যেভাবে গড়বেন অর্গানিক বাগান
শাহনেওয়াজ খান | ২৫ অক্টোবর, ২০১৮ ১৮:৪৫
রাজধানীর বালুঘাটে বাড়ির ছাদে অর্গানিক পদ্ধতিতে গড়ে তোলা বাগান। ছবি: শাহনেওয়াজ খান
ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানমুক্ত খাবার খেতে কে না চায়। কিন্তু বাজারে রাসায়নিকমুক্ত সবজি, ফল পাওয়া দুষ্কর। অনেকেই তাই আগ্রহী হচ্ছেন অর্গানিক ফল-ফসলের বাগান তৈরিতে। তবে ইচ্ছা থাকলেও পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে অনেকেই অর্গানিক বাগান তৈরি করতে পারছেন না।
অর্গানিক মানে হলো কৃত্রিম উপাদান যেমন- সার বা কীটনাশক বিবর্জিত চাষাবাদ। এক্ষেত্রে প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ হলো জলবায়ু অনুযায়ী কোন ফল-ফসলের জন্য কোন স্থান উপযুক্ত তা নির্ধারণ করা। এরপর মাটির সঙ্গে জৈব সার মিশিয়ে কয়েক দিন রেখে দিতে হবে। গবাদি পশুর মল, রান্নার আবর্জনা ও ঝরা পাতা জৈব (কম্পোস্ট) সারের মূল উপাদান।
মনে রাখতে হবে, এ পর্যায়ে কোনো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা যাবে না। কারণ, এগুলো মাটিতে থাকা উপকারী মাইক্রোঅর্গ্যানিজম ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয়।
এরপর গাছের চারা কিনে জৈব সার মিশ্রিত মাটিতে রোপণ করতে হবে। চারা এমনভাবে রোপণ করতে হবে যাতে পানির অপচয় ও আগাছা কমানো যায়। আলো ও বাতাস চলাচলের পর্যাপ্ত জায়গাও থাকতে হবে। এতে অনেক ধরনের ছত্রাকের আক্রমণ থেকে বাঁচা যাবে। চারা রোপণের পরপরই পানি দিতে হবে। এতে গাছের টিকে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গাছ বাড়া শুরু করলে মাটিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়মিত জৈব সার প্রয়োগ করা উচিত।
গাছে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ঠেকাতে নানা প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। নিতান্ত প্রয়োজনে অল্প পরিমাণে কীটনাশকও ব্যবহার করতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন তা মাত্রাতিরিক্ত না হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
শাহনেওয়াজ খান | ২৫ অক্টোবর, ২০১৮ ১৮:৪৫

ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানমুক্ত খাবার খেতে কে না চায়। কিন্তু বাজারে রাসায়নিকমুক্ত সবজি, ফল পাওয়া দুষ্কর। অনেকেই তাই আগ্রহী হচ্ছেন অর্গানিক ফল-ফসলের বাগান তৈরিতে। তবে ইচ্ছা থাকলেও পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে অনেকেই অর্গানিক বাগান তৈরি করতে পারছেন না।
অর্গানিক মানে হলো কৃত্রিম উপাদান যেমন- সার বা কীটনাশক বিবর্জিত চাষাবাদ। এক্ষেত্রে প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ হলো জলবায়ু অনুযায়ী কোন ফল-ফসলের জন্য কোন স্থান উপযুক্ত তা নির্ধারণ করা। এরপর মাটির সঙ্গে জৈব সার মিশিয়ে কয়েক দিন রেখে দিতে হবে। গবাদি পশুর মল, রান্নার আবর্জনা ও ঝরা পাতা জৈব (কম্পোস্ট) সারের মূল উপাদান।
মনে রাখতে হবে, এ পর্যায়ে কোনো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা যাবে না। কারণ, এগুলো মাটিতে থাকা উপকারী মাইক্রোঅর্গ্যানিজম ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয়।
এরপর গাছের চারা কিনে জৈব সার মিশ্রিত মাটিতে রোপণ করতে হবে। চারা এমনভাবে রোপণ করতে হবে যাতে পানির অপচয় ও আগাছা কমানো যায়। আলো ও বাতাস চলাচলের পর্যাপ্ত জায়গাও থাকতে হবে। এতে অনেক ধরনের ছত্রাকের আক্রমণ থেকে বাঁচা যাবে। চারা রোপণের পরপরই পানি দিতে হবে। এতে গাছের টিকে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গাছ বাড়া শুরু করলে মাটিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়মিত জৈব সার প্রয়োগ করা উচিত।
গাছে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ঠেকাতে নানা প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। নিতান্ত প্রয়োজনে অল্প পরিমাণে কীটনাশকও ব্যবহার করতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন তা মাত্রাতিরিক্ত না হয়।