এই দিনে
কবি অক্ষয়কুমার বড়ালের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ জুন, ২০২২ ০৮:০৮
উনিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি অক্ষয়কুমার বড়ালের মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৯ জুন। ১৯১৯ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
অক্ষয়কুমার বড়ালের জন্ম ১৮৬০ সালে কলকাতার চোরবাগানে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী পরিবারে। কলকাতার বিখ্যাত হেয়ার স্কুলে পাঠাভ্যাস আরম্ভ করলেও স্কুলের সীমানা তিনি অতিক্রম করতে পারেননি। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বেশি দূর অগ্রসর না হলেও, আমৃত্যু তার পাঠানুরাগ অব্যাহত ছিল।
তিনি প্রকৃত অর্থেই একজন স্বশিক্ষিত মানুষ ছিলেন। তিনি পেশা হিসেবে চাকরিকে বেছে নেন। স্কুল ত্যাগের পর তিনি দিল্লি অ্যান্ড লন্ডন ব্যাংকের হিসাব বিভাগে কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন। কয়েক বছর ওই পদে চাকরি করার পর তিনি ‘নর্থ ব্রিটিশ লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি’তে হিসাব সচিব পদে যোগদান করেন এবং এ পদ থেকেই অবসর গ্রহণ করেন।
হেয়ার স্কুলের ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি বিহারীলাল চক্রবর্তীর কবিতার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। বিহারীলাল ছিলেন বাংলা গীতি কবিতার প্রবর্তক। তার অণুপ্রেরণায়ই তিনি কবিতা রচনা শুরু করেন।
বঙ্গদর্শন পত্রিকার ১২৮৯ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ সংখ্যায় তার প্রথম কবিতা ‘রজনীর মৃত্যু’ প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং অক্ষয়কুমার বড়ালকে ‘বিহারীলালের সাক্ষাৎ ভাবশিষ্য’ আখ্যায়িত করা হয়।
বাংলা গীতি কবিতার ইতিহাসে তিনি বড়াল কবি নামে পরিচিত। তার কাব্য রচনার মূল বিষয় ছিল নিসর্গ, সৌন্দর্যবাদ, কল্পনামূলক প্রেম, শোক এবং মানববন্দনা। নারীপ্রেমের শান্তরস তার কাব্যের প্রধান বিশেষত্ব। তিনি মৃত স্ত্রীর স্মৃতিচারণা করে ‘এষা’ কাব্যগ্রন্থটি লিখেছিলেন।
তিনি মার্জিত ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাধারার অনুসারী ছিলেন। কাব্য ও নাটক মিলে অনেক গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। তিনি কিছু গ্রন্থও সম্পাদনা করেছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ জুন, ২০২২ ০৮:০৮

উনিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি অক্ষয়কুমার বড়ালের মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৯ জুন। ১৯১৯ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
অক্ষয়কুমার বড়ালের জন্ম ১৮৬০ সালে কলকাতার চোরবাগানে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী পরিবারে। কলকাতার বিখ্যাত হেয়ার স্কুলে পাঠাভ্যাস আরম্ভ করলেও স্কুলের সীমানা তিনি অতিক্রম করতে পারেননি। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বেশি দূর অগ্রসর না হলেও, আমৃত্যু তার পাঠানুরাগ অব্যাহত ছিল।
তিনি প্রকৃত অর্থেই একজন স্বশিক্ষিত মানুষ ছিলেন। তিনি পেশা হিসেবে চাকরিকে বেছে নেন। স্কুল ত্যাগের পর তিনি দিল্লি অ্যান্ড লন্ডন ব্যাংকের হিসাব বিভাগে কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন। কয়েক বছর ওই পদে চাকরি করার পর তিনি ‘নর্থ ব্রিটিশ লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি’তে হিসাব সচিব পদে যোগদান করেন এবং এ পদ থেকেই অবসর গ্রহণ করেন।
হেয়ার স্কুলের ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি বিহারীলাল চক্রবর্তীর কবিতার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। বিহারীলাল ছিলেন বাংলা গীতি কবিতার প্রবর্তক। তার অণুপ্রেরণায়ই তিনি কবিতা রচনা শুরু করেন। বঙ্গদর্শন পত্রিকার ১২৮৯ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ সংখ্যায় তার প্রথম কবিতা ‘রজনীর মৃত্যু’ প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং অক্ষয়কুমার বড়ালকে ‘বিহারীলালের সাক্ষাৎ ভাবশিষ্য’ আখ্যায়িত করা হয়। বাংলা গীতি কবিতার ইতিহাসে তিনি বড়াল কবি নামে পরিচিত। তার কাব্য রচনার মূল বিষয় ছিল নিসর্গ, সৌন্দর্যবাদ, কল্পনামূলক প্রেম, শোক এবং মানববন্দনা। নারীপ্রেমের শান্তরস তার কাব্যের প্রধান বিশেষত্ব। তিনি মৃত স্ত্রীর স্মৃতিচারণা করে ‘এষা’ কাব্যগ্রন্থটি লিখেছিলেন।
তিনি মার্জিত ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাধারার অনুসারী ছিলেন। কাব্য ও নাটক মিলে অনেক গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। তিনি কিছু গ্রন্থও সম্পাদনা করেছেন।