ফিলিস্তিনের প্রখ্যাত কবি মাওরিদ বারঘুতি আর নেই
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:৪৪
ফিলিস্তিনের শীর্ষ কবি মুরিদ বারঘুতি মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার আগে রামাল্লাহর কাছে একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
আলজাজিরা ও বিবিসি জানায়, রবিবার জর্ডানের রাজধানী আম্মানে মারা যান কবি বারঘুতি। ছেলে তামিম বারঘুতি যিনি নিজেও একজন আরব কবি, তার ফেসবুক পেইজে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জীবনের বেশির ভাগ সময় নির্বাসনে কাটিয়েছেন তিনি। আত্মজীবনীমূলক রচনা ‘আই স রামাল্লাহ’ তাকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি এনে দেয়। বেশ কয়েকটি ভাষায় অনুবাদ হয় এ বই।
বারঘুতির অনবদ্য এই সৃষ্টিকে বিখ্যাত ফিলিস্তিনি লেখক ও বুদ্ধিজীবী এডওয়ার্ড সাঈদ বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের উদ্বাস্তু থাকার সবচেয়ে বড় দলিল এটি।
আন্তর্জাতিক সাহিত্য সপ্তাহ ও সম্মেলনগুলোতে পরিচিত মুখ ছিলেন ফিলিস্তিনি কবি বারঘুতি। কবিতায় ফিলিস্তিনিদের যাতনা পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্ববাসীর কাছে।
১৯৪৪ সালে জন্ম নেয়া বারঘুতি কায়রোতে পড়াশোনা করেছেন। শিক্ষাজীবনে ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি।
এরপর ৩০ বছর জন্মভূমিতে ফেরেননি তিনি। নানা দেশে ঘুরে নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছেন। সেসময় ১২টি কবিতা সংকলন বের হয় তার।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) প্রতিনিধি ছিলেন বারঘৌতি। তবে রাজনীতি থেকে নিজেকে সব সময়ই দূরে রেখেছেন।
এক সময় মিসরীয় স্ত্রী রাদওয়া আসুরকে নিয়ে তিনি কায়রোতে স্থায়ী হন। তার স্ত্রী একজন লেখিকা ও অনুবাদক। স্বামীর অনেক কবিতা ইংরেজি অনুবাদ করেছেন তিনি।
বারঘুতির মৃত্যুতে ফিলিস্তিনের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আতেফ আবু সাইফ শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংগ্রাম এবং সৃজনশীলতার এক প্রতীককে হারালো আরব বিশ্ব।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:৪৪

ফিলিস্তিনের শীর্ষ কবি মুরিদ বারঘুতি মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার আগে রামাল্লাহর কাছে একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
আলজাজিরা ও বিবিসি জানায়, রবিবার জর্ডানের রাজধানী আম্মানে মারা যান কবি বারঘুতি। ছেলে তামিম বারঘুতি যিনি নিজেও একজন আরব কবি, তার ফেসবুক পেইজে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জীবনের বেশির ভাগ সময় নির্বাসনে কাটিয়েছেন তিনি। আত্মজীবনীমূলক রচনা ‘আই স রামাল্লাহ’ তাকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি এনে দেয়। বেশ কয়েকটি ভাষায় অনুবাদ হয় এ বই।
বারঘুতির অনবদ্য এই সৃষ্টিকে বিখ্যাত ফিলিস্তিনি লেখক ও বুদ্ধিজীবী এডওয়ার্ড সাঈদ বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের উদ্বাস্তু থাকার সবচেয়ে বড় দলিল এটি।
আন্তর্জাতিক সাহিত্য সপ্তাহ ও সম্মেলনগুলোতে পরিচিত মুখ ছিলেন ফিলিস্তিনি কবি বারঘুতি। কবিতায় ফিলিস্তিনিদের যাতনা পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্ববাসীর কাছে।
১৯৪৪ সালে জন্ম নেয়া বারঘুতি কায়রোতে পড়াশোনা করেছেন। শিক্ষাজীবনে ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি।
এরপর ৩০ বছর জন্মভূমিতে ফেরেননি তিনি। নানা দেশে ঘুরে নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছেন। সেসময় ১২টি কবিতা সংকলন বের হয় তার।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) প্রতিনিধি ছিলেন বারঘৌতি। তবে রাজনীতি থেকে নিজেকে সব সময়ই দূরে রেখেছেন।
এক সময় মিসরীয় স্ত্রী রাদওয়া আসুরকে নিয়ে তিনি কায়রোতে স্থায়ী হন। তার স্ত্রী একজন লেখিকা ও অনুবাদক। স্বামীর অনেক কবিতা ইংরেজি অনুবাদ করেছেন তিনি।
বারঘুতির মৃত্যুতে ফিলিস্তিনের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আতেফ আবু সাইফ শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংগ্রাম এবং সৃজনশীলতার এক প্রতীককে হারালো আরব বিশ্ব।’