এই দিনে
কবি খোন্দকার আশরাফের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৬ জুন, ২০২২ ০৭:৩৯
খ্যাতনামা কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক এবং সাহিত্যের অধ্যাপক ও সাহিত্যকাগজের সম্পাদক খোন্দকার আশরাফ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৩ সালের ১৬ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার জয়নগর গ্রামে ১৯৫০ সালের ৪ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে ১৯৭০ সালে স্নাতক এবং ১৯৭১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীকালে যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালযয় থেকে ভাষাতত্ত্ব ও ধ্বনিতত্ত্ব বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা এবং ১৯৮১ সালে ভাষাতত্ত্ব বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।
খোন্দকার আশরাফ হোসেন ১৯৭৩ সাল থেকে ২০১৩ সাল অবধি টানা চার দশক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। ২০১৩ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিনের মধ্যেই তার প্রয়াণ ঘটে।
খোন্দকার আশরাফ হোসেনের প্রথম দুটি কাব্যগ্রন্থ ‘তিন রমণীর ক্বাসিদা’ (১৯৮৪) এবং ‘পার্থ তোমার তীব্র তীর’ (১৯৮৬) সমালোচক ও কবিদের নজর কাড়ে এবং কবি হিসেবে তিনি দ্রুতই নিজের আসন পাকাপোক্ত করেন। পরে লিখেছেন ‘জীবনের সমান চুমুক’ (১৯৮৯), ‘সুন্দরী ও ঘৃণার ঘুঙুর’ (১৯৯২), ‘যমুনাপর্ব’ (১৯৯৮), ‘জন্মবাউল’ (২০০১), ‘তোমার নামে বৃষ্টি নামে’ (২০০৭), ‘(আয়) না দেখে অন্ধ মানুষ’ (২০১১) প্রভৃতি অসামান্য কবিতাগ্রন্থ।
খ্যাতিমান অনুবাদক খোন্দকার আশরাফ হোসেন ১৯৮৬ সালেই তিনটি ধ্রুপদী গ্রিক নাটক সফোক্লিসের ‘রাজা ঈদিপাস’ এবং ইউরিপিদিসের ‘মিডিআ’ ও ‘আলসেস্টিস’ অনুবাদ করেন। ‘টেরি ঈগলটন : সাহিত্যতত্ত্ব’ ও ‘পাউল সেলানের কবিতা’ তার বহুলপঠিত অনুবাদ।
তিনি বাংলা থেকে ইংরেজি ভাষায় এবং জার্মান ও ইংরেজি থেকে বাংলা ভাষায় অনুবাদের কাজ করেছেন। তার রচিত কবিতাও ইংরেজি, জার্মান, ফরাসি, তেলুগু এবং হিন্দি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
তার সর্বশেষ প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বাঙালির দ্বিধা ও রবীন্দ্রনাথ এবং বিবিধ তত্ত্বতালাশ’। ‘একবিংশ’ সাহিত্য পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক হিসেবে তিনি সুখ্যাতি লাভ করেন।
সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘আলাওল সাহিত্য পুরস্কার’, ‘জীবনানন্দ পুরস্কার’, এবং ‘পশ্চিমবঙ্গ লিটল ম্যাগাজিন পুরস্কার’ লাভ করেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৬ জুন, ২০২২ ০৭:৩৯

খ্যাতনামা কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক এবং সাহিত্যের অধ্যাপক ও সাহিত্যকাগজের সম্পাদক খোন্দকার আশরাফ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৩ সালের ১৬ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার জয়নগর গ্রামে ১৯৫০ সালের ৪ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে ১৯৭০ সালে স্নাতক এবং ১৯৭১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীকালে যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালযয় থেকে ভাষাতত্ত্ব ও ধ্বনিতত্ত্ব বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা এবং ১৯৮১ সালে ভাষাতত্ত্ব বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।
খোন্দকার আশরাফ হোসেন ১৯৭৩ সাল থেকে ২০১৩ সাল অবধি টানা চার দশক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। ২০১৩ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিনের মধ্যেই তার প্রয়াণ ঘটে।
খোন্দকার আশরাফ হোসেনের প্রথম দুটি কাব্যগ্রন্থ ‘তিন রমণীর ক্বাসিদা’ (১৯৮৪) এবং ‘পার্থ তোমার তীব্র তীর’ (১৯৮৬) সমালোচক ও কবিদের নজর কাড়ে এবং কবি হিসেবে তিনি দ্রুতই নিজের আসন পাকাপোক্ত করেন। পরে লিখেছেন ‘জীবনের সমান চুমুক’ (১৯৮৯), ‘সুন্দরী ও ঘৃণার ঘুঙুর’ (১৯৯২), ‘যমুনাপর্ব’ (১৯৯৮), ‘জন্মবাউল’ (২০০১), ‘তোমার নামে বৃষ্টি নামে’ (২০০৭), ‘(আয়) না দেখে অন্ধ মানুষ’ (২০১১) প্রভৃতি অসামান্য কবিতাগ্রন্থ। খ্যাতিমান অনুবাদক খোন্দকার আশরাফ হোসেন ১৯৮৬ সালেই তিনটি ধ্রুপদী গ্রিক নাটক সফোক্লিসের ‘রাজা ঈদিপাস’ এবং ইউরিপিদিসের ‘মিডিআ’ ও ‘আলসেস্টিস’ অনুবাদ করেন। ‘টেরি ঈগলটন : সাহিত্যতত্ত্ব’ ও ‘পাউল সেলানের কবিতা’ তার বহুলপঠিত অনুবাদ।
তিনি বাংলা থেকে ইংরেজি ভাষায় এবং জার্মান ও ইংরেজি থেকে বাংলা ভাষায় অনুবাদের কাজ করেছেন। তার রচিত কবিতাও ইংরেজি, জার্মান, ফরাসি, তেলুগু এবং হিন্দি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
তার সর্বশেষ প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বাঙালির দ্বিধা ও রবীন্দ্রনাথ এবং বিবিধ তত্ত্বতালাশ’। ‘একবিংশ’ সাহিত্য পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক হিসেবে তিনি সুখ্যাতি লাভ করেন।
সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘আলাওল সাহিত্য পুরস্কার’, ‘জীবনানন্দ পুরস্কার’, এবং ‘পশ্চিমবঙ্গ লিটল ম্যাগাজিন পুরস্কার’ লাভ করেন।