সর্দি-ফ্লু তাড়াতে রসুন
অনলাইন ডেস্ক | ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:২১
যুগ যুগ ধরেই রসুন খাদ্যে মসলা হিসেবে এবং রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ উপাদান রয়েছে। এগুলোর বিভিন্ন রকমের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। সবার রান্নাঘরেই রসুন পাওয়া যায়। ঠান্ডা ও শীতজনিত ফ্লু প্রতিরোধে এটা বেশ উপকারী।
রসুনের কোয়া আলগা করলে বা রসুন কাটলে ঝাঁজালো একটা গন্ধ পাওয়া যায়। এই গন্ধই বলে দেয় রসুন স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী হতে পারে।
রসুন পুষ্টিতে ভরপুর এবং এতে খুবই কম ক্যালরি রয়েছে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: রসুনে থাকা উপাদান জীবাণু প্রতিরোধ করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রসুনে থাকা সালফার শরীরের শ্বেত রক্ত কণিকার সঙ্গে ভাইরাসের সংযোগ ঘটতে দেয় না। এর ফলে সর্দি এবং ফ্লু সহজে আক্রান্ত করতে পারে না।
ঠান্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধ করে: গবেষণায় দেখা গেছে- রসুন কেবল অসুখই প্রতিরোধ করে না, এটি বিভিন্ন রোগের উপসর্গও কমায়। অনেকেই প্রায়ই সর্দি এবং ফ্লু আক্রান্ত হন। নিয়মিত রসুন খেলে এই অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
রসুনের সাপ্লিমেন্ট: কাঁচা রসুন খেতে না চাইলে এর বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। সব সময়ই রসুনের গুঁড়ো, রসুনের নির্যাস এবং রসুনের তেল পাওয়া যায়।
প্রতিদিন রসুন খাওয়া: অন্তত দু-এক কোয়া রসুন প্রতিদিন খাওয়া উচিত। রসুন সাপ্লিমেন্ট খেতে চাইলে কমপক্ষে ৬০০ থেকে ১২০০ মিলিগ্রাম খাওয়া যেতে পারে।
অন্যান্য উপকারিতা: রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে তাৎপর্য ভূমিকা রাখে। এটি শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: রসুনের নানা স্বাস্থ্যগুণ থাকলেও এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। অতিরিক্ত রসুন খেলে পাকস্থলীতে জ্বালাপোড়া এবং প্রদাহপূর্ণ রোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও অতিমাত্রায় রসুন খেলে শরীর গরম হয় এবং ত্বকে র্যাশ দেখা দিতে পারে।
সতর্কতা: অ্যাজমা রোগী এবং গর্ভবতী নারীদের রসুন খাওয়া উচিত নয়। সার্জারি এবং অপারেশনের আগে রোগীর রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
অতিরিক্ত রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:২১
যুগ যুগ ধরেই রসুন খাদ্যে মসলা হিসেবে এবং রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ উপাদান রয়েছে। এগুলোর বিভিন্ন রকমের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। সবার রান্নাঘরেই রসুন পাওয়া যায়। ঠান্ডা ও শীতজনিত ফ্লু প্রতিরোধে এটা বেশ উপকারী।
রসুনের কোয়া আলগা করলে বা রসুন কাটলে ঝাঁজালো একটা গন্ধ পাওয়া যায়। এই গন্ধই বলে দেয় রসুন স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী হতে পারে।
রসুন পুষ্টিতে ভরপুর এবং এতে খুবই কম ক্যালরি রয়েছে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: রসুনে থাকা উপাদান জীবাণু প্রতিরোধ করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রসুনে থাকা সালফার শরীরের শ্বেত রক্ত কণিকার সঙ্গে ভাইরাসের সংযোগ ঘটতে দেয় না। এর ফলে সর্দি এবং ফ্লু সহজে আক্রান্ত করতে পারে না।
ঠান্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধ করে: গবেষণায় দেখা গেছে- রসুন কেবল অসুখই প্রতিরোধ করে না, এটি বিভিন্ন রোগের উপসর্গও কমায়। অনেকেই প্রায়ই সর্দি এবং ফ্লু আক্রান্ত হন। নিয়মিত রসুন খেলে এই অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
রসুনের সাপ্লিমেন্ট: কাঁচা রসুন খেতে না চাইলে এর বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। সব সময়ই রসুনের গুঁড়ো, রসুনের নির্যাস এবং রসুনের তেল পাওয়া যায়।
প্রতিদিন রসুন খাওয়া: অন্তত দু-এক কোয়া রসুন প্রতিদিন খাওয়া উচিত। রসুন সাপ্লিমেন্ট খেতে চাইলে কমপক্ষে ৬০০ থেকে ১২০০ মিলিগ্রাম খাওয়া যেতে পারে।
অন্যান্য উপকারিতা: রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে তাৎপর্য ভূমিকা রাখে। এটি শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: রসুনের নানা স্বাস্থ্যগুণ থাকলেও এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। অতিরিক্ত রসুন খেলে পাকস্থলীতে জ্বালাপোড়া এবং প্রদাহপূর্ণ রোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও অতিমাত্রায় রসুন খেলে শরীর গরম হয় এবং ত্বকে র্যাশ দেখা দিতে পারে।
সতর্কতা: অ্যাজমা রোগী এবং গর্ভবতী নারীদের রসুন খাওয়া উচিত নয়। সার্জারি এবং অপারেশনের আগে রোগীর রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
অতিরিক্ত রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।