দাঁত শিরশির করলে করণীয়
মুজাহিদুল ইসলাম আকাশ | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০৯:১৮
মুজাহিদুল ইসলাম আকাশ, দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ; ডিভাইন ডেন্টাল কেয়ার
দাঁত শিরশির অনুভূতি হওয়া অর্থাৎ সেনসিভিটি নষ্ট হওয়া খুব পরিচিত রোগ। সাধারণত খাবার খাওয়া বা তরলজাতীয় কোনো কিছু খাওয়া, ব্রাশ করা, এমনকি শ্বাস নেওয়ার সময় অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। আবার গরম, ঠান্ডা, মিষ্টি, টকজাতীয় খাবার খেলেও অনেক সময় দাঁতে শিরশির অনুভব হয়। এটি অনেক সময় সহনীয় হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তীব্রতা দিন দিন বাড়তে থাকে। এ সমস্যা কেন হয় ও তার প্রতিকার জেনে নিন।
কেন হয়
আমরা খালি চোখে দাঁতের যে অংশ দেখতে পাই, তার নাম এনামেল। এনামেলকে দাঁতের আবরণ বলে, যা দেহের সবচেয়ে শক্ত আবরণ। বিভিন্ন কারণে এই এনামেল ক্ষয়ে গিয়ে দাঁতে শিরশির অনুভূতি বা সেনসিটিভিটি তৈরি হয়। এ ছাড়া দাঁতে গর্তেরও সৃষ্টি কিংবা অনেক পুরনো ফিলিং থেকেও শিরশির অনুভূতি হতে পারে।
দাঁতের শিরশির বন্ধে করণীয়
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের ফাঁকে কোনো জীবাণু তৈরি হতে পারবে না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে নাশতা করার পর দাঁত নিয়মিত ব্রাশ করুন। দাঁত ব্রাশ করতে সেনসিটিভিটি রোধ করে এমন টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। বাজারে গাম কেয়ার বিশেষত টুথপেস্ট কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করা ভালো। সময় নিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন আস্তে আস্তে। সাধারণত তিন মিনিটের বেশি দাঁত ব্রাশ করার প্রযোজন হবে না। দাঁতের ওপর চাপ দেবেন না। জোরে ব্রাশ করলে দাঁতের শিরশির ভাব আরো বেড়ে যাবে। হাল্কা কোমল ব্রাশ ব্যবহার করুন। শক্ত ও সস্তা ব্রাশ দাঁতের ক্ষতি করে।
যেকোনো অ্যাসিটিক খাবার খাওয়ার সময়ও একটু সচেতন হন। যেমন : ফলের জুস, কোমলপানীয় এসব দাঁতের এনামেল নষ্ট করে ফেলে। তাই এসব পান করার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁত ব্রাশ করে ফেলতে হবে। যদি নিয়মিত দাঁতে দাঁত ঘষা বা দাঁত চেপে রাখার অভ্যাস থাকে, তবে বাদ দিতে হবে। এতে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অনেকেই দাঁতের শিরশির করা জায়গাটা ব্রাশ করে না। কিন্তু এতে সমস্যা বেড়ে যায়। দাঁত আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্তত ছয় মাস পরপর দন্তরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে দাঁতের স্কেলিং এবং দাঁত পরীক্ষা করাতে হবে।
সম্পাদনা : মহসিনা লাইজু
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
মুজাহিদুল ইসলাম আকাশ | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০৯:১৮

দাঁত শিরশির অনুভূতি হওয়া অর্থাৎ সেনসিভিটি নষ্ট হওয়া খুব পরিচিত রোগ। সাধারণত খাবার খাওয়া বা তরলজাতীয় কোনো কিছু খাওয়া, ব্রাশ করা, এমনকি শ্বাস নেওয়ার সময় অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। আবার গরম, ঠান্ডা, মিষ্টি, টকজাতীয় খাবার খেলেও অনেক সময় দাঁতে শিরশির অনুভব হয়। এটি অনেক সময় সহনীয় হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তীব্রতা দিন দিন বাড়তে থাকে। এ সমস্যা কেন হয় ও তার প্রতিকার জেনে নিন।
কেন হয়
আমরা খালি চোখে দাঁতের যে অংশ দেখতে পাই, তার নাম এনামেল। এনামেলকে দাঁতের আবরণ বলে, যা দেহের সবচেয়ে শক্ত আবরণ। বিভিন্ন কারণে এই এনামেল ক্ষয়ে গিয়ে দাঁতে শিরশির অনুভূতি বা সেনসিটিভিটি তৈরি হয়। এ ছাড়া দাঁতে গর্তেরও সৃষ্টি কিংবা অনেক পুরনো ফিলিং থেকেও শিরশির অনুভূতি হতে পারে।
দাঁতের শিরশির বন্ধে করণীয়
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের ফাঁকে কোনো জীবাণু তৈরি হতে পারবে না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে নাশতা করার পর দাঁত নিয়মিত ব্রাশ করুন। দাঁত ব্রাশ করতে সেনসিটিভিটি রোধ করে এমন টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। বাজারে গাম কেয়ার বিশেষত টুথপেস্ট কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করা ভালো। সময় নিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন আস্তে আস্তে। সাধারণত তিন মিনিটের বেশি দাঁত ব্রাশ করার প্রযোজন হবে না। দাঁতের ওপর চাপ দেবেন না। জোরে ব্রাশ করলে দাঁতের শিরশির ভাব আরো বেড়ে যাবে। হাল্কা কোমল ব্রাশ ব্যবহার করুন। শক্ত ও সস্তা ব্রাশ দাঁতের ক্ষতি করে।
যেকোনো অ্যাসিটিক খাবার খাওয়ার সময়ও একটু সচেতন হন। যেমন : ফলের জুস, কোমলপানীয় এসব দাঁতের এনামেল নষ্ট করে ফেলে। তাই এসব পান করার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাঁত ব্রাশ করে ফেলতে হবে। যদি নিয়মিত দাঁতে দাঁত ঘষা বা দাঁত চেপে রাখার অভ্যাস থাকে, তবে বাদ দিতে হবে। এতে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অনেকেই দাঁতের শিরশির করা জায়গাটা ব্রাশ করে না। কিন্তু এতে সমস্যা বেড়ে যায়। দাঁত আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্তত ছয় মাস পরপর দন্তরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে দাঁতের স্কেলিং এবং দাঁত পরীক্ষা করাতে হবে।
সম্পাদনা : মহসিনা লাইজু