এই দিনে
সুফিয়া কামালের জন্মদিন আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ জুন, ২০২২ ০৭:৪৯
দেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত কবি সুফিয়া কামালের জন্মদিন আজ। ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদের নবাব পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ আবদুল বারি পেশায় ছিলেন উকিল। সুফিয়ার যখন সাত বছর বয়স, তখন তার বাবা গৃহত্যাগ করেন। ১৯২৩ সালে মামাতো ভাই সৈয়দ নেহাল হোসেনের সঙ্গে সুফিয়ার বিয়ে হয়।
১৯৩১ সালে সুফিয়া মুসলিম মহিলাদের মধ্যে প্রথম ‘ভারতীয় মহিলা ফেডারেশন’-এর সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৩২ সালে তার স্বামী মারা যান। ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত হয় তার সাঁঝের মায়া কাব্যগ্রন্থটি। পরের বছর আপনজন ও শুভানুধ্যায়ীদের ইচ্ছায় তিনি চট্টগ্রামের লেখক ও অনুবাদক কামালউদ্দীন আহমদের সঙ্গে আবার পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। সেই থেকে তিনি ‘সুফিয়া কামাল’ নামে পরিচিত হন। সুফিয়া কামাল ‘একালে আমাদের কাল’ নামে একটি আত্মজীবনী রচনা করেছেন।
তিনি অনেক ছোটগল্প এবং ক্ষুদ্র উপন্যাসও রচনা করেছেন। কেয়ার কাঁটা তার একটি উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ। তার আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : মায়া কাজল, মন ও জীবন, উদাত্ত পৃথিবী, অভিযাত্রিক ইত্যাদি। তার কবিতা চীনা, ইংরেজি, জার্মান, ইতালিয়ান, পোলিশ, রুশ, ভিয়েতনামিজ, হিন্দি ও উর্দু ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯৬১ সালে তিনি পাকিস্তান সরকার কর্র্তৃক ‘তঘমা-ই-ইমতিয়াজ’ নামক জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন; কিন্তু ১৯৬৯ সালে বাঙালিদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে তিনি তা বর্জন করেন।
তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য পুরস্কার: বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, মুক্তধারা পুরস্কার, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার, বেগম রোকেয়া পদক, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বর্ণপদক, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ইত্যাদি।
১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন সুফিয়া কামাল।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ জুন, ২০২২ ০৭:৪৯

দেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত কবি সুফিয়া কামালের জন্মদিন আজ। ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদের নবাব পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ আবদুল বারি পেশায় ছিলেন উকিল। সুফিয়ার যখন সাত বছর বয়স, তখন তার বাবা গৃহত্যাগ করেন। ১৯২৩ সালে মামাতো ভাই সৈয়দ নেহাল হোসেনের সঙ্গে সুফিয়ার বিয়ে হয়।
১৯৩১ সালে সুফিয়া মুসলিম মহিলাদের মধ্যে প্রথম ‘ভারতীয় মহিলা ফেডারেশন’-এর সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৩২ সালে তার স্বামী মারা যান। ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত হয় তার সাঁঝের মায়া কাব্যগ্রন্থটি। পরের বছর আপনজন ও শুভানুধ্যায়ীদের ইচ্ছায় তিনি চট্টগ্রামের লেখক ও অনুবাদক কামালউদ্দীন আহমদের সঙ্গে আবার পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। সেই থেকে তিনি ‘সুফিয়া কামাল’ নামে পরিচিত হন। সুফিয়া কামাল ‘একালে আমাদের কাল’ নামে একটি আত্মজীবনী রচনা করেছেন।
তিনি অনেক ছোটগল্প এবং ক্ষুদ্র উপন্যাসও রচনা করেছেন। কেয়ার কাঁটা তার একটি উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ। তার আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : মায়া কাজল, মন ও জীবন, উদাত্ত পৃথিবী, অভিযাত্রিক ইত্যাদি। তার কবিতা চীনা, ইংরেজি, জার্মান, ইতালিয়ান, পোলিশ, রুশ, ভিয়েতনামিজ, হিন্দি ও উর্দু ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯৬১ সালে তিনি পাকিস্তান সরকার কর্র্তৃক ‘তঘমা-ই-ইমতিয়াজ’ নামক জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন; কিন্তু ১৯৬৯ সালে বাঙালিদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে তিনি তা বর্জন করেন।
তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য পুরস্কার: বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, মুক্তধারা পুরস্কার, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার, বেগম রোকেয়া পদক, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বর্ণপদক, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ইত্যাদি।
১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন সুফিয়া কামাল।