বছরের পর বছর বেতার থেকে রয়ালিটি ‘পাচ্ছে না’ কবি মনিরুজ্জামানের পরিবার
অনলাইন ডেস্ক | ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:২২
বাংলাদেশ বেতারের গাফিলতি ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন বেতারের সাবেক এক কর্মকর্তা, গীতিকার। প্রখ্যাত গীতিকার, কবি ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের ছোট ভাই মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান এই অভিযোগ তুলেছেন।
সমস্যা সমাধানে তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শুক্রবার তিনি তার ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে অভিযোগ তুলেছেন তার ভাই কবি মনিরুজ্জামানের পরিবার বছরের পর বছর বেতার থেকে কোনো রয়ালিটি পাচ্ছে না।
তিনি ড. মনিরুজ্জামানের গানের রয়ালিটি না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি লিখেন, ড. মনিরুজ্জামান বাংলাদেশ বেতারের একজন বিশিষ্ট গীতিকার ছিলেন। এখনো তার রচিত অনেক গানই বেতার ও টেলিভিশন থেকে প্রচারিত হয়। তার মৃত্যুর পর, তার রচিত গানের রয়ালিটি, তার স্ত্রী মিসেস রাশিদা জামানের (৮৪) প্রাপ্য হবে বলে, তিনি তার রয়ালিটি ফরমেই উল্লেখ করে যান। কিন্তু বছরের পর বছর তিনি কোনো রয়ালিটি চেক পান না।
তিনি তার চাকরির অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে জানান, আমার বেতারের দীর্ঘ ২৫ বছরের চাকরি জীবনে, আমি দেখে এসেছি প্রতি তিন মাস অন্তর রয়ালিটি চেক প্রাপকের ঠিকানায় ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু এখন প্রাপককেই তার প্রাপ্য রয়ালিটির জন্য বেতারে গিয়ে ধরনা দিতে হয়। এটি খুবই দুঃখজনক। …এমন অবস্থা অসংখ্য উত্তরাধিকারীর, এমনকি অনেক বয়স্ক জীবিত গীতিকারেরও। যেমন আমি।
তিনি আরও লিখেন, এমনিতেই বেতারের রয়ালিটির হার খুবই লজ্জাজনক। আবার তা যদি তা নিয়মিত না পাওয়া যায়, তাহলে ক্রমান্বয়ে বেতারের জন্য উন্নতমানের গান রচয়িতার সংকট দেখা দেবে।
এই অবস্থায় তিনি বেতার রয়ালিটি প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কামনা করেছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:২২

বাংলাদেশ বেতারের গাফিলতি ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন বেতারের সাবেক এক কর্মকর্তা, গীতিকার। প্রখ্যাত গীতিকার, কবি ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের ছোট ভাই মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান এই অভিযোগ তুলেছেন।
সমস্যা সমাধানে তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শুক্রবার তিনি তার ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে অভিযোগ তুলেছেন তার ভাই কবি মনিরুজ্জামানের পরিবার বছরের পর বছর বেতার থেকে কোনো রয়ালিটি পাচ্ছে না।
তিনি ড. মনিরুজ্জামানের গানের রয়ালিটি না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি লিখেন, ড. মনিরুজ্জামান বাংলাদেশ বেতারের একজন বিশিষ্ট গীতিকার ছিলেন। এখনো তার রচিত অনেক গানই বেতার ও টেলিভিশন থেকে প্রচারিত হয়। তার মৃত্যুর পর, তার রচিত গানের রয়ালিটি, তার স্ত্রী মিসেস রাশিদা জামানের (৮৪) প্রাপ্য হবে বলে, তিনি তার রয়ালিটি ফরমেই উল্লেখ করে যান। কিন্তু বছরের পর বছর তিনি কোনো রয়ালিটি চেক পান না।
তিনি তার চাকরির অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে জানান, আমার বেতারের দীর্ঘ ২৫ বছরের চাকরি জীবনে, আমি দেখে এসেছি প্রতি তিন মাস অন্তর রয়ালিটি চেক প্রাপকের ঠিকানায় ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু এখন প্রাপককেই তার প্রাপ্য রয়ালিটির জন্য বেতারে গিয়ে ধরনা দিতে হয়। এটি খুবই দুঃখজনক। …এমন অবস্থা অসংখ্য উত্তরাধিকারীর, এমনকি অনেক বয়স্ক জীবিত গীতিকারেরও। যেমন আমি।
তিনি আরও লিখেন, এমনিতেই বেতারের রয়ালিটির হার খুবই লজ্জাজনক। আবার তা যদি তা নিয়মিত না পাওয়া যায়, তাহলে ক্রমান্বয়ে বেতারের জন্য উন্নতমানের গান রচয়িতার সংকট দেখা দেবে।
এই অবস্থায় তিনি বেতার রয়ালিটি প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কামনা করেছেন।