা ০৫ মিনিটে। আরও প্রচারিত হবে সংগীতানুষ্ঠান ‘দোলনচাঁপা’ ও ‘সন্ধ্যামালতী’। রাত ৯টায় প্রচারিত হবে নাটক ‘বনের পাপিয়া’ (পুনপ্রচার)।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এখন পর্যন্ত ৪৫০টি কেন্দ্রের প্রাথমিক ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৭৯ ভোট এবং টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২ লাখ ৫ হাজার ৪১৩ ভোট।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
গাজীপুর সিটিতে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের মধ্যে। দুজনই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। অপরদিকে ভোটের পরিবেশ ভালো বলে জানান আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনূর ইসলাম রনি।
কোটা পদ্ধতি তুলে দেওয়ার পরও বিসিএস পরীক্ষায় নারীদের চাকরি পাওয়ার হার প্রায় একই রয়েছে। ১০ শতাংশ কোটা থাকা অবস্থায় তারা যে পরিমাণ চাকরি পাচ্ছিলেন, কোটা তুলে দেওয়ার পরও প্রায় একই হারে চাকরি পাচ্ছেন। সাধারণ ক্যাডার বা কারিগরি ক্যাডারে পিছিয়ে পড়লেও শিক্ষার মতো পেশাগত ক্যাডারগুলোতে এগিয়ে গিয়ে বিসিএসে মোট চাকরি পাওয়ার হারে প্রায় একই অবস্থান ধরে রেখেছেন নারীরা।
অথচ কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় বলা হয়েছিল, কোটা তুলে দিলে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। প্রশাসনে নারীর অংশগ্রহণের গ্রাফ নিম্নমুখী হবে। আসলে তা হয়নি। কোটা তুলে দেওয়ার পরও তারা প্রায় সমানতালে এগিয়ে চলছেন।
৪০তম বিসিএস দিয়ে চাকরিতে ঢুকে বর্তমানে ঢাকা বিভাগে কর্মরত একজন নারী কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, যে বয়সে ছেলেরা চাকরির জন্য প্রতিযোগিতা করে সেই বয়সে অধিকাংশ নারীকেই বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করতে হয়। সংসার করে, সন্তান লালনপালন করে নারীরা ভালো প্রস্তুতি নিতে পারে না। ফলে অনেক মেধাবী নারী প্রতিযোগিতায় উতরে যেতে পারেন না। অনেক নারী পারিবারিক কারণে বিয়ের পর চাকরির আবেদনই করেন না। বিয়ের পর পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধা আসে। এসব কাটিয়ে উঠে চাকরিতে প্রবেশ করা কঠিন। আর বিসিএসের চাকরি মানেই বদলিযোগ্য। সংসার-সন্তান রেখে বদলিকৃত পদে যোগ দেওয়া কঠিন বিষয়। সবকিছু মিলিয়ে নারীদের জন্য এ চাকরি সহজ নয়। একজন পুরুষ বেকার নারী বিয়ে করে, কিন্তু একজন নারী বেকার পুরুষ বিয়ে করে না। এ বিষয়টাও ছেলেদের প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। এ বাস্তবতা থেকেও পুরুষ প্রতিযোগী বেশি হয়। অন্যদিকে যোগ্য হলেও অনেক নারী প্রতিযোগিতাই করে না।
একজন নারী ইউএনও বলেন, পরীক্ষার হলে বা মৌখিক পরীক্ষার সময় অনেক নারীকে দুগ্ধপোষ্য সন্তানকে সঙ্গে আনতে হয়। এগুলোও অনেক সময় নারীকে চাকরির ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করে। ঘরে ঘরে বাধা পায় নারীর অগ্রযাত্রার নানা চেষ্টা। নগর-জীবনে নারীর অস্তিত্ব অনেকটা স্বচ্ছন্দের। কিন্তু নগরসভ্যতার বাইরে বিশাল বিস্তৃত গ্রামীণ জনজীবনে পুরুষতন্ত্রের নানা ধরনের অনাকাক্সিক্ষত বেষ্টনী এখনো নারীকে ধরাশায়ী করে রাখে। হাজার হাজার বছর ধরে পৃথিবীর পথ হাঁটছে নারী-পুরুষ। তবু তাদের মধ্যে ভারসাম্য নেই।
কোটা না থাকার পরও নারীরা তাদের অবস্থান কীভাবে ধরে রাখলেন জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাইখ ইমতিয়াজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নারী শিক্ষায় বাংলাদেশের অর্জন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। প্রাথমিকের পর মাধ্যমিকেও মেয়েরা অনেক এগিয়েছে। উচ্চশিক্ষায়ও মেয়েদের অংশগ্রহণের হার বেড়েছে। সবকিছু মিলে বিসিএসে এর প্রতিফল ঘটেছে। যে পরিমাণ মেয়ে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে, সেই তুলনায় চাকরিতে প্রবেশের হার বেশি। উচ্চশিক্ষায় যায় হয়তো ৮০ ভাগ ছেলে। আর মেয়েদের মধ্যে উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার হার ৩০ বা ৩৫ শতাংশ। তাদের মধ্যে ২৬ বা ২৭ শতাংশ মেয়ে বিসিএস দিয়ে চাকরি পাচ্ছে। এদিক দিয়ে চিন্তা করলে মেয়েরা অনেক ভালো করছে।’
এক প্রশ্নের জবাব ড. ইমতিয়াজ বলেন, ‘মেয়েদের কাছে শিক্ষা এখনো অপরচুনিটি (সুযোগ) আর ছেলেদের কাছে অধিকার। মেয়েরা যখন এ সুযোগটা পায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা কাজে লাগাতে চায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিবারের ছেলেসন্তানের জন্য যে বিনিয়োগ, মেয়েসন্তানের জন্য এখনো তার চেয়ে অনেক কম। এখনো মনে করা হয় মেয়ে তো অন্যের ঘরে চলে যাবে। অথচ মজার বিষয় হচ্ছে, পরিবারের দায়িত্ব উচ্চশিক্ষিত ছেলের তুলনায় উচ্চশিক্ষিত মেয়ে অনেক বেশি বহন করে। এসব প্রতিবন্ধকতা হাজার বছরে তৈরি হয়েছে। এগুলো দূর হতে আরও সময় লাগবে।’
অন্যান্য কোটার মতো প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা ছিল। নারীরা যোগ্যতা অনুযায়ী মেধা কোটায়ও নিয়োগ পেতেন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে মেধাভিত্তিক জেলা কোটার পাশাপাশি ১৫ শতাংশ নারী কোটা রয়েছে এখনো। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাভিত্তিক জেলা কোটার পাশাপাশি ৬০ শতাংশ নারী কোটা সংরক্ষিত রেখে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এভাবে নারীরা সরকারি চাকরিতে পুরুষ প্রার্থীর সঙ্গে মেধা কোটায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিয়োগ লাভের পাশাপাশি সংরক্ষিত কোটায়ও নিয়োগ লাভের সুবিধা পেয়ে থাকেন।
শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে ছাত্রীর হার বাড়ছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে এক দশকের বেশি সময় ধরে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর হার বেশি। কলেজ পর্যায়ে ছাত্র ও ছাত্রীর হার প্রায় সমান। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর হার ৩৬ শতাংশের বেশি।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে সরকার। ৪০তম সাধারণ বিসিএস হচ্ছে কোটামুক্ত প্রথম বিসিএস। ধাপে ধাপে বাছাই করে গত বছর ৩০ মার্চ এই বিসিএসের চূড়ান্ত সুপারিশ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। প্রায় ১৩ মাস পর গত মাসে সেই সুপারিশের বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে পিএসসি। সেখানে বলা হয়েছে, ৪০তম বিসিএসে মোট ২৬ দশমিক ০৩ শতাংশ নারী চূড়ান্তভাবে সুপারিশ পেয়েছেন। যা কোটাযুক্ত ৩৮তম বিসিএসে ২৬ দশমিক ৯১ ও ৩৭তমে ২৪ দশমিক ৬০ শতাংশ ছিল। গত ১ নভেম্বর এ বিসিএসের কর্মকর্তারা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন।
পিএসসির একজন সাবেক চেয়ারম্যান বলেছেন, কোটামুক্ত একটি সাধারণ বিসিএসে ২৬ দশমিক ০৩ শতাংশ নারী চূড়ান্তভাবে সুপারিশ পেয়েছেন এটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় নারীদের শক্ত সক্ষমতা প্রকাশ করে। কারণ এর আগে কোটাযুক্ত ৩৮তম বিসিএসের তুলনায় মাত্র দশমিক ৮৮ শতাংশ কম। অর্থাৎ কোটা তুলে দেওয়ার পরও নারীরা ১ শতাংশও পিছিয়ে পড়েননি। আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় যে, প্রত্যেক বিসিএসে নারীদের আবেদনের হার অর্থাৎ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের হার পুরুষের তুলনায় কম অর্থাৎ গড় হার কম। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতেও নারী প্রার্থীদের পুরুষের তুলনায় অনেক কম চোখে পড়ে। এমনকি কোনো কোনো কক্ষে নারী প্রার্থী থাকেই না। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ধাপগুলো অতিক্রম করার ক্ষেত্রে নারীদের অনুত্তীর্ণ হওয়ার পরিমাণ বেশি থাকে। ৪০তম বিসিএসে যোগ্য আবেদনকারী নারী ছিলেন ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। তাদের মধ্যে ১৯ দশমিক ১৯ শতাংশ নারী প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন। অথচ পুরুষদের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র। যোগ্য আবেদনকারী পুরুষ ছিলেন ৬১ দশমিক ৬২ শতাংশ। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ পুরুষের হার ৮০ দশমিক ৮১ শতাংশ।
৪০তম বিসিএসের সাধারণ ক্যাডারে ২১ দশমিক ০৮ শতাংশ নারী সুপারিশ পেয়েছেন। এই হার ৩৮ ও ৩৭তম বিসিএসে ছিল যথাক্রমে ২৪ দশমিক ১৪ ও ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
৪০তম বিসিএসের কারিগরি ক্যাডারে ২৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ নারী সুপারিশ পেয়েছেন। এই হার ৩৮ ও ৩৭তম বিসিএসে ছিল যথাক্রমে ২৯ দশমিক ৫৩ ও ২৫ দশমিক ২ শতাংশ।
সাধারণ এবং কারিগরি ক্যাডারে নারীরা পিছিয়ে পড়লেও শিক্ষার মতো পেশাগত ক্যাডারে এগিয়েছেন। ৪০তম বিসিএসে ২৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ নারী সুপারিশ পেয়েছেন। যা ৩৮তমে ২৬ দশমিক ৩০ এবং ৩৭তমে ২৫ দশমিক ২ শতাংশ ছিল।
পুরোপুরি মেধার ভিত্তিতে নেওয়া ৪০তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারেও নারীরা পিছিয়েছেন। জেলা কোটাও না থাকায় নাটোর, ভোলা, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি থেকে প্রশাসন ক্যাডারে কেউ সুপারিশ পাননি।
গত বছর প্রকাশিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি চাকরিজীবীদের তথ্যসংক্রান্ত ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস’ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, সিভিল প্রশাসনের ১৪ লাখ সরকারি কর্মচারীর মধ্যে ২৬ শতাংশ নারী। সরকারি দপ্তরের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কাজ করেন সবচেয়ে কমসংখ্যক নারী। মন্ত্রণালয়ের মোট জনবলের ১৯, অধিদপ্তরের ৩১, বিভাগীয় কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয়ের ১২ এবং আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ১২ শতাংশ কর্মী নারী।